কক্সবাজারে আটকে পড়া ৩০ হাজার পর্যটক বিপদে

গন্তব্যে পৌঁছে দিতে কন্ট্রোল রুম খুলেছে পুলিশ

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আটকে পড়া প্রায় ৩০ হাজার পর্যটক চরম দুর্ভোগে পড়েছে। দেশব্যাপী পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবে আটকে পড়া পর্যটকদের জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম সংবাদকে জানান, পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে কক্সবাজারে আটকে পড়া পর্যটকদের চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছে জেলা পুলিশ। আটকে পড়া পর্যটকদের সেবা দিতে ইতোমধ্যে একটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করে নাম এন্ট্রির মাধ্যমে পর্যটকরা চট্টগ্রাম পর্যন্ত যাচ্ছেন।

ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, যে সমস্ত পর্যটক কক্সবাজারে বেড়াতে এসে আটকা পড়েছেন তাদেরকে জেলা পুলিশের নিজস্ব পরিবহনে বিনা খরচে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, যারা ফিরতে ইচ্ছুক তাদের কক্সবাজার পুলিশ লাইনে এসে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। জানা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটিতে বৃহস্পতি-শুক্র ও শনিবার হাতে রেখে কক্সবাজার আসেন লাখো পর্যটক। কিন্তু, হঠাৎ যান চলাচল বন্ধের ঘোষণায় পর্যটকরা পড়ে যায় চরম দুর্ভোগে। কিন্তু কিছু কিছু পর্যটক ক্ষুদ্র যানবাহনে করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছেছেন।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার সংবাদকে জানিয়েছেন, আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষ রুম বুকিংয়ে ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। তবে গত দুইদিনে

বেশিরভাগ পর্যটক আকাশপথ ও বিভিন্ন ছোট যানবাহনে করে কক্সবাজার ছেড়ে গেছে। যেতে পারেনি এরকম ৩০ হাজারের বেশি হতে পারে। তবে এই সংখ্যক পর্যটক সবসময় কক্সবাজারের অবস্থান করে থাকে।

পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে পর্যটন শিল্পের ক্ষতি কথা উল্লেখ করে আবুল কাশেম সিকদার আরও জানান, আগে থেকে হোটেলে রুম বুকিং দিয়ে যাদের শুক্রবার বিকেলে পৌঁছানোর কথা ছিল, তারা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় কক্সবাজারে ভ্রমণে আসতে পারেননি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও।

কক্সবাজার তাজ করপোরেশন অ্যান্ড ট্রাভেলস সেন্টারের মালিক জানে আলম সংবাদকে বলেন, কক্সবাজার থেকে বিমানের ফিরতি টিকেটের দাম হঠাৎ বেড়েছে। অন্য সময়ে তিন হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায় যেতে পারলেও শুক্রবার-শনিবার সর্বনিম্ন ৭ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। অনেক পর্যটক টিকিট করতে এসেও সাধ্যের ভেতর না হওয়ায় টিকিট না নিয়ে ফিরে গেছেন।

কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, গণপরিবহন বন্ধের বিষয়টি জাতীয় ইস্যু। তারপরও অসুবিধায় পড়া পর্যটকরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।

রবিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২১ , ২২ কার্তিক ১৪২৮ ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

কক্সবাজারে আটকে পড়া ৩০ হাজার পর্যটক বিপদে

গন্তব্যে পৌঁছে দিতে কন্ট্রোল রুম খুলেছে পুলিশ

প্রতিনিধি, কক্সবাজার

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আটকে পড়া প্রায় ৩০ হাজার পর্যটক চরম দুর্ভোগে পড়েছে। দেশব্যাপী পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবে আটকে পড়া পর্যটকদের জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম সংবাদকে জানান, পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে কক্সবাজারে আটকে পড়া পর্যটকদের চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছে জেলা পুলিশ। আটকে পড়া পর্যটকদের সেবা দিতে ইতোমধ্যে একটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করে নাম এন্ট্রির মাধ্যমে পর্যটকরা চট্টগ্রাম পর্যন্ত যাচ্ছেন।

ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, যে সমস্ত পর্যটক কক্সবাজারে বেড়াতে এসে আটকা পড়েছেন তাদেরকে জেলা পুলিশের নিজস্ব পরিবহনে বিনা খরচে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, যারা ফিরতে ইচ্ছুক তাদের কক্সবাজার পুলিশ লাইনে এসে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। জানা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটিতে বৃহস্পতি-শুক্র ও শনিবার হাতে রেখে কক্সবাজার আসেন লাখো পর্যটক। কিন্তু, হঠাৎ যান চলাচল বন্ধের ঘোষণায় পর্যটকরা পড়ে যায় চরম দুর্ভোগে। কিন্তু কিছু কিছু পর্যটক ক্ষুদ্র যানবাহনে করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছেছেন।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার সংবাদকে জানিয়েছেন, আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষ রুম বুকিংয়ে ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। তবে গত দুইদিনে

বেশিরভাগ পর্যটক আকাশপথ ও বিভিন্ন ছোট যানবাহনে করে কক্সবাজার ছেড়ে গেছে। যেতে পারেনি এরকম ৩০ হাজারের বেশি হতে পারে। তবে এই সংখ্যক পর্যটক সবসময় কক্সবাজারের অবস্থান করে থাকে।

পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে পর্যটন শিল্পের ক্ষতি কথা উল্লেখ করে আবুল কাশেম সিকদার আরও জানান, আগে থেকে হোটেলে রুম বুকিং দিয়ে যাদের শুক্রবার বিকেলে পৌঁছানোর কথা ছিল, তারা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় কক্সবাজারে ভ্রমণে আসতে পারেননি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও।

কক্সবাজার তাজ করপোরেশন অ্যান্ড ট্রাভেলস সেন্টারের মালিক জানে আলম সংবাদকে বলেন, কক্সবাজার থেকে বিমানের ফিরতি টিকেটের দাম হঠাৎ বেড়েছে। অন্য সময়ে তিন হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায় যেতে পারলেও শুক্রবার-শনিবার সর্বনিম্ন ৭ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। অনেক পর্যটক টিকিট করতে এসেও সাধ্যের ভেতর না হওয়ায় টিকিট না নিয়ে ফিরে গেছেন।

কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, গণপরিবহন বন্ধের বিষয়টি জাতীয় ইস্যু। তারপরও অসুবিধায় পড়া পর্যটকরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।