সন্ত্রাস দমনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন : রাবাব ফাতিমা

বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ দমনে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ১৩৭৩-এর ২০ বছর পূর্তি এবং নিরাপত্তা পরিষদ সন্ত্রাস দমন কমিটির প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ সভায় বক্তব্যকালে এ কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় সংকল্প, অটল প্রতিশ্রুতি ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সামাজিক আন্দোলন শুরু করতে আমাদের সাহায্য করেছে।’ বলেন তিনি।

এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিশেষ সভায় বক্তৃতাকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলাসহ বিশ্বব্যাপী সব সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে বাংলাদেশের একাত্মতা প্রকাশের কথাও বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

সন্ত্রাসবাদ এবং এর যে কোন ধরণ বা রূপের প্রতি বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরুল্লেখ করে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ দমনে গৃহীত সব আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত। সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নসহ এধরণের যেকোন হুমকি দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার যে সব আইন প্রণয়ন এবং নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

রেজুলেশন ১৩৭৩-এর কার্যকর বাস্তবায়নে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা সক্ষমতার ঘাটতি, সব স্তরে কার্যকর আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা, দেশগুলোর মধ্যে অপারেশনাল তথ্যের নির্বিঘœ আদান-প্রদান এবং সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার মূল কারণগুলো মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি এক্ষেত্রে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সদস্য দেশগুলোর মধ্যে জোরালো সহযোগিতার আহ্বান জানান।

সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার সব আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় একটি শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকার জন্য বাংলাদেশের যে অবিচল অঙ্গীকার রয়েছে তা পুনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

শনিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২১ , ২১ কার্তিক ১৪২৮ ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

সন্ত্রাস দমনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন : রাবাব ফাতিমা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ দমনে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ১৩৭৩-এর ২০ বছর পূর্তি এবং নিরাপত্তা পরিষদ সন্ত্রাস দমন কমিটির প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ সভায় বক্তব্যকালে এ কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় সংকল্প, অটল প্রতিশ্রুতি ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সামাজিক আন্দোলন শুরু করতে আমাদের সাহায্য করেছে।’ বলেন তিনি।

এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিশেষ সভায় বক্তৃতাকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলাসহ বিশ্বব্যাপী সব সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে বাংলাদেশের একাত্মতা প্রকাশের কথাও বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

সন্ত্রাসবাদ এবং এর যে কোন ধরণ বা রূপের প্রতি বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরুল্লেখ করে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ দমনে গৃহীত সব আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত। সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নসহ এধরণের যেকোন হুমকি দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার যে সব আইন প্রণয়ন এবং নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

রেজুলেশন ১৩৭৩-এর কার্যকর বাস্তবায়নে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা সক্ষমতার ঘাটতি, সব স্তরে কার্যকর আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা, দেশগুলোর মধ্যে অপারেশনাল তথ্যের নির্বিঘœ আদান-প্রদান এবং সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার মূল কারণগুলো মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি এক্ষেত্রে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সদস্য দেশগুলোর মধ্যে জোরালো সহযোগিতার আহ্বান জানান।

সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার সব আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় একটি শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকার জন্য বাংলাদেশের যে অবিচল অঙ্গীকার রয়েছে তা পুনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।