দেশে গণতন্ত্র নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই মির্জা ফখরুল

সরকার দেশে ‘ভয়ংকর’ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এই অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই, বাক স্বাধীনতা নেই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। ৩৫ লাখের বেশি মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জর্জরিত করা হয়েছে। গুম হচ্ছে, খুন হচ্ছে, নির্যাতন হচ্ছে। এভাবে সরকার দেশে ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।

বিপ্লব ও সংহতি দিবস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই দিনে আমরা শপথ গ্রহণ করেছি এদেশের মানুষকে একত্রিত করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল, সমস্ত সংগঠন এবং মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করে আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। বাংলাদেশকে আমরা অবশ্যই আবার আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে একটা স্বতন্ত্র শক্তি নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবার এবং একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের আন্দোলন করব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বরের মাধ্যমেই আমরা ফিরে পেয়েছিলাম যে আশা-আকাক্সক্ষা ও চেতনার মধ্যদিয়ে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম সেই আশা-আকাক্সক্ষা বাস্তবায়িত করার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে। ৭ নভেম্বরে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে দেশে গণতন্ত্র-স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুসংহত করতে আমরা সক্ষম হয়েছিলাম।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, আবদুস সালাম আজাদসহ অন্যরা।

বিএনপি ৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস, আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস এবং জাসদ সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে ভোরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারা দেশে দলের অফিসে বিএনপির পতাকা উত্তোলন করে।

আরও খবর
‘প্রথম অক্ষর ফাউন্ডেশন’ পথশিশুদের নামে অর্থ তুলে আত্মসাৎ করতো
প্রবাসীদের যথাযথ সেবা দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
কক্সবাজার : সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু
পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার আগে ফাঁসি কার্যকর নয় আপিল বিভাগ
দেশ পরিচালনায় আ’লীগের নতজানু হওয়ার নজির নেই ওবায়দুল কাদের
সেনা অভ্যুত্থানের অভিযোগে ফাঁসি, কারাদণ্ড, গুম ও চাকরিচ্যুতির ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠনের দাবি
সিআইডি ইন্সপেক্টর শামসুদ্দিনকে প্রত্যাহার, বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ
কুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্র হত্যা : একজনের মৃত্যুদণ্ড
উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসাররা ব্যক্তি স্বার্থে সেনাবাহিনীকে খণ্ড বিখণ্ড করে : ইনু
আধুনিকতা আর অর্থাভাবে বিলুপ্তির পথে হাজার বছরের ঐতিহ্য মৃৎশিল্প

সোমবার, ০৮ নভেম্বর ২০২১ , ২৩ কার্তিক ১৪২৮ ৩১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

দেশে গণতন্ত্র নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই মির্জা ফখরুল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সরকার দেশে ‘ভয়ংকর’ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এই অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই, বাক স্বাধীনতা নেই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। ৩৫ লাখের বেশি মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জর্জরিত করা হয়েছে। গুম হচ্ছে, খুন হচ্ছে, নির্যাতন হচ্ছে। এভাবে সরকার দেশে ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।

বিপ্লব ও সংহতি দিবস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই দিনে আমরা শপথ গ্রহণ করেছি এদেশের মানুষকে একত্রিত করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল, সমস্ত সংগঠন এবং মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করে আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। বাংলাদেশকে আমরা অবশ্যই আবার আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে একটা স্বতন্ত্র শক্তি নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবার এবং একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের আন্দোলন করব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বরের মাধ্যমেই আমরা ফিরে পেয়েছিলাম যে আশা-আকাক্সক্ষা ও চেতনার মধ্যদিয়ে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম সেই আশা-আকাক্সক্ষা বাস্তবায়িত করার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে। ৭ নভেম্বরে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে দেশে গণতন্ত্র-স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুসংহত করতে আমরা সক্ষম হয়েছিলাম।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, আবদুস সালাম আজাদসহ অন্যরা।

বিএনপি ৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস, আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস এবং জাসদ সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে ভোরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারা দেশে দলের অফিসে বিএনপির পতাকা উত্তোলন করে।