ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রাইভেটকারে এক দুধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বারৈয়াঢালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় সীতাকুণ্ড পৌরসভার সোবাহানবাগ এলাকায় ফারুকুল ইসলাম তার ভাগ্নীর বিবাহ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে স্ত্রী, মা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, নিজের দুই ছেলে-মেয়ে এবং ছোট ভাই কামরুলের মেয়েসহ সীতাকুণ্ড পৌরসভার নুনাছড়া গ্রামের বাড়ি থেকে প্রাইভেটকারে রওনা দেয়। বারৈয়ারঢালার কাছে ইউটার্ন দিয়ে অতিক্রম করার সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশে গোপনে অবস্থান নেয়া ৫ সদস্যের ডাকাতদল তাদের বহনকারী প্রাইভেট কারের সামনের চাকায় লোহার রড নিক্ষেপ করে। রডটি দ্বিতীয় চাকায় লেগে প্রাইভেটকার থেমে গেলে এ সময় অন্ধকারে ডাকাতদল তাদের ঘিরে ধরে।
তারা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে মারাত্মক অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত ডাকাতদল বলে, কোন কথা বলবি না, কি আছে বের কর ঘটনাটি বুঝে উঠার আগেই ফারুকুল ইসলামের ডান হাতে রামদা দিয়ে কোপ দেয় এবং গাড়ীর ড্রাইভারকে ডাকাতদের ২ জন শার্টের কলার ধরে জিম্মি করে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। গাড়িতে থাকা ৩ শিশুর কান্না, নিজের স্ত্রী, ছোট ভাই কামরুলের স্ত্রী এবং বয়োবৃদ্ধা মায়ের কান্নায় ফারুকুল ইসলাম মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
ডাকাতরা তাদের সঙ্গে থাকা ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার যার আনুমানিক মূল্যে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা, নগদ ১৭ হাজার টাকা ও সঙ্গে থাকা ২টি মোবাইল ফোন অস্ত্রের মুখে নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ঘটনাটি তার ছোট ভাই কামরুলকে জানালে সে পুলিশকে অবহিত করে। তারা বিয়ের প্রোগ্রাম বাতিল করে চিকিৎসার জন্য সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থানকালীন সময়ে পুলিশ আসলে তারা ডাকাতির ঘটনাটির বিস্তারিত বিবরণ দেয়। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, আমরা অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২১ , ২১ কার্তিক ১৪২৮ ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রাইভেটকারে এক দুধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বারৈয়াঢালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় সীতাকুণ্ড পৌরসভার সোবাহানবাগ এলাকায় ফারুকুল ইসলাম তার ভাগ্নীর বিবাহ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে স্ত্রী, মা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, নিজের দুই ছেলে-মেয়ে এবং ছোট ভাই কামরুলের মেয়েসহ সীতাকুণ্ড পৌরসভার নুনাছড়া গ্রামের বাড়ি থেকে প্রাইভেটকারে রওনা দেয়। বারৈয়ারঢালার কাছে ইউটার্ন দিয়ে অতিক্রম করার সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশে গোপনে অবস্থান নেয়া ৫ সদস্যের ডাকাতদল তাদের বহনকারী প্রাইভেট কারের সামনের চাকায় লোহার রড নিক্ষেপ করে। রডটি দ্বিতীয় চাকায় লেগে প্রাইভেটকার থেমে গেলে এ সময় অন্ধকারে ডাকাতদল তাদের ঘিরে ধরে।
তারা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে মারাত্মক অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত ডাকাতদল বলে, কোন কথা বলবি না, কি আছে বের কর ঘটনাটি বুঝে উঠার আগেই ফারুকুল ইসলামের ডান হাতে রামদা দিয়ে কোপ দেয় এবং গাড়ীর ড্রাইভারকে ডাকাতদের ২ জন শার্টের কলার ধরে জিম্মি করে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। গাড়িতে থাকা ৩ শিশুর কান্না, নিজের স্ত্রী, ছোট ভাই কামরুলের স্ত্রী এবং বয়োবৃদ্ধা মায়ের কান্নায় ফারুকুল ইসলাম মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
ডাকাতরা তাদের সঙ্গে থাকা ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার যার আনুমানিক মূল্যে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা, নগদ ১৭ হাজার টাকা ও সঙ্গে থাকা ২টি মোবাইল ফোন অস্ত্রের মুখে নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ঘটনাটি তার ছোট ভাই কামরুলকে জানালে সে পুলিশকে অবহিত করে। তারা বিয়ের প্রোগ্রাম বাতিল করে চিকিৎসার জন্য সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থানকালীন সময়ে পুলিশ আসলে তারা ডাকাতির ঘটনাটির বিস্তারিত বিবরণ দেয়। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, আমরা অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।