শীত মৌসুমের আগাম চাষে ধুম পড়েছে দেবহাটায়। আগাম শাক-সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। অতি বৃষ্টির কারণে চাষিরা সময়মতো সবজি চাষ শুরু করতে না পারলেও শেষ দিকে পুরোদমে চাষে নেমে পড়েছেন তারা। চলতি মৌসুমে দেবহাটায় ৫১০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭০ হেক্টর শতাংশ জমিতেই বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হয়েছে। এক থেকে দেড় মাসের ভেতর এসব সবজি বাজারে তুলবেন কৃষক।
স্থানীয় কৃষক বলছেন, সামনে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে না পড়লে এ অঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ আগাম জাতের সবজি উৎপাদন হবে। এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, মুলা, লালশাক-পালংশাক, সবুজ শাকসহ নানা ধরনের সবজি।
আগাম শীতকালীন চাষ করলে ফসলের বেশি দাম পাওয়া যায়। তাই পুরোদমে চলছে মাঠ প্রস্তুত, বীজ বপন, চারা রোপণ ও পরিচর্যার কাজ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শুধু সবুজের সমারোহ।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর ৫১০ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদের লক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঠানো সম্ভব হবে। তবে বিগত বছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫০ হেক্টর। এ বছর সেই লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে এবং আশানুরূপ ফলন আসবে।
দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, পালংশাক, লালশাক, সবুজ শাক, বেগুন, টমেটোসহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ শুরু করেছেন কৃষক। এসব ক্ষেত পরিচর্যা করছেন তারা।
স্থানীয় কৃষক বিশ্বনাথ ম-ল ও উৎপল ম-ল বলেন, এ বছর দীর্ঘ বৃষ্টির কারণে আগাম সবজি চাষ করতে পারেনি তারা। যে কারণে একটু দেরি হয়েছে। আরও বলেন, এ বছর আগাম শীত পড়ার কারণে বুঝতে পারছি না ফসল কেমন হবে। তবে আশা করি ভালো ফলন হলে তা থেকে লাভবান হবো।
কৃষক গোলাম রবব্বানী বলেন, আমারদের এলাকায় শীতকালিন বা মৌসুমি ফসলের জন্য কোন সংরক্ষণ কেন্দ্র নেই। যার ফলে আমাদের উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণ করতে পারি না। এতে আমরাদের কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা শরিফ মোহাম্মদ তিতুমীর বলেন, আমরা কৃষি প্রধান দেশ। এ দেশের মানুষ অদি থেকে কৃষির সাথে জড়িত। পুষ্টির চাহিদা মেটাতে শাক-সবজির বিকল্প নেই। সে কারণে প্রত্যেকের বেশি বেশি শাক-সবজি খেতে হবে।
শীতকালীন ফসল উৎপাদনে কৃষি বিভাগ কৃষকের সাথে সরাসরি মাঠে কাজ করছে। আমরা কৃষকদের সঠিক সেবা পৌঁছে দিতে তৎপর আছি।
বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষক লাভবান হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়তে পারে। সে কারনে উৎপাদিত ফসলের দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে দেশের অর্থনীতিতে কৃষির ভূমিকা অতুলনীয়।
দেবহাটা (সাতক্ষীরা) : মাঠজুড়ে লাল শাক ক্ষেত -সংবাদ
আরও খবরসোমবার, ০৮ নভেম্বর ২০২১ , ২৩ কার্তিক ১৪২৮ ৩১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
সংবাদদাতা, দেবহাটা (সাতক্ষীরা)
দেবহাটা (সাতক্ষীরা) : মাঠজুড়ে লাল শাক ক্ষেত -সংবাদ
শীত মৌসুমের আগাম চাষে ধুম পড়েছে দেবহাটায়। আগাম শাক-সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। অতি বৃষ্টির কারণে চাষিরা সময়মতো সবজি চাষ শুরু করতে না পারলেও শেষ দিকে পুরোদমে চাষে নেমে পড়েছেন তারা। চলতি মৌসুমে দেবহাটায় ৫১০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭০ হেক্টর শতাংশ জমিতেই বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হয়েছে। এক থেকে দেড় মাসের ভেতর এসব সবজি বাজারে তুলবেন কৃষক।
স্থানীয় কৃষক বলছেন, সামনে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে না পড়লে এ অঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ আগাম জাতের সবজি উৎপাদন হবে। এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, মুলা, লালশাক-পালংশাক, সবুজ শাকসহ নানা ধরনের সবজি।
আগাম শীতকালীন চাষ করলে ফসলের বেশি দাম পাওয়া যায়। তাই পুরোদমে চলছে মাঠ প্রস্তুত, বীজ বপন, চারা রোপণ ও পরিচর্যার কাজ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শুধু সবুজের সমারোহ।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর ৫১০ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদের লক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঠানো সম্ভব হবে। তবে বিগত বছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫০ হেক্টর। এ বছর সেই লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে এবং আশানুরূপ ফলন আসবে।
দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, পালংশাক, লালশাক, সবুজ শাক, বেগুন, টমেটোসহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ শুরু করেছেন কৃষক। এসব ক্ষেত পরিচর্যা করছেন তারা।
স্থানীয় কৃষক বিশ্বনাথ ম-ল ও উৎপল ম-ল বলেন, এ বছর দীর্ঘ বৃষ্টির কারণে আগাম সবজি চাষ করতে পারেনি তারা। যে কারণে একটু দেরি হয়েছে। আরও বলেন, এ বছর আগাম শীত পড়ার কারণে বুঝতে পারছি না ফসল কেমন হবে। তবে আশা করি ভালো ফলন হলে তা থেকে লাভবান হবো।
কৃষক গোলাম রবব্বানী বলেন, আমারদের এলাকায় শীতকালিন বা মৌসুমি ফসলের জন্য কোন সংরক্ষণ কেন্দ্র নেই। যার ফলে আমাদের উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণ করতে পারি না। এতে আমরাদের কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা শরিফ মোহাম্মদ তিতুমীর বলেন, আমরা কৃষি প্রধান দেশ। এ দেশের মানুষ অদি থেকে কৃষির সাথে জড়িত। পুষ্টির চাহিদা মেটাতে শাক-সবজির বিকল্প নেই। সে কারণে প্রত্যেকের বেশি বেশি শাক-সবজি খেতে হবে।
শীতকালীন ফসল উৎপাদনে কৃষি বিভাগ কৃষকের সাথে সরাসরি মাঠে কাজ করছে। আমরা কৃষকদের সঠিক সেবা পৌঁছে দিতে তৎপর আছি।
বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষক লাভবান হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়তে পারে। সে কারনে উৎপাদিত ফসলের দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে দেশের অর্থনীতিতে কৃষির ভূমিকা অতুলনীয়।