নিয়ন্ত্রণহীন নিত্যপণ্যের বাজার

সবজিসহ কিছু কিছু পণ্যে ওঠানামা করছে

কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না নিত্যপণ্যের দাম। প্রতিসপ্তাহে দু’য়েকটি পণ্যের দাম কমলেও অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়ে যায়। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কিছু সবজির দাম কমেছে। তবে এর বিপরীতে বাকি সব সবজির দাম বেড়েছে। মাছের দাম আগে থেকেই বাড়তি ছিল। গতকাল আরেক দফা বেড়েছে।

তবে ব্রয়লার ও পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে ডিমের দাম। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

গতকাল কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় গত সপ্তাহে যা ছিল ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা কমেছে।

ব্রয়লারের পাশাপাশি কমেছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা। গত সপ্তাহে যা ছিল ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা। তবে লেয়ার মুরগি আগের মতো ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দামও কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিম এখন ১১০ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আর পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতো ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর ও টমেটো। মান ভেদে এক কেজি গাজর ১০০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এই সবজি দুটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

তবে নতুন করে দাম বেড়েছে শিম ও ঢেঁড়সের। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

আর গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ঢেঁড়সের দাম বেড়ে এখন ৬০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে পটল, বরবটি, ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

এক সপ্তাহ আগে ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এক পিস ফুলকপির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে একই থাকলেও এখন আগের তুলনায় বেশ বড় ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে যেসব সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে এর মধ্যে ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর নতুন আসা পালন শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ।

এছাড়া শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে টাকি মাছ। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি।

শনিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২১ , ২১ কার্তিক ১৪২৮ ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

নিয়ন্ত্রণহীন নিত্যপণ্যের বাজার

সবজিসহ কিছু কিছু পণ্যে ওঠানামা করছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না নিত্যপণ্যের দাম। প্রতিসপ্তাহে দু’য়েকটি পণ্যের দাম কমলেও অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়ে যায়। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কিছু সবজির দাম কমেছে। তবে এর বিপরীতে বাকি সব সবজির দাম বেড়েছে। মাছের দাম আগে থেকেই বাড়তি ছিল। গতকাল আরেক দফা বেড়েছে।

তবে ব্রয়লার ও পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে ডিমের দাম। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

গতকাল কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় গত সপ্তাহে যা ছিল ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা কমেছে।

ব্রয়লারের পাশাপাশি কমেছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা। গত সপ্তাহে যা ছিল ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা। তবে লেয়ার মুরগি আগের মতো ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দামও কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিম এখন ১১০ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আর পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতো ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর ও টমেটো। মান ভেদে এক কেজি গাজর ১০০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এই সবজি দুটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

তবে নতুন করে দাম বেড়েছে শিম ও ঢেঁড়সের। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

আর গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ঢেঁড়সের দাম বেড়ে এখন ৬০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে পটল, বরবটি, ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

এক সপ্তাহ আগে ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এক পিস ফুলকপির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে একই থাকলেও এখন আগের তুলনায় বেশ বড় ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে যেসব সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে এর মধ্যে ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর নতুন আসা পালন শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ।

এছাড়া শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে টাকি মাছ। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি।