স্বাস্থ্যের নথি চুরি, ১০ দিনেও শনাক্ত করা যায়নি জড়িতদের

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথি চুরির পর ১০ দিন পার হয়ে গেলেও কোন ক্লু উদ্ঘাটন হয়নি। উদ্ধার হয়নি চুরি হওয়া ফাইল। শনাক্ত হয়নি ফাইল চুরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা। ফাইল চুরির পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৯ কর্মচারী ও স্বাস্থ্যের এক ঠিকদারকে হেফাজতে নিয়ে ১ সপ্তাহের বেশি সিআইডি কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদেও মেলেনি কোন তথ্য। ওই ৯ কর্মচারী ও ঠিকাদারকে ইতোমধ্যে ছেড়েও দিয়েছে সিআইডি। চুরির ঘটনায় মামলা না হওয়া এবং আসামি নির্দিষ্ট না হওয়ার কারণে পুলিশ তদন্তে কোন গতি পাচ্ছে না।

গত ২৭ অক্টোবর কোন এক সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের একটি কক্ষ থেকে চুরি হয় ১৭টি ফাইল। পরদিন বৃহস্পতিবার ফাইল খুঁজে না পেয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। ৩ দিন পর রোববার শাহবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের অংশ হিসেবে তারা বিভিন্ন আলমত সংগ্রহ এবং ৬ কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়। এরপর আটক করা হয় আরও ৩ কর্মচারীকে। রাজশাহী থেকে আটক করা হয় স্বাস্থ্যের ঠিকাদার নাসিমুল গনি টোটেনকেও। অভিযান চালানো হয় বিভিন্ন স্থানে। ফলাফল শূন্য।

ফাইল চুরির ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ আলম। বাকি দুই সদস্য হলেন- যুগ্ম সচিব মো. আহসান কবীর (চিকিৎসা শিক্ষা, অতিরিক্ত দায়িত্ব ক্রয় ও সংগ্রহ অধিশাখা) এবং উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি বলছে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৯ কর্মচারী ও ঠিকাদার টোটনসহ ১০ জনকে গত শুক্রবার ছেড়ে দেয় সিআইডি। ৬ দিন সিআইডি হেফাজতে থাকা স্বাস্থ্যের ৯ কর্মচারী ও এক ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদে বলার মতো কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান শনিবার বলেন, ‘বলার মতো কিছু নেই। আর ওই ঘটনা তো মন্ত্রণালয় তদন্ত করছে।’

সিআইডির একজন কর্মকর্তারা বলেছেন, নথি চুরির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তারা একেক সময় একেক কথা বলেছেন। তারা সত্য কথা বলেননি। চুরির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী কর্মকর্তারা জড়িত থাকতে পারে। তাদের দ্বারাই এ কাজ হয়েছে সন্দেহ হলেও ঘটনায় মামলা না হওয়ায় সেভাবে সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি। যে ৯ কর্মচারী সিআইডি হেফাজতে ছিল তাদের রিমান্ড হেফাজতে যে পদ্ধতিতে জিজ্ঞাসাবাদ হয় সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। তারা খুবই ধূর্ত মনে হলেও কোন কিছুই করার ছিল না। তারপরও সিআইডি হাল ছেড়ে দেয়নি। তদন্ত চলমান রয়েছে।

