সবার সমন্বিত উদ্যোগে সারাদেশে পুষ্টিসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব সেব্রিনা ফ্লোরা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী। তাদের মধ্যে অসচেতনতার কারণে অনেকে অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভুগছে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্যবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে পুষ্টিসেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের সব বিশেষায়িত জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকে পুষ্টিকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে সর্বত্র স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের অনুমোদিত স্কুল, মাদরাসা ও এতিমখানাগুলোতে পুষ্টি কার্যক্রম বেগবান করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সবার আন্তরিকতা ও সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সারাদেশে পুষ্টিসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের দি পেনিনসুলা হোটেলের ডালিয়া হলে আয়োজিত ‘মাল্টি-সেক্টরাল নিউট্রিশন কো-অর্ডিনেশনে সহায়তাকরণ’ বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনএনএস, আইপিএইচএন ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করেন।

তিনি বলেন, প্যাকেজ প্রোগ্রামের মাধ্যমে জাতীয় নিউট্রিশন কার্যক্রম জোরদার করতে সংশ্লিষ্টদেরকে আরও আন্তরিক হতে হবে। নোয়াখালীর ভাসানচরে অবস্থানরত শিশু-কিশোরদের পুষ্টি সেবার আওতায় আনতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সচেতনতায় সারাদেশে বিদ্যালয়গুলোতে ক্ষুদ্র ডাক্তার পুষ্টি সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সুস্থ-সবল জাতি গঠনে পুষ্টিকর খাবারের কোন বিকল্প নেই। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় পুষ্টি সেবা প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর ডা. এস.এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অপুষ্টি একটি জাতীয় সমস্যা। তা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা সবার দায়িত্ব। খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবতে হবে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার অত্যন্ত প্রয়োজন। নতুবা জন্মের পর শিশু অপুষ্টি ভুগে বিকলাঙ্গসহ নানান রোগে আক্রান্ত হতে পারে। জন্মের পর পর যে শিশুকে মায়ের দুধ ছাড়া অন্য কোন বিকল্প খাবার দেয়া হবে না সে শিশু ভবিষ্যতে সুস্থ ও মেধাবী হবে। এসডিজির গোল অর্জনসহ কিশোর-কিশোরীদেরকে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতন করতে সরকার সারাদেশে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সর্বত্র ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলে এ কর্মশালা গুরুত্ব পাবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের আউটব্রেক ইনভেস্টিগেশন অফিসার (আইডিসিআর) ডা. মুশতারী মমতাজ মিমির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় পুষ্টি সেবা প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর ডা. এস.এম মোস্তাফিজুর রহমান ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. সাখাওয়াত উল্ল্যাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে জাতীয় নিউট্রিশন কার্যক্রম বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় পুষ্টি সেবা প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ডিপিএম) ডা. নন্দলাল সুত্রধর ও ডিপিএম ডা. মাহফুজা হক ডালিয়া। কর্মশালায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. আবদুর রব, বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন ডা. অং সুই প্রু মার্মা, কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন, নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন, লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. নাজিয়া বিনতে আমিন প্রমুখ। চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ৬টি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, ১১ জেলার সিভিল সার্জন, বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশ নেন।

আরও খবর
শিক্ষক সংকট, মুখ থুবড়ে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা
ডিজেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়ছে : তথ্যমন্ত্রী
সচেতন হলে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমানো সম্ভব
জলবায়ুর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর নৈতিক কন্ঠস্বর শেখ হাসিনা মোমেন
তেলের দাম বৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
সাধারণ মানুষ না খেয়ে মরার পর্যায়ে চলে গেছে : ফখরুল
আমরা ধর্মঘট করিনি, আহ্বানও করিনি : রাঙ্গা
অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে, চলবে
ডিজেলের দাম বৃদ্ধির নিন্দা-প্রতিবাদ বিভিন্ন সংগঠন ও দলের প্রত্যাহার দাবি
প্রধানমন্ত্রী চান সম্প্রসারণ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা চান সংকোচন আইডিইবি নেতাদের অভিযোগ
বদলে গেছে কৃষকের ভাগ্য

রবিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২১ , ২২ কার্তিক ১৪২৮ ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

সবার সমন্বিত উদ্যোগে সারাদেশে পুষ্টিসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব সেব্রিনা ফ্লোরা

চট্টগ্রাম ব্যুরো

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী। তাদের মধ্যে অসচেতনতার কারণে অনেকে অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভুগছে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্যবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে পুষ্টিসেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের সব বিশেষায়িত জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকে পুষ্টিকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে সর্বত্র স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের অনুমোদিত স্কুল, মাদরাসা ও এতিমখানাগুলোতে পুষ্টি কার্যক্রম বেগবান করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সবার আন্তরিকতা ও সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সারাদেশে পুষ্টিসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের দি পেনিনসুলা হোটেলের ডালিয়া হলে আয়োজিত ‘মাল্টি-সেক্টরাল নিউট্রিশন কো-অর্ডিনেশনে সহায়তাকরণ’ বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনএনএস, আইপিএইচএন ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করেন।

তিনি বলেন, প্যাকেজ প্রোগ্রামের মাধ্যমে জাতীয় নিউট্রিশন কার্যক্রম জোরদার করতে সংশ্লিষ্টদেরকে আরও আন্তরিক হতে হবে। নোয়াখালীর ভাসানচরে অবস্থানরত শিশু-কিশোরদের পুষ্টি সেবার আওতায় আনতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সচেতনতায় সারাদেশে বিদ্যালয়গুলোতে ক্ষুদ্র ডাক্তার পুষ্টি সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সুস্থ-সবল জাতি গঠনে পুষ্টিকর খাবারের কোন বিকল্প নেই। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় পুষ্টি সেবা প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর ডা. এস.এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অপুষ্টি একটি জাতীয় সমস্যা। তা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা সবার দায়িত্ব। খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবতে হবে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার অত্যন্ত প্রয়োজন। নতুবা জন্মের পর শিশু অপুষ্টি ভুগে বিকলাঙ্গসহ নানান রোগে আক্রান্ত হতে পারে। জন্মের পর পর যে শিশুকে মায়ের দুধ ছাড়া অন্য কোন বিকল্প খাবার দেয়া হবে না সে শিশু ভবিষ্যতে সুস্থ ও মেধাবী হবে। এসডিজির গোল অর্জনসহ কিশোর-কিশোরীদেরকে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতন করতে সরকার সারাদেশে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সর্বত্র ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলে এ কর্মশালা গুরুত্ব পাবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের আউটব্রেক ইনভেস্টিগেশন অফিসার (আইডিসিআর) ডা. মুশতারী মমতাজ মিমির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় পুষ্টি সেবা প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর ডা. এস.এম মোস্তাফিজুর রহমান ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. সাখাওয়াত উল্ল্যাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে জাতীয় নিউট্রিশন কার্যক্রম বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় পুষ্টি সেবা প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ডিপিএম) ডা. নন্দলাল সুত্রধর ও ডিপিএম ডা. মাহফুজা হক ডালিয়া। কর্মশালায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. আবদুর রব, বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন ডা. অং সুই প্রু মার্মা, কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন, নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন, লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. নাজিয়া বিনতে আমিন প্রমুখ। চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ৬টি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, ১১ জেলার সিভিল সার্জন, বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশ নেন।