চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতেও সুখবর

চার মাসে ৩৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার রপ্তানি

দীর্ঘদিন ধরে সংকটে থাকা চামড়া ও চামড়জাত পণ্যের রপ্তানি কমছিল। রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও তেমন সুবিধা হচ্ছিল না। শুধু সরকারি পর্যায় নয়, বেসরকারিভাবে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছিল। সেই উদ্যোগগুলোর সুফল আসতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন পতনে থাকা চামড়া খাত ফের জেগে উঠছে। রপ্তানি আয়ও বাড়তে শুরু করেছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৩ হাজার ১২৮ কোটি টাকা। এই পরিমাণ গত ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি। আর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি।

আর এই আয়ের ৬২ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকাই এসেছে জুতা রপ্তানি থেকে। গত বছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে এই খাত থেকে ২৮ কোটি ৩২ লাখ ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, চামড়া খাতে প্রচুর ক্রয়াদেশ আসছে। সামনে আরও রপ্তানি বাড়বে। বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের প্রধান বাজার হচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশে রপ্তানি হয় এই পণ্য।

মহামারী করোনার কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে এই দেশগুলো। ছোট-বড় সব ধরনের শপিং মল খুলেছে। মানুষজন এখন পুরোদমে কেনাকাটা করছে। অর্থনীতি আবার গতি ফিরে এসেছে। অন্যান্য পণ্যের মতো চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে। সে কারণেই রপ্তানি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা।

লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিশ্বে জুতার মোট বাজারের ৫৫ শতাংশ চীনের দখলে। ভারত ও ভিয়েতনামেরও ভালো অবস্থান আছে। বিশ্বে জুতার বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮তম। তবে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের এ খাতে অবদান মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

করোনার পর তৈরি পোশাকের মতো চামড়া খাতের রপ্তানিতেও নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রধান রপ্তানিকারক দেশ চীনের কিছু অর্ডার বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে। ভিয়েতনাম থেকেও অর্ডার আসছে। এসব সুযোগ ভালোমতো কাজে লাগাতে পারলে ভবিষ্যতে রপ্তানি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে ১১৩ কোটি ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা বেড়ে ১১৬ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে এই আয় আরও বেড়ে হয় ১২৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে চামড়াশিল্প থেকে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয়।

এরপর থেকেই ধস নামে এ খাতের রপ্তানিতে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা ১০৮ কোটি ৫৪ লাখ ডলারে নেমে আসে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা আরও কমে ১০২ কোটি ডলারে নামে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা আরও কমে ৭৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে নেমে আসে।

মহামারীর মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে ৯৪ কোটি ১৭ লাখ ডলারের বিদেশি মুদ্রা দেশে এনেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। টাকার হিসাবে এই অর্থের পরিমাণ ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। আগের বছরের চেয়ে রপ্তানি বেড়েছিল ১৮ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম ভাগে এ খাতের রপ্তানিতে ধস নামলেও দ্বিতীয় ভাগে এসে তা ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রবৃদ্ধিতে ফিরে আসে।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা লক্ষ করা যায়। প্রতি মাসেই বেড়েছে রপ্তানি। সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) এ খাতের রপ্তানি থেকে ৩৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেশে এসেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯ শতাংশ; লক্ষ্যের চেয়ে আয় প্রায় ১১ শতাংশ।

এই আয়ের ৬২ শতাংশই এসেছে চামড়ার জুতা রপ্তানি থেকে। ৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এসেছে চামড়া দিয়ে তৈরি ব্যাগ, লাগেজ, মানিব্যাগ, বেল্টসহ অনান্য পণ্য রপ্তানি করে। কাঁচা ও ওয়েট-ব্লু চামড়া রপ্তানি করে এই চার মাসে আয় হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ ডলার। গত বছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে এই খাত থেকে ২৮ কোটি ৩২ লাখ ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ।

চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সরকার। এই খাতকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে ২০০৩ সালে হাজারীবাগ থেকে চামড়া শিল্পনগরী সাভারে স্থানান্তরে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। তিন বছরের মধ্যে প্রকল্প শেষের কথা ছিল। কিন্তু দেড় যুগ শেষ হতে চললেও এই শিল্পনগরী এখনও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠেনি।

প্রকল্প শেষ না হলেও ২০১৭ সালে উচ্চ আদালত হাজারীবাগের চামড়া কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয়। ফলে সব কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে বেশ কিছু চামড়া কারখানার বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সনদ ছিল। এ সনদের সুবাদে তারা জাপান, কোরিয়াসহ ইউরোপ-আমেরিকায় চামড়া রপ্তানি করতে পারতো। হাজারীবাগে কারখানা বন্ধ হওয়ায় সেই সনদ ও বায়ার (বিদেশি ক্রেতা) হারায় চামড়াশিল্প কারখানাগুলো।

এত দীর্ঘ সময়েও সাভারের চামড়া শিল্প নগরী পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত না হওয়ায় এখনও এলডব্লিউজির সনদ ফিরে পায়নি কারখানাগুলো। একই সঙ্গে নতুন বাজার সৃষ্টি হয়নি। সনদ না থাকায় জাপান, কোরিয়াসহ ইউরোপ-আমেরিকায় এলডব্লিউজির আওতায় চামড়া রপ্তানি করতে পারছে না কারখানাগুলো।

