কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের দুর্দশা

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক দুই লেনের এবং যানবাহনের অত্যধিক চাপের কারণে মহাসড়কটি বেশ ধীরগতির। বিশেষকরে বেনাপোল, দর্শনা স্থলবন্দর থেকে উত্তরবঙ্গগামী ট্রাক, লরির চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। আর স্থানীয় মানুষের তৈরিকৃত নসিমন, ভটভটি, লাটাহাম্বার, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, মাহিন্দ্র নামের অটোরিকশার চলাচলে বরাবরই এ মহাসড়কটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ থাকে।

কিন্তু আশার বিষয় মহাসড়কটিকে প্রশস্তকরণের উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। আর সেই উদ্যোগই কাল হয়েছে এই মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিলোমিটারের পর কিলোমিটার রাস্তা খুঁড়ে রেখে দীর্ঘদিন যাবৎ লাপাত্তা। বেশকিছুদিন আগে বৃষ্টি হলে খুঁড়ে রাখা অংশে বড় বড় খানাখন্দ তৈরি হয়। তারপর থেকে ধুলোর স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে এই মহাসড়ক। এখানে সেখানে ট্রাক, বাস বিকল হয়ে আটকে থাকছে প্রতিনিয়ত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মী কিংবা যন্ত্রপাতির দেখা পাওয়া ভার। মেরামত যেন দূর আকাশের তারা। ধুলোর কারণে সামনে দেখতে না পেয়ে ব্যাহত হচ্ছে গাড়ি চলাচল। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি মাথায় নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা।

সবচেয়ে বেশি বিপাকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের আবাসন দুটো শহর কেন্দ্রীক হওয়ায় এবং বর্তমানে নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা চালু হওয়ায় নিয়মিত আপ-ডাউন যাতায়াত করতে হচ্ছে। আগের চেয়ে সময়ও বেশি লাগছে। যেখানে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া যেতে সর্বোচ্চ চল্লিশ মিনিট সময় লাগতো সেখানে ঘন্টারও বেশি সময় লাগছে। প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সময়। প্রচ- ঝাঁকুনি আর ধুলো-ময়লার অত্যাচার নিয়মিত পিষ্ট করছে শিক্ষার্থীসহ এই সড়কে চলাচলকারী সবার। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের বাসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

মঈনুল হক খান

শনিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২১ , ২১ কার্তিক ১৪২৮ ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের দুর্দশা

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক দুই লেনের এবং যানবাহনের অত্যধিক চাপের কারণে মহাসড়কটি বেশ ধীরগতির। বিশেষকরে বেনাপোল, দর্শনা স্থলবন্দর থেকে উত্তরবঙ্গগামী ট্রাক, লরির চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। আর স্থানীয় মানুষের তৈরিকৃত নসিমন, ভটভটি, লাটাহাম্বার, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, মাহিন্দ্র নামের অটোরিকশার চলাচলে বরাবরই এ মহাসড়কটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ থাকে।

কিন্তু আশার বিষয় মহাসড়কটিকে প্রশস্তকরণের উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। আর সেই উদ্যোগই কাল হয়েছে এই মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিলোমিটারের পর কিলোমিটার রাস্তা খুঁড়ে রেখে দীর্ঘদিন যাবৎ লাপাত্তা। বেশকিছুদিন আগে বৃষ্টি হলে খুঁড়ে রাখা অংশে বড় বড় খানাখন্দ তৈরি হয়। তারপর থেকে ধুলোর স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে এই মহাসড়ক। এখানে সেখানে ট্রাক, বাস বিকল হয়ে আটকে থাকছে প্রতিনিয়ত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মী কিংবা যন্ত্রপাতির দেখা পাওয়া ভার। মেরামত যেন দূর আকাশের তারা। ধুলোর কারণে সামনে দেখতে না পেয়ে ব্যাহত হচ্ছে গাড়ি চলাচল। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি মাথায় নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা।

সবচেয়ে বেশি বিপাকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের আবাসন দুটো শহর কেন্দ্রীক হওয়ায় এবং বর্তমানে নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা চালু হওয়ায় নিয়মিত আপ-ডাউন যাতায়াত করতে হচ্ছে। আগের চেয়ে সময়ও বেশি লাগছে। যেখানে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া যেতে সর্বোচ্চ চল্লিশ মিনিট সময় লাগতো সেখানে ঘন্টারও বেশি সময় লাগছে। প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সময়। প্রচ- ঝাঁকুনি আর ধুলো-ময়লার অত্যাচার নিয়মিত পিষ্ট করছে শিক্ষার্থীসহ এই সড়কে চলাচলকারী সবার। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের বাসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

মঈনুল হক খান