২৪ শতাংশ বনভূমি থাকায় আমরা প্রস্তাবে সই করিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যে কোন দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকতে হয়। আর আমাদের রয়েছে ২৪ শতাংশ বনভূমি। তিনি বলেন, ‘বন রক্ষায় আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার রয়েছে। আমাদের অঙ্গীকারের কোন ঘাটতি নেই।’

গতকাল লন্ডন থেকে জুম প্ল্যাটফর্মে এক প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বনভূমি রক্ষায় ১২৬টি দেশ সই করলেও বাংলাদেশ কেন সই করেনি এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘যে কোন দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকতে হয়। আর আমাদের রয়েছে ২৪ শতাংশ বনভূমি। সে কারণে আমরা ওই প্রস্তাবে সই করিনি। যেসব দেশের বনভূমি নষ্ট হচ্ছে, যাদের বনে ঘাটতি রয়েছে, তারাই ওই প্রস্তাবে সই করেছে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বের হয়নি। তবে আমরা বেরিয়ে আসছি। এটা আমাদের জন্য খুব ইতিবাচক।’

গত বুধবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বন উজাড় বন্ধে আন্তর্জাতিক ঘোষণার সঙ্গে বাংলাদেশ একাত্মতা প্রকাশ না করায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি অবিলম্বে এই ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি বন ধ্বংস বন্ধ করা এবং বন রক্ষা ও পুনরুদ্ধারে সরকারকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২১ , ২১ কার্তিক ১৪২৮ ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

২৪ শতাংশ বনভূমি থাকায় আমরা প্রস্তাবে সই করিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যে কোন দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকতে হয়। আর আমাদের রয়েছে ২৪ শতাংশ বনভূমি। তিনি বলেন, ‘বন রক্ষায় আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার রয়েছে। আমাদের অঙ্গীকারের কোন ঘাটতি নেই।’

গতকাল লন্ডন থেকে জুম প্ল্যাটফর্মে এক প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বনভূমি রক্ষায় ১২৬টি দেশ সই করলেও বাংলাদেশ কেন সই করেনি এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘যে কোন দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকতে হয়। আর আমাদের রয়েছে ২৪ শতাংশ বনভূমি। সে কারণে আমরা ওই প্রস্তাবে সই করিনি। যেসব দেশের বনভূমি নষ্ট হচ্ছে, যাদের বনে ঘাটতি রয়েছে, তারাই ওই প্রস্তাবে সই করেছে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বের হয়নি। তবে আমরা বেরিয়ে আসছি। এটা আমাদের জন্য খুব ইতিবাচক।’

গত বুধবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বন উজাড় বন্ধে আন্তর্জাতিক ঘোষণার সঙ্গে বাংলাদেশ একাত্মতা প্রকাশ না করায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি অবিলম্বে এই ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি বন ধ্বংস বন্ধ করা এবং বন রক্ষা ও পুনরুদ্ধারে সরকারকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।