বাগাতিপাড়া ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষসহ ২৭ পদ শূন্য

সদ্য জাতীয়করণকরা বাগাতিপাড়া সরকারি ডিগ্রী কলেজ। শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১২০০ জন। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষক সঙ্কটে ভুগছে। অধ্যক্ষসহ ২৭টি পদ শূন্য হয়েছে অনেক আগেই। এরমধ্যে দুটি বিভাগে কোন শিক্ষকই নেই। এছাড়াও অফিস সহকারী, সুইপার ও নৈশপ্রহরীও সঙ্কট রয়েছে সরকারি এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ফলে পাঠদানসহ শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সরকারি ঘোষণার কারণে কমিটি কর্তৃক নিয়োগ প্রদানে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এসব জনবল নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না বলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানিয়েছেন। জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৪ আগস্ট কলেজের অধ্যক্ষ অবসর গ্রহণ করেন। এরপর থেকে উপাধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন। এ কলেজে ৫৭ শিক্ষক পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৩৬ জন। শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ২১ জনের। এর মধ্যে দর্শন ও মনোবিজ্ঞান বিভাগে একজন শিক্ষকও নেই। এছাড়াও শূন্য রয়েছে প্রদর্শকের পদে একজন, অফিস সহকারী একজন এবং কর্মচারীদের মধ্যে সুইপার ও নৈশপ্রহরীসহ ৪টি পদ। এমন পরিস্থিতিতে পাঠদান অনিয়মিত হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম হুমকির মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে মনোবিজ্ঞান ও দর্শন বিভাগে ৩ জন করে, সমাজবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ২ জন করে এবং বাংলা, ইংরেজি, সমাজকর্ম, ভুগোল, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, পদার্থ, রসায়ন, গণিত, পরিসংখ্যান ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগে একজন করে সঙ্কট রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সিলেবাস শেষ করতে পারছেন না। শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজটিতে একাদশ, এইচএসসি, (বিএম) ও স্নাতক (পাস) পর্যায় চালু রয়েছে। এসব পর্যায়ে শিক্ষক না থাকায় বিষয়গুলোয় তেমন ক্লাস হয় না। শিক্ষক সঙ্কটের কারণে ওইসব বিষয়গুলোয় কোন ক্ষেত্রে কম এবং কোন ক্ষেত্রে একেবারেই ক্লাস হচ্ছে না। কলেজের একাধিক বিভাগের শিক্ষকরা জানান, শিক্ষক স্বল্পতার কারণে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর শিক্ষককে বাড়তি ক্লাস নিতে হচ্ছে। দীর্ঘসময় ধরে এ সঙ্কট চলতে থাকলে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান জানান, শিক্ষক সঙ্কটে একদিকে যেমন পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে অফিস সহকারী, সুইপার ও নৈশপ্রহরী না থাকায় অন্যান্য কার্যক্রমেও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

রবিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২১ , ২২ কার্তিক ১৪২৮ ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

বাগাতিপাড়া ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষসহ ২৭ পদ শূন্য

সংবাদদাতা, বাগাতিপাড়া (নাটোর)

সদ্য জাতীয়করণকরা বাগাতিপাড়া সরকারি ডিগ্রী কলেজ। শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১২০০ জন। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষক সঙ্কটে ভুগছে। অধ্যক্ষসহ ২৭টি পদ শূন্য হয়েছে অনেক আগেই। এরমধ্যে দুটি বিভাগে কোন শিক্ষকই নেই। এছাড়াও অফিস সহকারী, সুইপার ও নৈশপ্রহরীও সঙ্কট রয়েছে সরকারি এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ফলে পাঠদানসহ শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সরকারি ঘোষণার কারণে কমিটি কর্তৃক নিয়োগ প্রদানে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এসব জনবল নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না বলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানিয়েছেন। জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৪ আগস্ট কলেজের অধ্যক্ষ অবসর গ্রহণ করেন। এরপর থেকে উপাধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন। এ কলেজে ৫৭ শিক্ষক পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৩৬ জন। শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ২১ জনের। এর মধ্যে দর্শন ও মনোবিজ্ঞান বিভাগে একজন শিক্ষকও নেই। এছাড়াও শূন্য রয়েছে প্রদর্শকের পদে একজন, অফিস সহকারী একজন এবং কর্মচারীদের মধ্যে সুইপার ও নৈশপ্রহরীসহ ৪টি পদ। এমন পরিস্থিতিতে পাঠদান অনিয়মিত হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম হুমকির মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে মনোবিজ্ঞান ও দর্শন বিভাগে ৩ জন করে, সমাজবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ২ জন করে এবং বাংলা, ইংরেজি, সমাজকর্ম, ভুগোল, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, পদার্থ, রসায়ন, গণিত, পরিসংখ্যান ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগে একজন করে সঙ্কট রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সিলেবাস শেষ করতে পারছেন না। শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজটিতে একাদশ, এইচএসসি, (বিএম) ও স্নাতক (পাস) পর্যায় চালু রয়েছে। এসব পর্যায়ে শিক্ষক না থাকায় বিষয়গুলোয় তেমন ক্লাস হয় না। শিক্ষক সঙ্কটের কারণে ওইসব বিষয়গুলোয় কোন ক্ষেত্রে কম এবং কোন ক্ষেত্রে একেবারেই ক্লাস হচ্ছে না। কলেজের একাধিক বিভাগের শিক্ষকরা জানান, শিক্ষক স্বল্পতার কারণে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর শিক্ষককে বাড়তি ক্লাস নিতে হচ্ছে। দীর্ঘসময় ধরে এ সঙ্কট চলতে থাকলে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান জানান, শিক্ষক সঙ্কটে একদিকে যেমন পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে অফিস সহকারী, সুইপার ও নৈশপ্রহরী না থাকায় অন্যান্য কার্যক্রমেও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।