ইউপি নির্বাচন বরগুনায় সংঘর্ষ আহত ৩৫

বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত দু’পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় উভয়পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুত্বর ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসিরের ভাই মো.সগির হোসেন এ ঘটনায় বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫শ’ থেকে ৬শ’ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নৌকা প্রতীকের পার্থী অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার মনসাতলী নামকস্থানে আমার নির্বাচনী ক্যাম্পে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ বারী বাদল এর ইন্ধনে তার সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায়। পরবর্তীতে আমি আমার কর্মীদের নিয়ে এম এ বারী বাদলের বাড়ির সামনে দিয়ে উঠান বৈঠকে যাওয়ার সময় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য করে এবং আমার সাথে থাকা কর্মীদের ওপর পুনরায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এম এ বারী বাদলের কর্মী সমর্থকরা। এ সময় আমাকে আমার কর্মীরা নিরাপদে রাখতে সরিয়ে নিয়ে যায়। তবে আমার সাথে থাকা ৪ কর্মী গুরুতর জখম হন। পরে রাত ১০টার দিকে এম এ বারী বাদলের বাড়ির সামনে দিয়ে ফেরার পথে পুনরায় হামলা চালায় তার কর্মী সমর্থকরা। এসব ঘটনায় আমার অন্তত অর্ধশতাধিক কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে গুরুত্বর জখম ৮ জনকে বরগুনা সদর হাসপাতাল এবং একজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) এম এ বারী বাদল বলেন, সন্ধ্যার পরে আনারসের কর্মীরা মিছিল নিয়ে লাকুরতলা নামকস্থানে যাওয়ার পথে মনসাতলী নামকস্থানে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা অতর্কিত হামলা করে। পরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসিরের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে হামলা করার চেষ্টা করলে আমার কর্মী সমর্থকরা তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় আমার ১৫ থেকে ২০ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে গুরুত্ব আহত ৪ জনকে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। মামলার বিষয়ে ওসি বলেন, নাজমুল ইসলাম নাসিরের পক্ষে একটি মামলা এজাহার করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া চলমান আছে।

রবিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২১ , ২২ কার্তিক ১৪২৮ ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

ইউপি নির্বাচন বরগুনায় সংঘর্ষ আহত ৩৫

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরগুনা

বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত দু’পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় উভয়পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুত্বর ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসিরের ভাই মো.সগির হোসেন এ ঘটনায় বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫শ’ থেকে ৬শ’ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নৌকা প্রতীকের পার্থী অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার মনসাতলী নামকস্থানে আমার নির্বাচনী ক্যাম্পে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ বারী বাদল এর ইন্ধনে তার সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায়। পরবর্তীতে আমি আমার কর্মীদের নিয়ে এম এ বারী বাদলের বাড়ির সামনে দিয়ে উঠান বৈঠকে যাওয়ার সময় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য করে এবং আমার সাথে থাকা কর্মীদের ওপর পুনরায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এম এ বারী বাদলের কর্মী সমর্থকরা। এ সময় আমাকে আমার কর্মীরা নিরাপদে রাখতে সরিয়ে নিয়ে যায়। তবে আমার সাথে থাকা ৪ কর্মী গুরুতর জখম হন। পরে রাত ১০টার দিকে এম এ বারী বাদলের বাড়ির সামনে দিয়ে ফেরার পথে পুনরায় হামলা চালায় তার কর্মী সমর্থকরা। এসব ঘটনায় আমার অন্তত অর্ধশতাধিক কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে গুরুত্বর জখম ৮ জনকে বরগুনা সদর হাসপাতাল এবং একজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) এম এ বারী বাদল বলেন, সন্ধ্যার পরে আনারসের কর্মীরা মিছিল নিয়ে লাকুরতলা নামকস্থানে যাওয়ার পথে মনসাতলী নামকস্থানে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা অতর্কিত হামলা করে। পরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসিরের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে হামলা করার চেষ্টা করলে আমার কর্মী সমর্থকরা তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় আমার ১৫ থেকে ২০ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে গুরুত্ব আহত ৪ জনকে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। মামলার বিষয়ে ওসি বলেন, নাজমুল ইসলাম নাসিরের পক্ষে একটি মামলা এজাহার করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া চলমান আছে।