কক্সবাজার : সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু

সড়কে বিক্ষোভ-অবরোধ

সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম মারা গেছেন। রোববার দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার লিংক রোডে তার ছোট ভাই কুদরত উল্লাহ সিকদারের অফিসে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত হন।

এ সময় জহিরুল ইসলাম ছাড়াও তার ছোট ভাই ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান মেম্বার ও আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা কুদরত উল্লাহ সিকদারসহ আরও ৩ জন গুলিবিদ্ধ হন। শুক্রবার রাতেই জহিরুল ইসলাম ও কুদরত উল্লাহ সিকদারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনির উল গিয়াস জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জহিরুল ইসলাম গতকাল দুপুর ১টার দিকে মারা গেছেন বলে তার পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোন অভিযোগ বা মামলা দেয়নি।

এদিকে জহিরুল ইসলামের মৃত্যুর খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংক রোড এলাকায় তার সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে ক্ষুদ্ধ সমর্থকরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেছে। বন্ধ হয়ে যায় ওখানকার সব দোকানপাট। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে কক্সবাজার শহরের প্রবেশমুখে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

জানাগেছে, গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার শহরের লিংক রোড এলাকায় কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার ও তার ভাই কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী কুদরত উল্লাহ সিকদারের অফিসে একদল দুর্বৃত্ত গুলি চালায়। এ সময় তারা নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করে ব্যক্তিগত অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। মোটর বাইকে করে আকস্মিক এসে সরাসরি কুদরত উল্লাহ সিকদার ও জহির উল্লাহ সিকদারকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তের দল পালিয়ে যায়। এতে তারা দুজনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় কুদরত উল্লাহ সিকদারের আরও দুই জন ঘনিষ্ঠ সহকারী ও তার গাড়ির ড্রাইভার গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।

ঘটনার পর পরই আশপাশের লোকজন আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহতদের চিকিৎসা দেয়। জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা শাহীন আবদুর রহমান জানান, আহতদের মধ্যে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম এবং তার ছোট ভাই ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী কুদরত উল্লাহ সিকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপর আহত কুদরত উল্লাহ সিকদার চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আরও খবর
‘প্রথম অক্ষর ফাউন্ডেশন’ পথশিশুদের নামে অর্থ তুলে আত্মসাৎ করতো
প্রবাসীদের যথাযথ সেবা দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার আগে ফাঁসি কার্যকর নয় আপিল বিভাগ
দেশ পরিচালনায় আ’লীগের নতজানু হওয়ার নজির নেই ওবায়দুল কাদের
সেনা অভ্যুত্থানের অভিযোগে ফাঁসি, কারাদণ্ড, গুম ও চাকরিচ্যুতির ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠনের দাবি
দেশে গণতন্ত্র নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই মির্জা ফখরুল
সিআইডি ইন্সপেক্টর শামসুদ্দিনকে প্রত্যাহার, বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ
কুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্র হত্যা : একজনের মৃত্যুদণ্ড
উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসাররা ব্যক্তি স্বার্থে সেনাবাহিনীকে খণ্ড বিখণ্ড করে : ইনু
আধুনিকতা আর অর্থাভাবে বিলুপ্তির পথে হাজার বছরের ঐতিহ্য মৃৎশিল্প

সোমবার, ০৮ নভেম্বর ২০২১ , ২৩ কার্তিক ১৪২৮ ৩১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

কক্সবাজার : সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু

সড়কে বিক্ষোভ-অবরোধ

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার

সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম মারা গেছেন। রোববার দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার লিংক রোডে তার ছোট ভাই কুদরত উল্লাহ সিকদারের অফিসে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত হন।

এ সময় জহিরুল ইসলাম ছাড়াও তার ছোট ভাই ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান মেম্বার ও আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা কুদরত উল্লাহ সিকদারসহ আরও ৩ জন গুলিবিদ্ধ হন। শুক্রবার রাতেই জহিরুল ইসলাম ও কুদরত উল্লাহ সিকদারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনির উল গিয়াস জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জহিরুল ইসলাম গতকাল দুপুর ১টার দিকে মারা গেছেন বলে তার পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোন অভিযোগ বা মামলা দেয়নি।

এদিকে জহিরুল ইসলামের মৃত্যুর খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংক রোড এলাকায় তার সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে ক্ষুদ্ধ সমর্থকরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেছে। বন্ধ হয়ে যায় ওখানকার সব দোকানপাট। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে কক্সবাজার শহরের প্রবেশমুখে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

জানাগেছে, গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার শহরের লিংক রোড এলাকায় কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার ও তার ভাই কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী কুদরত উল্লাহ সিকদারের অফিসে একদল দুর্বৃত্ত গুলি চালায়। এ সময় তারা নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করে ব্যক্তিগত অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। মোটর বাইকে করে আকস্মিক এসে সরাসরি কুদরত উল্লাহ সিকদার ও জহির উল্লাহ সিকদারকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তের দল পালিয়ে যায়। এতে তারা দুজনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় কুদরত উল্লাহ সিকদারের আরও দুই জন ঘনিষ্ঠ সহকারী ও তার গাড়ির ড্রাইভার গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।

ঘটনার পর পরই আশপাশের লোকজন আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহতদের চিকিৎসা দেয়। জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা শাহীন আবদুর রহমান জানান, আহতদের মধ্যে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম এবং তার ছোট ভাই ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী কুদরত উল্লাহ সিকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপর আহত কুদরত উল্লাহ সিকদার চিকিৎসাধীন রয়েছে।