সিআইডি বলছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে নথি চুরির ঘটনাটি পরিকল্পিত। কারণ একসঙ্গে এতোগুলো নথি একজন মানুষের পক্ষে নেয়া সম্ভব নয়। যদি একজন ব্যক্তি একসঙ্গে নথিগুলো নিতো তাহলে সেটি কারও নজরে আসতো। আবার বাইরের কোন ব্যক্তির পক্ষে মন্ত্রণালয় কর্মচারীদের সহায়তা ছাড়া নথিগুলো নেয়া সম্ভব নয়। সিআইডি নথি উদ্ধারের চেষ্টা করছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নথির কোন হদিস পাওয়া যায়নি। নথি উদ্ধারের আগে তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে, এটি বলা যাবে না। নথি চুরির ঘটনায় অগ্রগতি হলে একটি মামলা দায়ের করা হবে। তবে সিআইডি মামলা করবে না। এ ঘটনায় শাহবাগে যে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে সেটি মামলায় রূপান্তর করা হবে। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের কেউ কেউ মামলার আসামি হতে পারে বলে জানায় সিআইডি।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের যে কক্ষ থেকে নথি চুরি হয়েছে, সেখানকার সিসিক্যামেরা সেপ্টেম্বর মাসে অকোজো করা হয়। ওই কক্ষে কাদের যাতায়াত ছিল তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। শুধু সিসি ক্যামেরা নয়, আরও অনেকগুলো ফ্যাক্টর থেকে নথি চোরচক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭ নথিসহ একটি ফাইল হারিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে গত ২৮ অক্টোবর শাহবাগ থানায় জিডি করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার। জিডিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ক্রয় সংক্রান্ত শাখা-২ এর কম্পিউটার অপারেটর যোশেফ সরদার ও আয়েশা ২৭ অক্টোবর বুধবার কাজ শেষ করে ফাইলটি একটি কেবিনেটে রেখে গিয়েছিলেন। ওই ফাইলের ভেতরে ১৭টি নথি ছিল। পরদিন অফিসে গিয়ে কেবিনেটে ওই ফাইলটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। জিডি হলে ৩১ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ছয়জন কর্মচারী নিয়ে যায় সিআইডি। গত ২ নভেম্বর নেয়া হয় আরও তিন কর্মচারীকে। এর মধ্যে রাজশাহী থেকে ঠিকাদার টোটনকে ধরে আনা হয়। তাদের সিআইডি দপ্তরে রেখেই জিজ্ঞাসাবাদ চলে। এদের ছেড়ে দেয়ার পর সিআইডির কাছে আর কেউ নেই ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল চুরির ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত এবং এ ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ। এ ব্যাপারে যা যা পদক্ষেপ নেয়া দরকার আমরা নিয়েছি। আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্ত করে যা যা ব্যবস্থা নেয়া দরকার, আমরা তা নেব।’

রবিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২১ , ২২ কার্তিক ১৪২৮ ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

স্বাস্থ্যের নথি চুরি, ১০ দিনেও শনাক্ত করা যায়নি জড়িতদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথি চুরির পর ১০ দিন পার হয়ে গেলেও কোন ক্লু উদ্ঘাটন হয়নি। উদ্ধার হয়নি চুরি হওয়া ফাইল। শনাক্ত হয়নি ফাইল চুরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা। ফাইল চুরির পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৯ কর্মচারী ও স্বাস্থ্যের এক ঠিকদারকে হেফাজতে নিয়ে ১ সপ্তাহের বেশি সিআইডি কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদেও মেলেনি কোন তথ্য। ওই ৯ কর্মচারী ও ঠিকাদারকে ইতোমধ্যে ছেড়েও দিয়েছে সিআইডি। চুরির ঘটনায় মামলা না হওয়া এবং আসামি নির্দিষ্ট না হওয়ার কারণে পুলিশ তদন্তে কোন গতি পাচ্ছে না।

গত ২৭ অক্টোবর কোন এক সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের একটি কক্ষ থেকে চুরি হয় ১৭টি ফাইল। পরদিন বৃহস্পতিবার ফাইল খুঁজে না পেয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। ৩ দিন পর রোববার শাহবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের অংশ হিসেবে তারা বিভিন্ন আলমত সংগ্রহ এবং ৬ কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়। এরপর আটক করা হয় আরও ৩ কর্মচারীকে। রাজশাহী থেকে আটক করা হয় স্বাস্থ্যের ঠিকাদার নাসিমুল গনি টোটেনকেও। অভিযান চালানো হয় বিভিন্ন স্থানে। ফলাফল শূন্য।

