জলবায়ুর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর নৈতিক কন্ঠস্বর শেখ হাসিনা মোমেন

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ২৬-এ নেতৃত্বের ভূমিকা পালনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর নৈতিক কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

গতকাল লন্ডন থেকে এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু ফোরামে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। নৈতিক কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন তিনি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৪৮টি দেশের গ্রুপ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) নেতৃত্ব দিয়ে কপ২৬-এর ফলাফল প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে অন্যতম মধ্যস্থতাকারী হয়ে উঠেছেন।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঁচজন চুক্তিকারকের অন্যতম হিসেবে অভিহিত করে বলে, শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ভর করে এই পাঁচজন আলোচকের ওপর, যাদের ফলাফলের ওপর বড় প্রভাব রয়েছে।

জলবায়ু অর্থায়ন পাওয়ার বিষয়ে অনেক আশ্বাস পাওয়া গেছে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘আমি কপ২৬ এর ফলাফল সম্পর্কে খুব আশাবাদী। ইতোমধ্যে ৩৭টি দেশ বাংলাদেশের মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে তাদের জাতীয় পরিকল্পনা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এটি বাংলাদেশের একটি অর্জন।

প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক জলবায়ু তহবিল সম্পর্কে ডা. মোমেন বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত দেশগুলো ইতোমধ্যে তহবিলের জন্য একটি লাইন-আপ তৈরি করেছে। বেসরকারি খাতের সহায়তায় এই তহবিল ট্রিলিয়ন ডলারও হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

৪৮-দেশের সিভিএফ নেতাদের সংলাপের পরে ঢাকা-গ্লাসগো ঘোষণা গৃহীত হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কপ২৬ সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং সিভিএফ থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ হোসেনও স্কটিশ শহরের কপ২৬ ভেন্যুতে ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম লিডারস ডায়ালগ : ফোরজিং এ সিভিএফ-কপ২৬ ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি প্যাক্ট’ শীর্ষক এ সংলাপে বক্তব্য রাখেন।

এর আগে ৩১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে দুই সপ্তাহের সফরে গ্লাসগো পৌঁছেন। গ্লাসগোতে কপ২৬ এ যোগদান শেষে ৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে পৌঁছান এবং ৯ নভেম্বর তিনি ব্রিটিশ রাজধানী থেকে প্যারিসের উদ্দেশে রওনা হবেন। প্রধানমন্ত্রী ১৩ নভেম্বর ঢাকার উদ্দেশ্যে প্যারিস ত্যাগ করবেন এবং ১৪ নভেম্বর দেশে পৌঁছবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও খবর
শিক্ষক সংকট, মুখ থুবড়ে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা
ডিজেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়ছে : তথ্যমন্ত্রী
সচেতন হলে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমানো সম্ভব
তেলের দাম বৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
সাধারণ মানুষ না খেয়ে মরার পর্যায়ে চলে গেছে : ফখরুল
আমরা ধর্মঘট করিনি, আহ্বানও করিনি : রাঙ্গা
অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে, চলবে
ডিজেলের দাম বৃদ্ধির নিন্দা-প্রতিবাদ বিভিন্ন সংগঠন ও দলের প্রত্যাহার দাবি
প্রধানমন্ত্রী চান সম্প্রসারণ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা চান সংকোচন আইডিইবি নেতাদের অভিযোগ
সবার সমন্বিত উদ্যোগে সারাদেশে পুষ্টিসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব সেব্রিনা ফ্লোরা
বদলে গেছে কৃষকের ভাগ্য

রবিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২১ , ২২ কার্তিক ১৪২৮ ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

জলবায়ুর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর নৈতিক কন্ঠস্বর শেখ হাসিনা মোমেন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ২৬-এ নেতৃত্বের ভূমিকা পালনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর নৈতিক কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

গতকাল লন্ডন থেকে এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু ফোরামে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। নৈতিক কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন তিনি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৪৮টি দেশের গ্রুপ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) নেতৃত্ব দিয়ে কপ২৬-এর ফলাফল প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে অন্যতম মধ্যস্থতাকারী হয়ে উঠেছেন।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঁচজন চুক্তিকারকের অন্যতম হিসেবে অভিহিত করে বলে, শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ভর করে এই পাঁচজন আলোচকের ওপর, যাদের ফলাফলের ওপর বড় প্রভাব রয়েছে।

জলবায়ু অর্থায়ন পাওয়ার বিষয়ে অনেক আশ্বাস পাওয়া গেছে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘আমি কপ২৬ এর ফলাফল সম্পর্কে খুব আশাবাদী। ইতোমধ্যে ৩৭টি দেশ বাংলাদেশের মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে তাদের জাতীয় পরিকল্পনা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এটি বাংলাদেশের একটি অর্জন।

প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক জলবায়ু তহবিল সম্পর্কে ডা. মোমেন বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত দেশগুলো ইতোমধ্যে তহবিলের জন্য একটি লাইন-আপ তৈরি করেছে। বেসরকারি খাতের সহায়তায় এই তহবিল ট্রিলিয়ন ডলারও হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

৪৮-দেশের সিভিএফ নেতাদের সংলাপের পরে ঢাকা-গ্লাসগো ঘোষণা গৃহীত হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কপ২৬ সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং সিভিএফ থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ হোসেনও স্কটিশ শহরের কপ২৬ ভেন্যুতে ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম লিডারস ডায়ালগ : ফোরজিং এ সিভিএফ-কপ২৬ ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি প্যাক্ট’ শীর্ষক এ সংলাপে বক্তব্য রাখেন।

এর আগে ৩১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে দুই সপ্তাহের সফরে গ্লাসগো পৌঁছেন। গ্লাসগোতে কপ২৬ এ যোগদান শেষে ৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে পৌঁছান এবং ৯ নভেম্বর তিনি ব্রিটিশ রাজধানী থেকে প্যারিসের উদ্দেশে রওনা হবেন। প্রধানমন্ত্রী ১৩ নভেম্বর ঢাকার উদ্দেশ্যে প্যারিস ত্যাগ করবেন এবং ১৪ নভেম্বর দেশে পৌঁছবেন বলে আশা করা হচ্ছে।