পাগলা মসজিদের সিন্দুকে এবার তিন কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জ শহরতলির ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের সীলগালা করা ৮টি লোহার সিন্দুকে এবার মিলেছে ৩ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা। সেই সঙ্গে পাওয়া গেছে স্বর্ণালঙ্কার ও বিভিন্ন বিদেশী মুদ্রা। গত ১৯ জুন পাওয়া গিয়েছিল ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকার সঙ্গে বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও অলঙ্কার। তিন মাস অন্তর সিন্দুক খোলার কথা থাকলেও এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে খোলা হয়েছে প্রায় সাড়ে চার মাস পর।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসক। ফলে প্রশাসনের কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে শনিবার সকাল ৯টার দিকে মসজিদের ৮টি সিন্দুক খুলে পাওয়া টাকা ১২টি সিনথেটিক বস্তায় ভরে মসজিদ কমপ্লেক্সের দোতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মেঝেতে সমুদয় টাকা ঢেলে কমপ্লেক্স মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের দিয়ে গণনা করানো হয়। বিভিন্ন অঙ্কের টাকার একশটি নোটের পৃথক বান্ডেল বাঁধা হয়। এ সময় রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারাও টাকা গোণার মেশিন নিয়ে সেখানে হাজির ছিলেন। তারা বান্ডেল করা এসব টাকা গণনা করে ব্যাংকে নিয়ে মসজিদের একাউন্টে জমা করেছেন।

শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে উনবিংশ শতাব্দীর কোন এক সময় গড়ে ওঠা এ মসজিদে দেশের বিভিন্ন এলাকার নানা ধর্মের নারী-পুরুষ তাদের মনোবাঞ্ছা পূরণের আশায় মানতের টাকা আর সোনাদানা নিয়ে ছুটে আসেন এই মসজিদে। অনেকে গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, এমনকি গাছের সবজি এবং ফলও দিয়ে থাকেন। এগুলো নিলাম ডেকে বিক্রি করা হয়। মসজিদের টাকার লভ্যাংশ থেকে বিভিন্ন মানবিক কাজ এবং জেলার পিছিয়ে থাকা বিভিন্ন মসজিদকে অনুদান দেয়া হয়। এছাড়া মসজিদের নিজস্ব রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার ব্যয় এবং মসজিদ কমপ্লেক্সের মাদ্রাসার জন্যও ব্যয় করা হয়।

সোমবার, ০৮ নভেম্বর ২০২১ , ২৩ কার্তিক ১৪২৮ ৩১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

পাগলা মসজিদের সিন্দুকে এবার তিন কোটি টাকা

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ শহরতলির ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের সীলগালা করা ৮টি লোহার সিন্দুকে এবার মিলেছে ৩ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা। সেই সঙ্গে পাওয়া গেছে স্বর্ণালঙ্কার ও বিভিন্ন বিদেশী মুদ্রা। গত ১৯ জুন পাওয়া গিয়েছিল ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকার সঙ্গে বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও অলঙ্কার। তিন মাস অন্তর সিন্দুক খোলার কথা থাকলেও এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে খোলা হয়েছে প্রায় সাড়ে চার মাস পর।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসক। ফলে প্রশাসনের কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে শনিবার সকাল ৯টার দিকে মসজিদের ৮টি সিন্দুক খুলে পাওয়া টাকা ১২টি সিনথেটিক বস্তায় ভরে মসজিদ কমপ্লেক্সের দোতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মেঝেতে সমুদয় টাকা ঢেলে কমপ্লেক্স মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের দিয়ে গণনা করানো হয়। বিভিন্ন অঙ্কের টাকার একশটি নোটের পৃথক বান্ডেল বাঁধা হয়। এ সময় রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারাও টাকা গোণার মেশিন নিয়ে সেখানে হাজির ছিলেন। তারা বান্ডেল করা এসব টাকা গণনা করে ব্যাংকে নিয়ে মসজিদের একাউন্টে জমা করেছেন।

শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে উনবিংশ শতাব্দীর কোন এক সময় গড়ে ওঠা এ মসজিদে দেশের বিভিন্ন এলাকার নানা ধর্মের নারী-পুরুষ তাদের মনোবাঞ্ছা পূরণের আশায় মানতের টাকা আর সোনাদানা নিয়ে ছুটে আসেন এই মসজিদে। অনেকে গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, এমনকি গাছের সবজি এবং ফলও দিয়ে থাকেন। এগুলো নিলাম ডেকে বিক্রি করা হয়। মসজিদের টাকার লভ্যাংশ থেকে বিভিন্ন মানবিক কাজ এবং জেলার পিছিয়ে থাকা বিভিন্ন মসজিদকে অনুদান দেয়া হয়। এছাড়া মসজিদের নিজস্ব রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার ব্যয় এবং মসজিদ কমপ্লেক্সের মাদ্রাসার জন্যও ব্যয় করা হয়।