সেমিতে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া

বিফলে রাবাদার হ্যাটট্রিক

চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ-১ থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

শনিবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পেসার কাগিসো রাবাদার হ্যাটট্রকে ইংল্যান্ডকে ১০ রানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ম্যাচ জিতলেও রান রেটে পিছিয়ে থাকায় সেমির আশা ভঙ্গ হয় চোকার খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকার।

গ্রুপ পর্বে সব ম্যাচ, অর্থাৎ ৫ খেলায় ৪ জয়ে ৮ করে সমান পয়েন্ট ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে রান রেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষ দুই দল হয়ে সেমির টিকিট পায় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের রান রেট + ২.৪৬৪। আর অজিদের +১.২১৬। দক্ষিণ আফ্রিকার রান রেট + ০.৭৩৯।

শনিবার রাতে শারজাহতে টস জিতে প্রথমে বোলিং নেয় ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৮৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস হয় ডুসেনের। ৬০ বলে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কায় অপরাজিত ৯৪ রান করেন তিনি। ৪ ছক্কায় ২৫ বলে অপরাজিত ৫২ রান তুলেন মাকরাম ।

টার্গেট নিয়ে ব্যাট করা ইংল্যান্ডকে ১৩১ বা তার নীচে অলআউট করে দিলে সেমিতে ইংল্যান্ডে সাথে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাদ পড়বে অস্ট্রেলিয়া। আর যদি ১৩২ রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড, তবে ইংলিশদের সাথে সেমিতে খেলবে অস্ট্রেলিয়া। আর গ্রুপের শীর্ষে থাকার জন্য ১০৬ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে। তবে ৮৭ রান করলেও, গ্রুপে দ্বিতীয়স্থানে থাকবে ইংলিশরা।

১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ইংল্যান্ড ১৩২ রান তুললে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়। সুপার টুয়েলভ থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায় নিশ্চিত হয়।

মালান (২৬ বলে ৩৩ রান) করে যখন ফিরেন তখন জিততে ২২ বলে ৪৫ রান দরকার ছিলো ইংল্যান্ডের। পরের ১১ বলে ২০ রান তুলেন লিভিংস্টোন ও অধিনায়ক মরগান। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে প্রিটোরিয়াসের বলে আউট হন লিভিংস্টোন (১৭ বলে ২৮ রান)। তখন ১১ বলে ২৫ রানের প্রয়োজন ছিলো ইংল্যান্ডের। ক্রিস ওকসের ছক্কায় ঐ ওভার থেকে ১১ রান পায় ইংল্যান্ড। তাই শেষ ওভারে ১৪ রানের সমীকরণ পায় তারা।

শেষ ওভারে বল হাতে নিয়ে জ্ব¡লে উঠেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার কাগিসো রাবাদা। প্রথম তিন বলে ওকস-মরগান ও ক্রিস জর্ডানকে তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন রাবাদা। এবারের আসরের তৃতীয় এবং টি-২০ ক্রিকেটে ২৬তম হ্যাটট্রিক এটি।

হ্যাটট্টিকের পর পরের তিন বলে মাত্র ৩ রান দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সান্তনার জয় এনে দেন রাবাদা। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৯ রান তুলে ইংলিশরা। ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রাবাদা। ম্যাচ সেরা হন ডুসেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

দক্ষিণ আফ্রিকা : ১৮৯/২ (ডুসেন ৯৪*, মাকরাম ৫২*, মঈন ১/২৭)।

ইংল্যান্ড : ১৭৯/৮ (মঈন ৩৭, মালান ৩৩, রাবাদা ৩/৪৮)।

সোমবার, ০৮ নভেম্বর ২০২১ , ২৩ কার্তিক ১৪২৮ ৩১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

সেমিতে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া

বিফলে রাবাদার হ্যাটট্রিক

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ-১ থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

শনিবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পেসার কাগিসো রাবাদার হ্যাটট্রকে ইংল্যান্ডকে ১০ রানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ম্যাচ জিতলেও রান রেটে পিছিয়ে থাকায় সেমির আশা ভঙ্গ হয় চোকার খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকার।

গ্রুপ পর্বে সব ম্যাচ, অর্থাৎ ৫ খেলায় ৪ জয়ে ৮ করে সমান পয়েন্ট ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে রান রেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষ দুই দল হয়ে সেমির টিকিট পায় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের রান রেট + ২.৪৬৪। আর অজিদের +১.২১৬। দক্ষিণ আফ্রিকার রান রেট + ০.৭৩৯।

শনিবার রাতে শারজাহতে টস জিতে প্রথমে বোলিং নেয় ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৮৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস হয় ডুসেনের। ৬০ বলে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কায় অপরাজিত ৯৪ রান করেন তিনি। ৪ ছক্কায় ২৫ বলে অপরাজিত ৫২ রান তুলেন মাকরাম ।

টার্গেট নিয়ে ব্যাট করা ইংল্যান্ডকে ১৩১ বা তার নীচে অলআউট করে দিলে সেমিতে ইংল্যান্ডে সাথে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাদ পড়বে অস্ট্রেলিয়া। আর যদি ১৩২ রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড, তবে ইংলিশদের সাথে সেমিতে খেলবে অস্ট্রেলিয়া। আর গ্রুপের শীর্ষে থাকার জন্য ১০৬ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে। তবে ৮৭ রান করলেও, গ্রুপে দ্বিতীয়স্থানে থাকবে ইংলিশরা।

১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ইংল্যান্ড ১৩২ রান তুললে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়। সুপার টুয়েলভ থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায় নিশ্চিত হয়।

মালান (২৬ বলে ৩৩ রান) করে যখন ফিরেন তখন জিততে ২২ বলে ৪৫ রান দরকার ছিলো ইংল্যান্ডের। পরের ১১ বলে ২০ রান তুলেন লিভিংস্টোন ও অধিনায়ক মরগান। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে প্রিটোরিয়াসের বলে আউট হন লিভিংস্টোন (১৭ বলে ২৮ রান)। তখন ১১ বলে ২৫ রানের প্রয়োজন ছিলো ইংল্যান্ডের। ক্রিস ওকসের ছক্কায় ঐ ওভার থেকে ১১ রান পায় ইংল্যান্ড। তাই শেষ ওভারে ১৪ রানের সমীকরণ পায় তারা।

শেষ ওভারে বল হাতে নিয়ে জ্ব¡লে উঠেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার কাগিসো রাবাদা। প্রথম তিন বলে ওকস-মরগান ও ক্রিস জর্ডানকে তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন রাবাদা। এবারের আসরের তৃতীয় এবং টি-২০ ক্রিকেটে ২৬তম হ্যাটট্রিক এটি।

হ্যাটট্টিকের পর পরের তিন বলে মাত্র ৩ রান দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সান্তনার জয় এনে দেন রাবাদা। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৯ রান তুলে ইংলিশরা। ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রাবাদা। ম্যাচ সেরা হন ডুসেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

দক্ষিণ আফ্রিকা : ১৮৯/২ (ডুসেন ৯৪*, মাকরাম ৫২*, মঈন ১/২৭)।

ইংল্যান্ড : ১৭৯/৮ (মঈন ৩৭, মালান ৩৩, রাবাদা ৩/৪৮)।