বাস ধর্মঘট : যাত্রীদের চাপ সামলাতে ট্রেনে অতিরিক্ত বগি

বাস ধর্মঘটের কারণে ট্রেনে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ, সেই চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত বগির বন্দোবস্ত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সারাদেশে বাস ধর্মঘটের কারণে দূরপাল্লার যাত্রীদের এখন একমাত্র ভরসা ট্রেন।

গতকাল সকাল থেকে বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রেল স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। সেই চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত বগি দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে আগাম টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়ায় গতকাল যারা বনানী, কমলাপুর স্টেশনে গেছেন, তাদের অনেকেই ট্রেনের টিকিট পাননি। এদিকে অতিরিক্ত যাত্রীচাপ সামলাতে বিভিন্ন ট্রেনে ২২টি অতিরিক্ত বগি যোগ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও যোগ করা হবে বলে জানিয়েছেন কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার।

মাসুদ সারোয়ার বলেন, ‘ধর্মঘট থাকার কারণে ট্রেনে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। আমাদের যাত্রী দ্বিগুণ হয়েছে। আমরা বিভিন্ন ট্রেনে ২২টি অতিরিক্ত বগি যোগ করেছি। প্রয়োজনে আরও যোগ করা হবে।’

তবে, করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে রেল কর্তৃপক্ষ এখনও দাঁড়িয়ে ভ্রমণের (স্ট্যান্ডিং) টিকিট বিক্রি করছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের ট্রেনে উঠানো হচ্ছে। স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রির কোন নির্দেশনা এখনও আসেনি।’

এদিকে শুধুমাত্র সিট হিসেব করে টিকেট বিক্রি অর্থাৎ স্টান্ডিং টিকেট না দেয়ায় যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে বড় দুর্ভোগে।

এদিকে রেলস্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্ল্যাটফর্মে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কর্মচারীদের। কে কার আগে যাবেন একটা টিকেট নিতে চলছে তারই প্রতিযোগিতা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করেও টিকিট না পেয়ে ফিরে গছেন অনেকেই।

গত শুক্রবার শুরু হয়ে গতকাল পর্যন্ত দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দিন শেষে রাতেও ছিল কমলাপুর রেলস্টেশন বাড়িফেরা মানুষের উপচেপড়া ভিড় ।

অনেকেই ঢাকায় এসে বিপদে পড়ে গেছেন। বনানী রেলস্টেশনে কথা হয় শাহীন আলমের সঙ্গে। ময়মনসিংহ থেকে এসেছেন চিকিৎসার জন্য। এসে আটকে পড়েছেন। তিনি বলেন, ঢাকায় এসে খুব বিপদে পড়ে গেছি। থাকবো এমন কোন আত্মীয় নেই। টিকেট না পেলে রাতটা স্টেশনেই থাকতে হবে। আবার যারা টিকিট পেয়েছেন তাদেরও অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় ট্রেনের জন্য। তবে অনেক যাত্রী বলেন, ভাড়া বাড়ালেও তা যেন জনসাধারণের আয়ত্তের মধ্যেই থাকে।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে হঠাৎ গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে সাধারণ মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজে ভর্তি এবং একদিনে ২৬টি সরকারি চাকরি পরীক্ষা ছাড়াও নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে রাজধানীতে এসে আটকা পড়েছেন বহু মানুষ। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে শুক্রবার সারাদেশে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ।

রবিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২১ , ২২ কার্তিক ১৪২৮ ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

বাস ধর্মঘট : যাত্রীদের চাপ সামলাতে ট্রেনে অতিরিক্ত বগি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বাস ধর্মঘটের কারণে ট্রেনে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ, সেই চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত বগির বন্দোবস্ত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সারাদেশে বাস ধর্মঘটের কারণে দূরপাল্লার যাত্রীদের এখন একমাত্র ভরসা ট্রেন।

গতকাল সকাল থেকে বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রেল স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। সেই চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত বগি দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে আগাম টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়ায় গতকাল যারা বনানী, কমলাপুর স্টেশনে গেছেন, তাদের অনেকেই ট্রেনের টিকিট পাননি। এদিকে অতিরিক্ত যাত্রীচাপ সামলাতে বিভিন্ন ট্রেনে ২২টি অতিরিক্ত বগি যোগ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও যোগ করা হবে বলে জানিয়েছেন কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার।

মাসুদ সারোয়ার বলেন, ‘ধর্মঘট থাকার কারণে ট্রেনে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। আমাদের যাত্রী দ্বিগুণ হয়েছে। আমরা বিভিন্ন ট্রেনে ২২টি অতিরিক্ত বগি যোগ করেছি। প্রয়োজনে আরও যোগ করা হবে।’

তবে, করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে রেল কর্তৃপক্ষ এখনও দাঁড়িয়ে ভ্রমণের (স্ট্যান্ডিং) টিকিট বিক্রি করছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের ট্রেনে উঠানো হচ্ছে। স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রির কোন নির্দেশনা এখনও আসেনি।’

এদিকে শুধুমাত্র সিট হিসেব করে টিকেট বিক্রি অর্থাৎ স্টান্ডিং টিকেট না দেয়ায় যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে বড় দুর্ভোগে।

এদিকে রেলস্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্ল্যাটফর্মে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কর্মচারীদের। কে কার আগে যাবেন একটা টিকেট নিতে চলছে তারই প্রতিযোগিতা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করেও টিকিট না পেয়ে ফিরে গছেন অনেকেই।

গত শুক্রবার শুরু হয়ে গতকাল পর্যন্ত দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দিন শেষে রাতেও ছিল কমলাপুর রেলস্টেশন বাড়িফেরা মানুষের উপচেপড়া ভিড় ।

অনেকেই ঢাকায় এসে বিপদে পড়ে গেছেন। বনানী রেলস্টেশনে কথা হয় শাহীন আলমের সঙ্গে। ময়মনসিংহ থেকে এসেছেন চিকিৎসার জন্য। এসে আটকে পড়েছেন। তিনি বলেন, ঢাকায় এসে খুব বিপদে পড়ে গেছি। থাকবো এমন কোন আত্মীয় নেই। টিকেট না পেলে রাতটা স্টেশনেই থাকতে হবে। আবার যারা টিকিট পেয়েছেন তাদেরও অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় ট্রেনের জন্য। তবে অনেক যাত্রী বলেন, ভাড়া বাড়ালেও তা যেন জনসাধারণের আয়ত্তের মধ্যেই থাকে।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে হঠাৎ গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে সাধারণ মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজে ভর্তি এবং একদিনে ২৬টি সরকারি চাকরি পরীক্ষা ছাড়াও নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে রাজধানীতে এসে আটকা পড়েছেন বহু মানুষ। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে শুক্রবার সারাদেশে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ।