পরিবেশের সুরক্ষা নিয়ে যারা ভাবছেন না, তারা প্রতিবন্ধী : ওয়ালটন এমডি

ওয়ালটন এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেছেন, ‘যারা পরিবেশের সুরক্ষা নিয়ে ভাবছে না, অন্যের সঙ্গে ভালো আচরণ করছে না কিংবা পৃথিবীর ভবিষ্যত নিয়ে সচেতন না, তারা আসলে প্রতিবন্ধী। যদি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে না পারি, তবে আমরা মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী। নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করলে আমরা প্রতিবন্ধী।’

গত সোমবার ঢাকায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং এসডিজি : সেটিং স্ট্যাটেজিক সাইট ফর সাসটেইনেবল প্রাকটিসেস ২০২১’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে ওয়ালটন গ্রুপের বিভাগীয় প্রধান এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের সামনে এসডিজি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে পরিবেশ সুরক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য উপযুক্ত ও বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দেন ওয়ালটনের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।

এজন্য ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম মুর্শেদ নিয়েছেন নানা কার্যক্রম। ‘বেটার বাংলাদেশ টুমরো’ শীর্ষক ওই উদ্যোগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে ওয়ালটন। সংশ্লিষ্টদের বিশ্বাস, এ উদ্যোগ সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতে অনুকরণীয় এক দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।

অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এসডিজি সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়।

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৬) এর সাফল্য কামনা করে গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী কপ-২৬ সম্মেলেনে যোগ দিয়েছেন। পরিবেশ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী এবং ক্লাইমেট পার্লামেন্ট খুবই আন্তরিক। ওয়ালটন তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘ওয়ালটন শুধু ব্যবসাকেই প্রাধান্য দেয় না। বরং মানুষ, পরিবেশ, দেশ ও বিশ্বের মঙ্গল নিয়ে ভাবে, কাজ করে। আমরা এমন কিছু করবো না যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর হয়। বরং আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব কিছুই করবো।

যারা পরিবেশের সুরক্ষা নিয়ে ভাবছে না, অন্যের সঙ্গে ভালো আচরণ করছে না কিংবা পৃথিবীর ভবিষ্যত নিয়ে সচেতন না, তারা আসলে প্রতিবন্ধী। যদি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে না পারি, তবে আমরা মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী। নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করলে আমরা প্রতিবন্ধী। তাই আমাদের সবাইকে ইতিবাচকভাবে ভাবতে হবে। নিজেকে পরিবর্তন না করলে, পারিপাশ্বিকতার পরিবর্তন হবে না। দেশ-বিশ্ব পরিবর্তন হবে না। কি করলে নিজের, প্রতিষ্ঠানের, দেশ ও বিশ্বের ভালো হবে, সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে এবং কাজ করতে হবে।’

মনোজ্ঞ সংগীতায়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

রবিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২১ , ২২ কার্তিক ১৪২৮ ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

পরিবেশের সুরক্ষা নিয়ে যারা ভাবছেন না, তারা প্রতিবন্ধী : ওয়ালটন এমডি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

ওয়ালটন এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেছেন, ‘যারা পরিবেশের সুরক্ষা নিয়ে ভাবছে না, অন্যের সঙ্গে ভালো আচরণ করছে না কিংবা পৃথিবীর ভবিষ্যত নিয়ে সচেতন না, তারা আসলে প্রতিবন্ধী। যদি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে না পারি, তবে আমরা মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী। নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করলে আমরা প্রতিবন্ধী।’

গত সোমবার ঢাকায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং এসডিজি : সেটিং স্ট্যাটেজিক সাইট ফর সাসটেইনেবল প্রাকটিসেস ২০২১’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে ওয়ালটন গ্রুপের বিভাগীয় প্রধান এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের সামনে এসডিজি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে পরিবেশ সুরক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য উপযুক্ত ও বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দেন ওয়ালটনের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।

এজন্য ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম মুর্শেদ নিয়েছেন নানা কার্যক্রম। ‘বেটার বাংলাদেশ টুমরো’ শীর্ষক ওই উদ্যোগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে ওয়ালটন। সংশ্লিষ্টদের বিশ্বাস, এ উদ্যোগ সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতে অনুকরণীয় এক দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।

অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এসডিজি সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়।

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৬) এর সাফল্য কামনা করে গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী কপ-২৬ সম্মেলেনে যোগ দিয়েছেন। পরিবেশ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী এবং ক্লাইমেট পার্লামেন্ট খুবই আন্তরিক। ওয়ালটন তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘ওয়ালটন শুধু ব্যবসাকেই প্রাধান্য দেয় না। বরং মানুষ, পরিবেশ, দেশ ও বিশ্বের মঙ্গল নিয়ে ভাবে, কাজ করে। আমরা এমন কিছু করবো না যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর হয়। বরং আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব কিছুই করবো।

যারা পরিবেশের সুরক্ষা নিয়ে ভাবছে না, অন্যের সঙ্গে ভালো আচরণ করছে না কিংবা পৃথিবীর ভবিষ্যত নিয়ে সচেতন না, তারা আসলে প্রতিবন্ধী। যদি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে না পারি, তবে আমরা মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী। নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করলে আমরা প্রতিবন্ধী। তাই আমাদের সবাইকে ইতিবাচকভাবে ভাবতে হবে। নিজেকে পরিবর্তন না করলে, পারিপাশ্বিকতার পরিবর্তন হবে না। দেশ-বিশ্ব পরিবর্তন হবে না। কি করলে নিজের, প্রতিষ্ঠানের, দেশ ও বিশ্বের ভালো হবে, সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে এবং কাজ করতে হবে।’

মনোজ্ঞ সংগীতায়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।