জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি জনজীবনে সংকট বাড়াবে ওয়ার্কার্স পার্টি

আকস্মিক এক ঘোষণায় জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোকে অবিবেচনাপ্রসূত ও অমূলক মন্তব্য করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। গতকাল সংগঠনটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, এমনিতেই বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অনেক চড়া, তার মধ্যে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ব্যয় নির্বাহে যে চাপ তৈরি করবে, তা হবে মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো। করোনা অতিমারীর অভিঘাতে মানুষের আয় অনেক কমে গেছে। সমীক্ষা মতে নতুন দরিদ্রের সংখ্যা ৩ কোটি ২৪ লাখ। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা অনেক হ্রাস পেয়েছে। এখন নতুন করে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিতে পণ্য মূল্য বাড়বে, পরিবহন ব্যয় বাড়বে। ফলে ব্যয় নির্বাহে সাধারণ মানুষের জন্য গভীর সংকট তৈরি করবে।

তারা আরও বলেন, জ্বালানি তেলের ওপর আরোপিত বর্তমান শুল্ক হার কমিয়ে এই মূল্য বৃদ্ধি এড়ানো যেতো। সরকার বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববাজারের দোহাই দিয়ে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ালেও বিশ্ববাজারে যখন কমেছিল তখন দেশে তারা কমায়নি বা সমন্বয় করেনি। এখন আবার বিশ্ববাজারের দোহাই দিয়ে জ্বালানি মূল্য বাড়ালো, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।

শনিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২১ , ২১ কার্তিক ১৪২৮ ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি জনজীবনে সংকট বাড়াবে ওয়ার্কার্স পার্টি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আকস্মিক এক ঘোষণায় জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোকে অবিবেচনাপ্রসূত ও অমূলক মন্তব্য করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। গতকাল সংগঠনটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, এমনিতেই বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অনেক চড়া, তার মধ্যে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ব্যয় নির্বাহে যে চাপ তৈরি করবে, তা হবে মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো। করোনা অতিমারীর অভিঘাতে মানুষের আয় অনেক কমে গেছে। সমীক্ষা মতে নতুন দরিদ্রের সংখ্যা ৩ কোটি ২৪ লাখ। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা অনেক হ্রাস পেয়েছে। এখন নতুন করে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিতে পণ্য মূল্য বাড়বে, পরিবহন ব্যয় বাড়বে। ফলে ব্যয় নির্বাহে সাধারণ মানুষের জন্য গভীর সংকট তৈরি করবে।

তারা আরও বলেন, জ্বালানি তেলের ওপর আরোপিত বর্তমান শুল্ক হার কমিয়ে এই মূল্য বৃদ্ধি এড়ানো যেতো। সরকার বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববাজারের দোহাই দিয়ে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ালেও বিশ্ববাজারে যখন কমেছিল তখন দেশে তারা কমায়নি বা সমন্বয় করেনি। এখন আবার বিশ্ববাজারের দোহাই দিয়ে জ্বালানি মূল্য বাড়ালো, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।