প্রথম ১০ ওভারে নিউজিল্যান্ড করেছিল ৬২ রান। আর শেষ চার ওভারে কিউয়িরা তোলে ৬৭ রান। সব মিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে নিউজিল্যান্ড করে ৪ উইকেটে ১৬৩ রান। জবাবে নামিবিয়া ২০ ওভারে করে ৭ উইকেটে ১১১ রান। ৫২ রানে এই ম্যাচ জিতে টি-২০ বিশ্বকাপে শেষ চারে যাওয়ার আশা এখনও জিইয়ে রাখল নিউজিল্যান্ড। পয়েন্ট তালিকায় তিন থেকে দু’ নম্বরে উঠে এল উইলিয়ামসনের দল।
শুক্রবার টস জিতে নামিবিয়া প্রথমে বোলিং নেয়। এর আগে নিউজিল্যান্ড ও নামিবিয়ার দেখা হয়েছিল শারজায়। একটি মাত্র টি-২০তে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ। তবে নিউজিল্যান্ডের অধিকাংশ ক্রিকেটারই সেই ম্যাচে অংশ নিতে পারেননি। কারণ সেই সময়ে আইপিএল চলছিল। ধারে ও ভারের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড অনেক শক্তিশালী। কেন উইলিয়ামসনের দলের সঙ্গে নামিবিয়ার কোন তুলনাই চলে না। কিন্তু ম্যাচটার গুরুত্ব অন্য জায়গায়। এই গ্রুপে পাকিস্তান চার ম্যাচ জিতে আগেই পৌঁছে গিয়েছে সেমিফাইনালে। বাকি একটি স্থানের জন্য লড়াই চলছে নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও ভারতের মধ্যে। নামিবিয়ার সঙ্গে ম্যাচটা তাই নিউজিল্যান্ডের কাছে রান রেট বাড়িয়ে নেয়ারও মঞ্চ।
কিন্তু নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার কিন্তু শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ধরা দেননি। বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের প্রথম উইকেট যায় ৩০ রানে। আউট হন মার্টিন গাপটিল ১৮ রান করে। আরেক ওপেনার ড্যারিল মিচেল করেন ১৯ রান। কিউইদের রান তখন ২ উইকেটে ৪৩। প্রথম ১০ ওভারে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ২৮ রানে বোল্ড হন। কিউইরা তখন ৩ উইকেটে ৮১। ডেভন কনওয়ে (১৭) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি উইকেটে। এর পরেই ইনিংসে গতি আনেন ফিলিপস ও নিশাম। দু’জনে ৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ফিলিপস ২১ বলে ৩৯ রান করেন। তার ইনিংসে সাজানো ছিল ১টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা। অন্যদিকে নিশাম করেন ২৩ বলে ৩৫ রান। একটি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান তিনি। নিউজিল্যান্ড ১৬ ওভারে তোলে মাত্র ৯৬ রান। শেষ চার ওভারে উঠল ৬৭ রান। শেষ ওভারে বল করেন জনাথন স্মিট। সব মিলিয়ে ১০টি বল করেন সেই ওভারে। চারটি ওয়াইডসহ দেন ১৮ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়ার দুই ওপেনার স্টিফেন ও মাইকেল জুটিতে ৪৭ রান যোগ করেন। মাইকেল ব্যক্তিগত ২৫ রানে ডাগ আউটে ফেরেন। বার্ড যখন আউট হন, তখন নামিবিয়ার রান ২ উইকেটে ৫১। অধিনায়ক ইরাসমাস (৩) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি উইকেটে। ডেভিড ওয়েইজ ১৬ রান করেন। শেষ চার ওভারে নিউজিল্যান্ড ম্যাচটা হাতের বাইরে নিয়ে গিয়েছিল। নামিবিয়ার ব্যাটাররা সেই ঝড় আর তুলতে পারেননি শেষের দিকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ১৬৩/৪ (ফিলিপস ৩৯*, নিশাম ৩৫*)। নামিবিয়া ১১১/৭ (স্টিফেন ২১, মাইকেল ২৫)।
ম্যাচ সেরা : নিশাম।
শনিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২১ , ২১ কার্তিক ১৪২৮ ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক
প্রথম ১০ ওভারে নিউজিল্যান্ড করেছিল ৬২ রান। আর শেষ চার ওভারে কিউয়িরা তোলে ৬৭ রান। সব মিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে নিউজিল্যান্ড করে ৪ উইকেটে ১৬৩ রান। জবাবে নামিবিয়া ২০ ওভারে করে ৭ উইকেটে ১১১ রান। ৫২ রানে এই ম্যাচ জিতে টি-২০ বিশ্বকাপে শেষ চারে যাওয়ার আশা এখনও জিইয়ে রাখল নিউজিল্যান্ড। পয়েন্ট তালিকায় তিন থেকে দু’ নম্বরে উঠে এল উইলিয়ামসনের দল।
শুক্রবার টস জিতে নামিবিয়া প্রথমে বোলিং নেয়। এর আগে নিউজিল্যান্ড ও নামিবিয়ার দেখা হয়েছিল শারজায়। একটি মাত্র টি-২০তে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ। তবে নিউজিল্যান্ডের অধিকাংশ ক্রিকেটারই সেই ম্যাচে অংশ নিতে পারেননি। কারণ সেই সময়ে আইপিএল চলছিল। ধারে ও ভারের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড অনেক শক্তিশালী। কেন উইলিয়ামসনের দলের সঙ্গে নামিবিয়ার কোন তুলনাই চলে না। কিন্তু ম্যাচটার গুরুত্ব অন্য জায়গায়। এই গ্রুপে পাকিস্তান চার ম্যাচ জিতে আগেই পৌঁছে গিয়েছে সেমিফাইনালে। বাকি একটি স্থানের জন্য লড়াই চলছে নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও ভারতের মধ্যে। নামিবিয়ার সঙ্গে ম্যাচটা তাই নিউজিল্যান্ডের কাছে রান রেট বাড়িয়ে নেয়ারও মঞ্চ।
কিন্তু নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার কিন্তু শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ধরা দেননি। বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের প্রথম উইকেট যায় ৩০ রানে। আউট হন মার্টিন গাপটিল ১৮ রান করে। আরেক ওপেনার ড্যারিল মিচেল করেন ১৯ রান। কিউইদের রান তখন ২ উইকেটে ৪৩। প্রথম ১০ ওভারে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ২৮ রানে বোল্ড হন। কিউইরা তখন ৩ উইকেটে ৮১। ডেভন কনওয়ে (১৭) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি উইকেটে। এর পরেই ইনিংসে গতি আনেন ফিলিপস ও নিশাম। দু’জনে ৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ফিলিপস ২১ বলে ৩৯ রান করেন। তার ইনিংসে সাজানো ছিল ১টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা। অন্যদিকে নিশাম করেন ২৩ বলে ৩৫ রান। একটি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান তিনি। নিউজিল্যান্ড ১৬ ওভারে তোলে মাত্র ৯৬ রান। শেষ চার ওভারে উঠল ৬৭ রান। শেষ ওভারে বল করেন জনাথন স্মিট। সব মিলিয়ে ১০টি বল করেন সেই ওভারে। চারটি ওয়াইডসহ দেন ১৮ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়ার দুই ওপেনার স্টিফেন ও মাইকেল জুটিতে ৪৭ রান যোগ করেন। মাইকেল ব্যক্তিগত ২৫ রানে ডাগ আউটে ফেরেন। বার্ড যখন আউট হন, তখন নামিবিয়ার রান ২ উইকেটে ৫১। অধিনায়ক ইরাসমাস (৩) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি উইকেটে। ডেভিড ওয়েইজ ১৬ রান করেন। শেষ চার ওভারে নিউজিল্যান্ড ম্যাচটা হাতের বাইরে নিয়ে গিয়েছিল। নামিবিয়ার ব্যাটাররা সেই ঝড় আর তুলতে পারেননি শেষের দিকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ১৬৩/৪ (ফিলিপস ৩৯*, নিশাম ৩৫*)। নামিবিয়া ১১১/৭ (স্টিফেন ২১, মাইকেল ২৫)।
ম্যাচ সেরা : নিশাম।