তামাক কোম্পানির প্রচারের কূটকৌশল

জনগণ যাতে তামাকের মতো স্বাস্থ্যহানিকর পণ্য সেবনে উৎসাহিত না হয় সেজন্য ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু সারাদেশে তামাক কোম্পানিগুলো বিভিন্ন কৌশলে তাদের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা করে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে আসছে, যা বেআইনি এবং সম্পূর্ণ অবৈধ। তামাক কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত আইন লঙ্ঘন করে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।

টাঙ্গাইলের মধুপুরেও বিজ্ঞাপন প্রচারের পাশাপাশি নীতিতে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে ফেলছে। তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নীতিগুলো সুরক্ষিত করতে একটি সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন প্রণয়ন করা জরুরি। একইসাথে প্রচলিত আইনটি আরও শক্তিশালী করে তামাকের কর বৃদ্ধি, সহায়ক নীতি প্রণয়ন এবং আইন বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়া দরকার।

সম্প্রতি বাটা ও মধুপুর স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, গবেষণা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে মধুপুরের ১০টি স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শনকালে দেখা যায়, মনোহারি দোকান, পানের দোকান, চা স্টলে বিভিন্ন তামাক কোম্পানির স্টিকার সংবলিত বক্স, শোকেজ, সিগারেটের খালি প্যাকেট দিয়ে থরে থরে সাজানো। এগুলো এলাকার যুবক ও কিশোরদেরকে ধূমপানে আকৃষ্ট করে। মধুপুরে অসংখ্য চা দোকান, মুদি দোকানগুলোতে এখনই যদি স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে বিজ্ঞাপন অপসারণ করা না হয় তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে অঙ্গীকার ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়া, তা হুমকির মুখে পড়বে।

মো. সাইফুল ইসলাম

শনিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২১ , ২১ কার্তিক ১৪২৮ ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

তামাক কোম্পানির প্রচারের কূটকৌশল

জনগণ যাতে তামাকের মতো স্বাস্থ্যহানিকর পণ্য সেবনে উৎসাহিত না হয় সেজন্য ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু সারাদেশে তামাক কোম্পানিগুলো বিভিন্ন কৌশলে তাদের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা করে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে আসছে, যা বেআইনি এবং সম্পূর্ণ অবৈধ। তামাক কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত আইন লঙ্ঘন করে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।

টাঙ্গাইলের মধুপুরেও বিজ্ঞাপন প্রচারের পাশাপাশি নীতিতে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে ফেলছে। তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নীতিগুলো সুরক্ষিত করতে একটি সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন প্রণয়ন করা জরুরি। একইসাথে প্রচলিত আইনটি আরও শক্তিশালী করে তামাকের কর বৃদ্ধি, সহায়ক নীতি প্রণয়ন এবং আইন বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়া দরকার।

সম্প্রতি বাটা ও মধুপুর স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, গবেষণা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে মধুপুরের ১০টি স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শনকালে দেখা যায়, মনোহারি দোকান, পানের দোকান, চা স্টলে বিভিন্ন তামাক কোম্পানির স্টিকার সংবলিত বক্স, শোকেজ, সিগারেটের খালি প্যাকেট দিয়ে থরে থরে সাজানো। এগুলো এলাকার যুবক ও কিশোরদেরকে ধূমপানে আকৃষ্ট করে। মধুপুরে অসংখ্য চা দোকান, মুদি দোকানগুলোতে এখনই যদি স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে বিজ্ঞাপন অপসারণ করা না হয় তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে অঙ্গীকার ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়া, তা হুমকির মুখে পড়বে।

মো. সাইফুল ইসলাম