জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সামরিক অফিসারদের কুক্ষমতা দখল-পাল্টা দখলের খেলায় ৩ নভেম্বর আরেক উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসার খালেদ মোশাররফ কু করে ক্ষমতা দখল করে। খালেদ মোশাররফ ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে সামরিক শাসন জারি করে এবং পাকিস্তানপন্থী বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতি বানায়।
গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই ক্ষমতালিপ্সু উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসাররা ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থে সেনাবাহিনীকে খণ্ডবিখণ্ড করে ফেলেছিল। এই সামরিক অফিসাররা সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা এবং চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের বাসাবাড়ি ও রাজনৈতিক কার্যালয়ে উঠা-বসা করত।
তিনি বলেন, সাধারণ সিপাহীরা নয়, এই ক্ষমতালিপ্সু উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসাররাই সেনাবাহিনীর ভেতরে রাজনীতিকরণ ও রাজনৈতিক বিরোধের সূত্রপাত করেন। এই উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসারদের একটি গ্রুপ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছিল।
ইনু বলেন, শুধু তাই না খালেদ মোশাররফ খুনি মোশতাককে গ্রেপ্তার না করে বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতার খুনিদের সমঝোতার মাধ্যমে নিরাপদে দেশ ত্যাগ করার সুযোগ করে দেয়। ক্ষমতালিপ্সু সামরিক উচ্ছৃঙ্খল অফিসারদের বিরুদ্ধে সিপাহীদের সুশৃঙ্খল বিদ্রোহে কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের নেতৃত্বে জাসদ সমর্থন দিয়েছিল।
ইনু বলেন, উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসাররা সংবিধান লঙ্ঘন করে চলছিল। এর বিপরীতে ৭ নভেম্বর সিপাহীরা সংবিধান সমুন্নত রাখার প্রচেষ্টা নিয়েছিল। কিন্তু জিয়া বিশ্বাসঘাতকতা করে জাসদ, কর্নেল তাহের ও সিপাহীদের এ প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করে দেয়। জিয়া নিজের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে পাকিস্তানপন্থীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাকিস্তানের ট্রেনে উঠে যায় এবং দেশকে পাকিস্তানপন্থার দিকে ঠেলে দেয়।
সোমবার, ০৮ নভেম্বর ২০২১ , ২৩ কার্তিক ১৪২৮ ৩১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সামরিক অফিসারদের কুক্ষমতা দখল-পাল্টা দখলের খেলায় ৩ নভেম্বর আরেক উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসার খালেদ মোশাররফ কু করে ক্ষমতা দখল করে। খালেদ মোশাররফ ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে সামরিক শাসন জারি করে এবং পাকিস্তানপন্থী বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতি বানায়।
গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই ক্ষমতালিপ্সু উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসাররা ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থে সেনাবাহিনীকে খণ্ডবিখণ্ড করে ফেলেছিল। এই সামরিক অফিসাররা সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা এবং চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের বাসাবাড়ি ও রাজনৈতিক কার্যালয়ে উঠা-বসা করত।
তিনি বলেন, সাধারণ সিপাহীরা নয়, এই ক্ষমতালিপ্সু উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসাররাই সেনাবাহিনীর ভেতরে রাজনীতিকরণ ও রাজনৈতিক বিরোধের সূত্রপাত করেন। এই উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসারদের একটি গ্রুপ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছিল।
ইনু বলেন, শুধু তাই না খালেদ মোশাররফ খুনি মোশতাককে গ্রেপ্তার না করে বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতার খুনিদের সমঝোতার মাধ্যমে নিরাপদে দেশ ত্যাগ করার সুযোগ করে দেয়। ক্ষমতালিপ্সু সামরিক উচ্ছৃঙ্খল অফিসারদের বিরুদ্ধে সিপাহীদের সুশৃঙ্খল বিদ্রোহে কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের নেতৃত্বে জাসদ সমর্থন দিয়েছিল।
ইনু বলেন, উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসাররা সংবিধান লঙ্ঘন করে চলছিল। এর বিপরীতে ৭ নভেম্বর সিপাহীরা সংবিধান সমুন্নত রাখার প্রচেষ্টা নিয়েছিল। কিন্তু জিয়া বিশ্বাসঘাতকতা করে জাসদ, কর্নেল তাহের ও সিপাহীদের এ প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করে দেয়। জিয়া নিজের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে পাকিস্তানপন্থীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাকিস্তানের ট্রেনে উঠে যায় এবং দেশকে পাকিস্তানপন্থার দিকে ঠেলে দেয়।