সোমবার, ০৮ নভেম্বর ২০২১ , ২৩ কার্তিক ১৪২৮ ৩১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতেও সুখবর

চার মাসে ৩৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার রপ্তানি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

দীর্ঘদিন ধরে সংকটে থাকা চামড়া ও চামড়জাত পণ্যের রপ্তানি কমছিল। রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও তেমন সুবিধা হচ্ছিল না। শুধু সরকারি পর্যায় নয়, বেসরকারিভাবে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছিল। সেই উদ্যোগগুলোর সুফল আসতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন পতনে থাকা চামড়া খাত ফের জেগে উঠছে। রপ্তানি আয়ও বাড়তে শুরু করেছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৩ হাজার ১২৮ কোটি টাকা। এই পরিমাণ গত ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি। আর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি।

আর এই আয়ের ৬২ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকাই এসেছে জুতা রপ্তানি থেকে। গত বছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে এই খাত থেকে ২৮ কোটি ৩২ লাখ ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, চামড়া খাতে প্রচুর ক্রয়াদেশ আসছে। সামনে আরও রপ্তানি বাড়বে। বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের প্রধান বাজার হচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশে রপ্তানি হয় এই পণ্য।

মহামারী করোনার কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে এই দেশগুলো। ছোট-বড় সব ধরনের শপিং মল খুলেছে। মানুষজন এখন পুরোদমে কেনাকাটা করছে। অর্থনীতি আবার গতি ফিরে এসেছে। অন্যান্য পণ্যের মতো চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে। সে কারণেই রপ্তানি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা।

লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিশ্বে জুতার মোট বাজারের ৫৫ শতাংশ চীনের দখলে। ভারত ও ভিয়েতনামেরও ভালো অবস্থান আছে। বিশ্বে জুতার বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮তম। তবে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের এ খাতে অবদান মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

করোনার পর তৈরি পোশাকের মতো চামড়া খাতের রপ্তানিতেও নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রধান রপ্তানিকারক দেশ চীনের কিছু অর্ডার বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে। ভিয়েতনাম থেকেও অর্ডার আসছে। এসব সুযোগ ভালোমতো কাজে লাগাতে পারলে ভবিষ্যতে রপ্তানি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে ১১৩ কোটি ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা বেড়ে ১১৬ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে এই আয় আরও বেড়ে হয় ১২৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে চামড়াশিল্প থেকে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয়।

এরপর থেকেই ধস নামে এ খাতের রপ্তানিতে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা ১০৮ কোটি ৫৪ লাখ ডলারে নেমে আসে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা আরও কমে ১০২ কোটি ডলারে নামে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা আরও কমে ৭৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে নেমে আসে।

মহামারীর মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে ৯৪ কোটি ১৭ লাখ ডলারের বিদেশি মুদ্রা দেশে এনেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। টাকার হিসাবে এই অর্থের পরিমাণ ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। আগের বছরের চেয়ে রপ্তানি বেড়েছিল ১৮ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম ভাগে এ খাতের রপ্তানিতে ধস নামলেও দ্বিতীয় ভাগে এসে তা ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রবৃদ্ধিতে ফিরে আসে।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা লক্ষ করা যায়। প্রতি মাসেই বেড়েছে রপ্তানি। সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) এ খাতের রপ্তানি থেকে ৩৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেশে এসেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯ শতাংশ; লক্ষ্যের চেয়ে আয় প্রায় ১১ শতাংশ।

এই আয়ের ৬২ শতাংশই এসেছে চামড়ার জুতা রপ্তানি থেকে। ৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এসেছে চামড়া দিয়ে তৈরি ব্যাগ, লাগেজ, মানিব্যাগ, বেল্টসহ অনান্য পণ্য রপ্তানি করে। কাঁচা ও ওয়েট-ব্লু চামড়া রপ্তানি করে এই চার মাসে আয় হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ ডলার। গত বছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে এই খাত থেকে ২৮ কোটি ৩২ লাখ ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ।

চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সরকার। এই খাতকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে ২০০৩ সালে হাজারীবাগ থেকে চামড়া শিল্পনগরী সাভারে স্থানান্তরে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। তিন বছরের মধ্যে প্রকল্প শেষের কথা ছিল। কিন্তু দেড় যুগ শেষ হতে চললেও এই শিল্পনগরী এখনও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠেনি।

প্রকল্প শেষ না হলেও ২০১৭ সালে উচ্চ আদালত হাজারীবাগের চামড়া কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয়। ফলে সব কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে বেশ কিছু চামড়া কারখানার বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সনদ ছিল। এ সনদের সুবাদে তারা জাপান, কোরিয়াসহ ইউরোপ-আমেরিকায় চামড়া রপ্তানি করতে পারতো। হাজারীবাগে কারখানা বন্ধ হওয়ায় সেই সনদ ও বায়ার (বিদেশি ক্রেতা) হারায় চামড়াশিল্প কারখানাগুলো।

এত দীর্ঘ সময়েও সাভারের চামড়া শিল্প নগরী পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত না হওয়ায় এখনও এলডব্লিউজির সনদ ফিরে পায়নি কারখানাগুলো। একই সঙ্গে নতুন বাজার সৃষ্টি হয়নি। সনদ না থাকায় জাপান, কোরিয়াসহ ইউরোপ-আমেরিকায় এলডব্লিউজির আওতায় চামড়া রপ্তানি করতে পারছে না কারখানাগুলো।