ফাইল চুরির ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ আলম। বাকি দুই সদস্য হলেন- যুগ্ম সচিব মো. আহসান কবীর (চিকিৎসা শিক্ষা, অতিরিক্ত দায়িত্ব ক্রয় ও সংগ্রহ অধিশাখা) এবং উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি বলছে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৯ কর্মচারী ও ঠিকাদার টোটনসহ ১০ জনকে গত শুক্রবার ছেড়ে দেয় সিআইডি। ৬ দিন সিআইডি হেফাজতে থাকা স্বাস্থ্যের ৯ কর্মচারী ও এক ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদে বলার মতো কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান শনিবার বলেন, ‘বলার মতো কিছু নেই। আর ওই ঘটনা তো মন্ত্রণালয় তদন্ত করছে।’

সিআইডির একজন কর্মকর্তারা বলেছেন, নথি চুরির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তারা একেক সময় একেক কথা বলেছেন। তারা সত্য কথা বলেননি। চুরির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী কর্মকর্তারা জড়িত থাকতে পারে। তাদের দ্বারাই এ কাজ হয়েছে সন্দেহ হলেও ঘটনায় মামলা না হওয়ায় সেভাবে সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি। যে ৯ কর্মচারী সিআইডি হেফাজতে ছিল তাদের রিমান্ড হেফাজতে যে পদ্ধতিতে জিজ্ঞাসাবাদ হয় সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। তারা খুবই ধূর্ত মনে হলেও কোন কিছুই করার ছিল না। তারপরও সিআইডি হাল ছেড়ে দেয়নি। তদন্ত চলমান রয়েছে।

সিআইডি বলছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে নথি চুরির ঘটনাটি পরিকল্পিত। কারণ একসঙ্গে এতোগুলো নথি একজন মানুষের পক্ষে নেয়া সম্ভব নয়। যদি একজন ব্যক্তি একসঙ্গে নথিগুলো নিতো তাহলে সেটি কারও নজরে আসতো। আবার বাইরের কোন ব্যক্তির পক্ষে মন্ত্রণালয় কর্মচারীদের সহায়তা ছাড়া নথিগুলো নেয়া সম্ভব নয়। সিআইডি নথি উদ্ধারের চেষ্টা করছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নথির কোন হদিস পাওয়া যায়নি। নথি উদ্ধারের আগে তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে, এটি বলা যাবে না। নথি চুরির ঘটনায় অগ্রগতি হলে একটি মামলা দায়ের করা হবে। তবে সিআইডি মামলা করবে না। এ ঘটনায় শাহবাগে যে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে সেটি মামলায় রূপান্তর করা হবে। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের কেউ কেউ মামলার আসামি হতে পারে বলে জানায় সিআইডি।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের যে কক্ষ থেকে নথি চুরি হয়েছে, সেখানকার সিসিক্যামেরা সেপ্টেম্বর মাসে অকোজো করা হয়। ওই কক্ষে কাদের যাতায়াত ছিল তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। শুধু সিসি ক্যামেরা নয়, আরও অনেকগুলো ফ্যাক্টর থেকে নথি চোরচক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭ নথিসহ একটি ফাইল হারিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে গত ২৮ অক্টোবর শাহবাগ থানায় জিডি করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার। জিডিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ক্রয় সংক্রান্ত শাখা-২ এর কম্পিউটার অপারেটর যোশেফ সরদার ও আয়েশা ২৭ অক্টোবর বুধবার কাজ শেষ করে ফাইলটি একটি কেবিনেটে রেখে গিয়েছিলেন। ওই ফাইলের ভেতরে ১৭টি নথি ছিল। পরদিন অফিসে গিয়ে কেবিনেটে ওই ফাইলটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। জিডি হলে ৩১ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ছয়জন কর্মচারী নিয়ে যায় সিআইডি। গত ২ নভেম্বর নেয়া হয় আরও তিন কর্মচারীকে। এর মধ্যে রাজশাহী থেকে ঠিকাদার টোটনকে ধরে আনা হয়। তাদের সিআইডি দপ্তরে রেখেই জিজ্ঞাসাবাদ চলে। এদের ছেড়ে দেয়ার পর সিআইডির কাছে আর কেউ নেই ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল চুরির ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত এবং এ ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ। এ ব্যাপারে যা যা পদক্ষেপ নেয়া দরকার আমরা নিয়েছি। আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্ত করে যা যা ব্যবস্থা নেয়া দরকার, আমরা তা নেব।’