ভারতে ‘ভেজাল মদ’ পানে ২৪ জনের মৃত্যু

ভারতের বিহার রাজ্যে বিষাক্ত মদপানের পর গত দুই দিনে প্রাণ গেছে কমপক্ষে ২৪ জনের। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে আরও অনেকে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গোপালগঞ্জ ও ওয়েস্ট চাম্পারান জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। দুটি জেলাতেই মদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করলেও মদপানেই যে তাদের মৃত্যু হয়েছে, এ তথ্য এখনও নিশ্চিত করেনি প্রশাসন। জানায়নি মৃত্যুর অন্য কোনো কারণও। গত ১০ দিনের মধ্যে বিহারের উত্তরাঞ্চলে এ ধরনের তৃতীয় ঘটনা এটি। খবর পেয়ে গোপালগঞ্জ পরিদর্শনে গিয়েছেন মন্ত্রী জনক রাম।

তিনি বলেন, ‘বিষাক্ত মদপাদের কারণে যাদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তাদের বাড়িতে গিয়েছি আমি। আমার মনে হচ্ছে, বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ইচ্ছা করে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। গোপালগঞ্জ পুলিশ জানিয়েছে, রহস্যময় কারণে কিছু ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা সত্য। ময়নাতদন্তের ফল না আসা পর্যন্ত তাদের মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়। তিনটি দল মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে।

গ্রামবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মদপানের পরই সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। বেশির ভাগেরই তাৎক্ষণিক মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজন এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে দুজন মারা গেছে। কয়েকজনের মরদেহ তাদের পরিবার দাহ করেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সন্দেহে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

শনিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২১ , ২১ কার্তিক ১৪২৮ ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

ভারতে ‘ভেজাল মদ’ পানে ২৪ জনের মৃত্যু

ভারতের বিহার রাজ্যে বিষাক্ত মদপানের পর গত দুই দিনে প্রাণ গেছে কমপক্ষে ২৪ জনের। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে আরও অনেকে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গোপালগঞ্জ ও ওয়েস্ট চাম্পারান জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। দুটি জেলাতেই মদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করলেও মদপানেই যে তাদের মৃত্যু হয়েছে, এ তথ্য এখনও নিশ্চিত করেনি প্রশাসন। জানায়নি মৃত্যুর অন্য কোনো কারণও। গত ১০ দিনের মধ্যে বিহারের উত্তরাঞ্চলে এ ধরনের তৃতীয় ঘটনা এটি। খবর পেয়ে গোপালগঞ্জ পরিদর্শনে গিয়েছেন মন্ত্রী জনক রাম।

তিনি বলেন, ‘বিষাক্ত মদপাদের কারণে যাদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তাদের বাড়িতে গিয়েছি আমি। আমার মনে হচ্ছে, বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ইচ্ছা করে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। গোপালগঞ্জ পুলিশ জানিয়েছে, রহস্যময় কারণে কিছু ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা সত্য। ময়নাতদন্তের ফল না আসা পর্যন্ত তাদের মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়। তিনটি দল মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে।

গ্রামবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মদপানের পরই সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। বেশির ভাগেরই তাৎক্ষণিক মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজন এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে দুজন মারা গেছে। কয়েকজনের মরদেহ তাদের পরিবার দাহ করেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সন্দেহে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।