১০ দিনে ৭০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১০ দিনে ৭০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। দেশে ইলিশ উৎপাদন কম হওয়ায় সরকার অনুমোদনের চার ভাগের এক ভাগ ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।

গত শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমসের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা শিকদার।

তিনি জানান, ৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। ফলে ২২ দিন ভারতে ইলিশ রপ্তানিও বন্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষে গত বুধবার থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনে পুনরায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে সচল হয় ইলিশ রপ্তানি। এবং এই ১০ দিনে রপ্তানিকারকরা ৭০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করে।

ইলিশ রপ্তানিকারক সততা ফিসের স্বত্বাধিকারী সাহাদুর রহমান খোকন জানান, তিনি ৪০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি পেয়েছিলেন। এ বছর দেশের নদী ও সাগরে ইলিশ কম ধরা পড়ায় ও রপ্তানির সময় কম থাকায় ৪০ মেট্রিক টনের মধ্যে ২৪ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করতে পেরেছিলেন। এবং সরকার নতুন করে আবার ১০ দিনের জন্য ইলিশ রপ্তানির সময় বাড়িয়েছে। ফলে তিনি বাকি ১৬ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করতে পেরেছেন।

বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার ১১৫ জন রপ্তানিকারককে ৪০ টন করে চার হাজার ৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল। যার মধ্যে গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ১৩ দিনে রপ্তানিকারকরা ১ হাজার ১০৮ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করেছে। পরে ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২ দিনের জন্য ইলিশ শিকার, পরিবহন ও বিক্রয় বন্ধের নির্দেশনায় গত ০৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ ছিল।

নিষেধাজ্ঞা শেষে সরকার আরও ১০ দিনের জন্য ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। এই দশ দিনে ছয়জন রপ্তানিকারক ৭০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করেছে। যা সর্বমোট ১ হাজার ১৭৮ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করেছে এবং তিন হাজার ৪২২ মেট্রিক টন ইলিশ নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে ভারতে রপ্তানি করতে পারেনি বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা।

রবিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২১ , ২২ কার্তিক ১৪২৮ ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

১০ দিনে ৭০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১০ দিনে ৭০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। দেশে ইলিশ উৎপাদন কম হওয়ায় সরকার অনুমোদনের চার ভাগের এক ভাগ ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।

গত শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমসের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা শিকদার।

তিনি জানান, ৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। ফলে ২২ দিন ভারতে ইলিশ রপ্তানিও বন্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষে গত বুধবার থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনে পুনরায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে সচল হয় ইলিশ রপ্তানি। এবং এই ১০ দিনে রপ্তানিকারকরা ৭০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করে।

ইলিশ রপ্তানিকারক সততা ফিসের স্বত্বাধিকারী সাহাদুর রহমান খোকন জানান, তিনি ৪০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি পেয়েছিলেন। এ বছর দেশের নদী ও সাগরে ইলিশ কম ধরা পড়ায় ও রপ্তানির সময় কম থাকায় ৪০ মেট্রিক টনের মধ্যে ২৪ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করতে পেরেছিলেন। এবং সরকার নতুন করে আবার ১০ দিনের জন্য ইলিশ রপ্তানির সময় বাড়িয়েছে। ফলে তিনি বাকি ১৬ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করতে পেরেছেন।

বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার ১১৫ জন রপ্তানিকারককে ৪০ টন করে চার হাজার ৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল। যার মধ্যে গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ১৩ দিনে রপ্তানিকারকরা ১ হাজার ১০৮ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করেছে। পরে ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২ দিনের জন্য ইলিশ শিকার, পরিবহন ও বিক্রয় বন্ধের নির্দেশনায় গত ০৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ ছিল।

নিষেধাজ্ঞা শেষে সরকার আরও ১০ দিনের জন্য ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। এই দশ দিনে ছয়জন রপ্তানিকারক ৭০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করেছে। যা সর্বমোট ১ হাজার ১৭৮ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করেছে এবং তিন হাজার ৪২২ মেট্রিক টন ইলিশ নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে ভারতে রপ্তানি করতে পারেনি বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা।