পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বেশ ভালো শীত অনুভূত হচ্ছে। ঘুমাতে গেলে জড়াতে হচ্ছে কাঁথা, সাত সকালে ঘাসে শিশিরবিন্দু জানান দিচ্ছে শীত দ্বারপ্রান্তে। আর তাই লেপ-তোষক কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ লেপ-তোষক ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বাড়ছে।
উপজেলার দোকানগুলোতে সরেজমিনে দেখা গেছে কারিগরদের লেপ-তোষক তৈরির কর্মব্যস্ততা। কারিগররা কেউ তুলো ধুনছেন, কেউবা ব্যস্ত লেপ-তোষক সেলাইয়ের কাজে, কেউবা সুচের ফোটায় লেপে হরেক রকম ডিজাইন ফুটিয়ে তুলছেন।
লেপ তৈরি করতে আসা ভয়াং গ্রামের সালাম খলিফা বলেন, কার্পাস তুলা দিয়ে একটি লেপের অর্ডার দিয়েছি এবং একটি পুরাতন লেপ মেরামতের জন্য এনেছি। কাপড়, তুলা, মজুরি সব মিলে ১ হাজার ৫০০ টাকা বলে জানান তিনি। তবে মৌসুমে লেপ-তোষক মহাজনরা খুশি হলেও খুশি নেই কারিগররা। তাদের দাবি, মজুরি কম দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা শহরের তুলার দোকানে জসিম হাং, সুমন, মেহেদী সহ আরো কয়েক জন করিগর মহাজনের দেওয়া লেপ তৈরির কাজে ব্যস্ত। তাদের মতে, একটি লেপ তৈরিতে মহাজন দেন মাত্র ২২০ টাকা অথচ সেই লেপের ক্রেতার কাছ থেকে ইচ্ছেমতো আদায় করা হয় অর্থ। তবে ২২০ টাকা মজুরি কম হয়েছে তা মানতে নারাজ ফরিদ বেডিংয়ের মালিক মো. ফরিদ আকন।
তিনি বলেন, মজুরি সহনীয় পর্যায়েই রয়েছে। তিনি আরও বলেন, শীত আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের বিক্রি চার গুণ বেড়েছে। তাই উপজেলার প্রতিটি দোকানেই এখন জমজমাট বেচাকেনা চলছে। আশা করি এই মৌসুমে অনেক লাভবান হতে পারব।
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) : তোশক তৌরিতে ব্যস্ত ধুনকর -সংবাদ
আরও খবরসোমবার, ০৮ নভেম্বর ২০২১ , ২৩ কার্তিক ১৪২৮ ৩১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
প্রতিনিধি, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) : তোশক তৌরিতে ব্যস্ত ধুনকর -সংবাদ
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বেশ ভালো শীত অনুভূত হচ্ছে। ঘুমাতে গেলে জড়াতে হচ্ছে কাঁথা, সাত সকালে ঘাসে শিশিরবিন্দু জানান দিচ্ছে শীত দ্বারপ্রান্তে। আর তাই লেপ-তোষক কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ লেপ-তোষক ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বাড়ছে।
উপজেলার দোকানগুলোতে সরেজমিনে দেখা গেছে কারিগরদের লেপ-তোষক তৈরির কর্মব্যস্ততা। কারিগররা কেউ তুলো ধুনছেন, কেউবা ব্যস্ত লেপ-তোষক সেলাইয়ের কাজে, কেউবা সুচের ফোটায় লেপে হরেক রকম ডিজাইন ফুটিয়ে তুলছেন।
লেপ তৈরি করতে আসা ভয়াং গ্রামের সালাম খলিফা বলেন, কার্পাস তুলা দিয়ে একটি লেপের অর্ডার দিয়েছি এবং একটি পুরাতন লেপ মেরামতের জন্য এনেছি। কাপড়, তুলা, মজুরি সব মিলে ১ হাজার ৫০০ টাকা বলে জানান তিনি। তবে মৌসুমে লেপ-তোষক মহাজনরা খুশি হলেও খুশি নেই কারিগররা। তাদের দাবি, মজুরি কম দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা শহরের তুলার দোকানে জসিম হাং, সুমন, মেহেদী সহ আরো কয়েক জন করিগর মহাজনের দেওয়া লেপ তৈরির কাজে ব্যস্ত। তাদের মতে, একটি লেপ তৈরিতে মহাজন দেন মাত্র ২২০ টাকা অথচ সেই লেপের ক্রেতার কাছ থেকে ইচ্ছেমতো আদায় করা হয় অর্থ। তবে ২২০ টাকা মজুরি কম হয়েছে তা মানতে নারাজ ফরিদ বেডিংয়ের মালিক মো. ফরিদ আকন।
তিনি বলেন, মজুরি সহনীয় পর্যায়েই রয়েছে। তিনি আরও বলেন, শীত আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের বিক্রি চার গুণ বেড়েছে। তাই উপজেলার প্রতিটি দোকানেই এখন জমজমাট বেচাকেনা চলছে। আশা করি এই মৌসুমে অনেক লাভবান হতে পারব।