ব্লাক রাইস ও রেড রাইস চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন তরুণ উদ্যোক্তা গিয়াস

ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধী অধিক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ দুর্লভ ও দামী ব্লাক রাইস ও রেড রাইস চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন শিক্ষিত বেকার উদ্যোক্তা। ধানের ফলনও হয়েছে ভালো। উচ্চ ফলনসীল নতুন জাতের এ ধান দেখতে আসছে বিভিন্ন এলাকা থেকে। অনেকেই নতুন এ জাতের ধান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

অধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফাইটিক এসিড সমৃদ্ধ ব্লাক রাইস ও রেড রাইস উৎপাদন করে পুরো ফরিদপুর জুড়ে সাড়া ফেলেছেন কৃষি ডিপ্লোমা ও ব্যাচেলার অফ এগ্রিকালচার এডুকেশন সম্পন্ন করা তরুণ উদ্যোক্তা এনামুল হক গিয়াস। লেখাপড়া শেষ করে কিছুদিন বেসরকারি সংস্থায় চাকরিও করেন এই যুবক। পরবর্তীতে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজেই শুরু করেন কৃষি কাজ। ফরিদপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে ২৫০ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন ব্লাক রাইস ও রেড রাইস ধানের চাষ। প্রথম বছরেই সাফল্য পেয়েছেন এই তরুণ উদ্যোক্তা। ধানের ফলন হয়েছে বাম্পার। শুধু ব্লাক রাইস ও রেড রাইসই নয়, চাষাবাদ করেছেন ইন্ডিয়ান কোস্তুরী ও ফাতেমা ধান চাষ।

এনামুলের খামারে এখন পাকা ধানের শীষ দোল খাচ্ছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই ধান ঘরে তুলবেন এই উদ্যোক্তা। সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। আশা করছেন বীজ হিসেবে বিক্রি করতে পারলে ২ লাখ টাকা বিক্রয় করতে পারবেন। অনেক কৃষক আগাম বীজের বুকিংও দিয়েছেন। রোগবালাই কম ও সাধারণ ধানের ন্যায় চাষ করা যায় বলে, এই ধান চাষে অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হচ্ছেন।

এই ধান চাষে আগ্রহী চাষিরা বলেন, সাধারণ ধানের মতোই এই ধান চাষ করা যায়। তবে সাধারণ ধানের চেয়ে এই ধান চাষে লাভ বেশি হওয়ায় আগামীতে আমরা এই ধান চাষ করবো।

তরুণ উদ্যোক্তা এনামুল হক গিয়াস বলেন, আমার ইচ্ছে উৎপাদনমুখী কিছু করার। সে লক্ষ্যে জমি লিজ নিয়ে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধী অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ দুর্লভ ও দামী ব্লাক রাইস ও রেড রাইস চাষ করে সফলতা পেয়েছি। আমার এ ধান দেখে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে নতুন জাতের ধান আবাদে। এ ধান চাষ করে আমি লাভবান।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. হজরত আলী বলেন, এই ধানে বিভিন্ন প্রকার অনুপুষ্টি ও আয়রনে ভরপুর। এই চালের ভাত খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত হতে পারবে। এ ধান চাষ করে তরুণ উদ্যোক্তারা লাভবান হচ্ছে। বাজারে এ চালের যথেষ্ট চাহিদা আছে। এ ধান চাষ করে কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন, অন্যদিকে এই পুষ্টিকর চালের ভাত খেয়ে ভোক্তারা সুস্থ থাকবেন।

image
আরও খবর
রাজৈর পৌরশহরে ৫ কোটি টাকার সড়কবাতি কাজে আসছে না, ভোগান্তিতে পৌরবাসী
কোন টাকা দেশে থাকছে না, বিদেশে চলে যাচ্ছে আমীর খসরু
পুলিশ সুপারের সহায়তায় চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ
প্রতিবাদে নোয়াখালীতে মানববন্ধন-সমাবেশ
এবার নন্দিনী হয়ে আসছেন অর্ষা
ভোলায় কালীপূজায় মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন অবস্থান
মেকিং কম্পিটিশনের চূড়ান্ত অনুষ্ঠান
চাঁদপুরে লঞ্চের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে নিখোঁজ-১, লঞ্চ আটক!
লঞ্চভাড়া সবজির দামও বেড়েছে
৩০ নভেম্বরের মধ্যে হোটেল সোনারগাঁওয়ের কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচনের নির্দেশ
গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল-হত্যা অগ্নিসংযোগ লুটপাট নির্যাতনের বিচার ও ইপিজেড নির্মাণ বন্ধের দাবি

শনিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২১ , ২১ কার্তিক ১৪২৮ ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

ব্লাক রাইস ও রেড রাইস চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন তরুণ উদ্যোক্তা গিয়াস

প্রতিনিধি, ফরিদপুর

image

ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধী অধিক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ দুর্লভ ও দামী ব্লাক রাইস ও রেড রাইস চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন শিক্ষিত বেকার উদ্যোক্তা। ধানের ফলনও হয়েছে ভালো। উচ্চ ফলনসীল নতুন জাতের এ ধান দেখতে আসছে বিভিন্ন এলাকা থেকে। অনেকেই নতুন এ জাতের ধান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

অধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফাইটিক এসিড সমৃদ্ধ ব্লাক রাইস ও রেড রাইস উৎপাদন করে পুরো ফরিদপুর জুড়ে সাড়া ফেলেছেন কৃষি ডিপ্লোমা ও ব্যাচেলার অফ এগ্রিকালচার এডুকেশন সম্পন্ন করা তরুণ উদ্যোক্তা এনামুল হক গিয়াস। লেখাপড়া শেষ করে কিছুদিন বেসরকারি সংস্থায় চাকরিও করেন এই যুবক। পরবর্তীতে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজেই শুরু করেন কৃষি কাজ। ফরিদপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে ২৫০ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন ব্লাক রাইস ও রেড রাইস ধানের চাষ। প্রথম বছরেই সাফল্য পেয়েছেন এই তরুণ উদ্যোক্তা। ধানের ফলন হয়েছে বাম্পার। শুধু ব্লাক রাইস ও রেড রাইসই নয়, চাষাবাদ করেছেন ইন্ডিয়ান কোস্তুরী ও ফাতেমা ধান চাষ।

এনামুলের খামারে এখন পাকা ধানের শীষ দোল খাচ্ছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই ধান ঘরে তুলবেন এই উদ্যোক্তা। সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। আশা করছেন বীজ হিসেবে বিক্রি করতে পারলে ২ লাখ টাকা বিক্রয় করতে পারবেন। অনেক কৃষক আগাম বীজের বুকিংও দিয়েছেন। রোগবালাই কম ও সাধারণ ধানের ন্যায় চাষ করা যায় বলে, এই ধান চাষে অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হচ্ছেন।

এই ধান চাষে আগ্রহী চাষিরা বলেন, সাধারণ ধানের মতোই এই ধান চাষ করা যায়। তবে সাধারণ ধানের চেয়ে এই ধান চাষে লাভ বেশি হওয়ায় আগামীতে আমরা এই ধান চাষ করবো।

তরুণ উদ্যোক্তা এনামুল হক গিয়াস বলেন, আমার ইচ্ছে উৎপাদনমুখী কিছু করার। সে লক্ষ্যে জমি লিজ নিয়ে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধী অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ দুর্লভ ও দামী ব্লাক রাইস ও রেড রাইস চাষ করে সফলতা পেয়েছি। আমার এ ধান দেখে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে নতুন জাতের ধান আবাদে। এ ধান চাষ করে আমি লাভবান।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. হজরত আলী বলেন, এই ধানে বিভিন্ন প্রকার অনুপুষ্টি ও আয়রনে ভরপুর। এই চালের ভাত খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত হতে পারবে। এ ধান চাষ করে তরুণ উদ্যোক্তারা লাভবান হচ্ছে। বাজারে এ চালের যথেষ্ট চাহিদা আছে। এ ধান চাষ করে কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন, অন্যদিকে এই পুষ্টিকর চালের ভাত খেয়ে ভোক্তারা সুস্থ থাকবেন।