পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ তিন সেতু এখন মরণফাঁদ। সেতু পারাপারে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। বছরের পর বছর বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। মঠবাড়িয়ার পাথরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে ডৌয়াতলা কুমিরমারা কার্পেটিং ওয়াপদা সড়কের সাথে থাকা তিনটি সংযোগ সেতু নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেই। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হলতা নদীর ওপর স্থাপিত নয়াহাট সূর্যমণি লোহার সেতুটি দিয়ে ১০ বছর আগেই দুই চাকাসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন অসুস্থ রোগী ও শিক্ষার্থীরা।
২২ কুড়া সেতুটিও হলতা নদীর ওপর স্থাপিত। ২০২০ সালে টেন্ডারকৃত নতুন ব্রিজের কাজ শুরু হয়। বিক্রি করা হয় পুরনো লোহার সেতুর মালামাল। বন্ধ হয়ে যায় নদীটির দুই পারের মানুষের যোগাযোগ। কাজ কোনরকম শুরু করেই ফেলে রাখা হয় বছরের পর বছর।
হলতা নদীর ওপর আরেকটি লোহার সেতু রয়েছে কুমির মারা নতুন বাজার লাইনের পাড়ে। এ পর্যন্ত শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এখানে। প্রতিবছর শোনা যায়, টেন্ডার হয় কিন্তু কাজ হয় না বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ লোহার সেতু দিয়ে তেঁতুলতলা, গিলাবাদ, দধিভাঙা, কাঁকড়াবুনিয়া, রাজার হাট, আমুয়া, সাতঘর, বাসাবাড়ি, উত্তর ভেচকি, গাবতলা, আশিকুড়া, কুঞ্জবাড়ই, তালেশ্বর, বুকাবুনিয়া, হলতা, সোনবুনিয়া, ভাইজোড়া ও গাবতলাসহ বিভিন্ন এলকার সহস্র্রাধিক পথচারী ও যানবাহন চলাচল করে। এখানে টেকসহ পাকা ব্রিজ স্থাপন করা খুবই জরুরী।
উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ মো. কাজী জসিম জানান, সয়েল টেস্ট করা হয়েছে। এলজিইডির হেড কোয়ার্টার থেকে অনুমোদন পেলে টেন্ডার হবে।
রবিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২১ , ২২ কার্তিক ১৪২৮ ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
প্রতিনিধি, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর)
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ তিন সেতু এখন মরণফাঁদ। সেতু পারাপারে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। বছরের পর বছর বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। মঠবাড়িয়ার পাথরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে ডৌয়াতলা কুমিরমারা কার্পেটিং ওয়াপদা সড়কের সাথে থাকা তিনটি সংযোগ সেতু নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেই। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হলতা নদীর ওপর স্থাপিত নয়াহাট সূর্যমণি লোহার সেতুটি দিয়ে ১০ বছর আগেই দুই চাকাসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন অসুস্থ রোগী ও শিক্ষার্থীরা।
২২ কুড়া সেতুটিও হলতা নদীর ওপর স্থাপিত। ২০২০ সালে টেন্ডারকৃত নতুন ব্রিজের কাজ শুরু হয়। বিক্রি করা হয় পুরনো লোহার সেতুর মালামাল। বন্ধ হয়ে যায় নদীটির দুই পারের মানুষের যোগাযোগ। কাজ কোনরকম শুরু করেই ফেলে রাখা হয় বছরের পর বছর।
হলতা নদীর ওপর আরেকটি লোহার সেতু রয়েছে কুমির মারা নতুন বাজার লাইনের পাড়ে। এ পর্যন্ত শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এখানে। প্রতিবছর শোনা যায়, টেন্ডার হয় কিন্তু কাজ হয় না বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ লোহার সেতু দিয়ে তেঁতুলতলা, গিলাবাদ, দধিভাঙা, কাঁকড়াবুনিয়া, রাজার হাট, আমুয়া, সাতঘর, বাসাবাড়ি, উত্তর ভেচকি, গাবতলা, আশিকুড়া, কুঞ্জবাড়ই, তালেশ্বর, বুকাবুনিয়া, হলতা, সোনবুনিয়া, ভাইজোড়া ও গাবতলাসহ বিভিন্ন এলকার সহস্র্রাধিক পথচারী ও যানবাহন চলাচল করে। এখানে টেকসহ পাকা ব্রিজ স্থাপন করা খুবই জরুরী।
উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ মো. কাজী জসিম জানান, সয়েল টেস্ট করা হয়েছে। এলজিইডির হেড কোয়ার্টার থেকে অনুমোদন পেলে টেন্ডার হবে।