তিন ফরম্যাটেই খেলতে চান ইয়াসির রাব্বি

বাংলাদেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনাময়ী ক্রিকেটারদের একজন ইয়াসির। পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ইয়াসির দেশের হয়ে তিন ফরম্যাটেই খেলতে চান। টি-২০ বিশ্বকাপে দল বাজে পারফরমেন্সের পর জরুরি ভিত্তিতে নতুন সাত ক্রিকেটারের ডাকা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ইয়াসির। পাওয়ার হিটার হিসেবে বিবেচিত ইয়াসিরকে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ আন্তর্জাতিক সিরিজের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু ইয়াসিরের লক্ষ্য অনেক বড়। শুধু সংক্ষিপ্ত ভার্সন নয় তিন ফর্মেটেই দেশের হয়ে খেলতে চান তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজেও বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান ইয়াসির। ইয়াসির বলেন, ‘এটা শুধু পাওয়ার হিটারের বিষয় নয়। ক্রিকেটের তিন ফরমেটেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। তবে দল যদি আমার কাছে পাওয়ার হিটিং দাবি করে, আমি সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করবো।’

জাতীয় দলে ডাক ইয়াসিরের জন্য নতুন কিছু নয়, তবে এখনও অভিষেক হয়নি তার। যা মাঝে মাঝে তাকে মানসিকভাবে হতাশ করে। এমনকি এই মানসিক চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সিনিয়র ভাইদের সাথে কথা বলেছেন ইয়াসির। তিনি বলেন, ‘মনে হয়, ২০১৯ সাল থেকে আমাকে চার-পাঁচবার জাতীয় দলে ডাকা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি একজন সিনিয়র ভাইয়ের সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছিলেন, একটি জায়গায় অনেকেই পৌঁছাতে পারে না, যেখানে তুমি পৌঁছেছো এবং তুমি যদি এইভাবে চিন্তা করো তবে এটি তোমার নিজের জন্যই ভাল হবে। কিন্তু তুমি যদি মনে করেন, কেন আমাকে অভিষেকের জন্য বিবেচনা করছে না তারা, তবে তুমি বিরক্ত হবে। তার পরামর্শ আমাকে কিছুটা স্বস্তি দেয়। তাই যখন আমি হতাশা বোধ করি, আমি তার পরামর্শ মনে করি।’

বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া খালেদ মাহমুদ সুজনের অধীনে ইয়াসিরসহ আরও ছয়জন খেলোয়াড় এখন অনুশীলন করছেন। ইয়াসির বলেন, ‘সুজন ভাই বলেছেন, এটা আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ এবং এটি আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আমরা জানতাম, টি-২০ ক্রিকেটে উন্নতি করতে আমাদের কিছু ছোট-ছোট বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। সুজন ভাই এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।’

চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে সবচেয়ে খারাপ পারফরমেন্স করেছে বাংলাদেশ। বাছাই পর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে হার এবং সুপার টুয়েলভ-এ পাঁচটি ম্যাচেই পরাজয় বরণ করে টাইগাররা। তবে ইয়াসির বিশ্বাস করেন, কোন টেকনিক্যাল সমস্যা ছিলো না,মানসিকভাবে খারাপ অবস্থায় ছিল টাইগাররা। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, আমাদের খারাপ পারফরমেন্সের পেছনে টেকনিক্যাল কোন সমস্যা ছিলো না। আমরা মানসিকভাবে ফিট ছিলাম না। আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এতে বিষয়গুলো সহজ হবে। ছক্কা মারার ক্ষেত্রে সাহসিকতা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি যথেষ্ট সাহসী না হন, তবে আপনি ছক্কা মারতে পারবেন না। আমি মনে করি, আমাদের সাহসী হওয়া দরকার।’

সোমবার, ০৮ নভেম্বর ২০২১ , ২৩ কার্তিক ১৪২৮ ৩১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

তিন ফরম্যাটেই খেলতে চান ইয়াসির রাব্বি

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

বাংলাদেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনাময়ী ক্রিকেটারদের একজন ইয়াসির। পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ইয়াসির দেশের হয়ে তিন ফরম্যাটেই খেলতে চান। টি-২০ বিশ্বকাপে দল বাজে পারফরমেন্সের পর জরুরি ভিত্তিতে নতুন সাত ক্রিকেটারের ডাকা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ইয়াসির। পাওয়ার হিটার হিসেবে বিবেচিত ইয়াসিরকে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ আন্তর্জাতিক সিরিজের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু ইয়াসিরের লক্ষ্য অনেক বড়। শুধু সংক্ষিপ্ত ভার্সন নয় তিন ফর্মেটেই দেশের হয়ে খেলতে চান তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজেও বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান ইয়াসির। ইয়াসির বলেন, ‘এটা শুধু পাওয়ার হিটারের বিষয় নয়। ক্রিকেটের তিন ফরমেটেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। তবে দল যদি আমার কাছে পাওয়ার হিটিং দাবি করে, আমি সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করবো।’

জাতীয় দলে ডাক ইয়াসিরের জন্য নতুন কিছু নয়, তবে এখনও অভিষেক হয়নি তার। যা মাঝে মাঝে তাকে মানসিকভাবে হতাশ করে। এমনকি এই মানসিক চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সিনিয়র ভাইদের সাথে কথা বলেছেন ইয়াসির। তিনি বলেন, ‘মনে হয়, ২০১৯ সাল থেকে আমাকে চার-পাঁচবার জাতীয় দলে ডাকা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি একজন সিনিয়র ভাইয়ের সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছিলেন, একটি জায়গায় অনেকেই পৌঁছাতে পারে না, যেখানে তুমি পৌঁছেছো এবং তুমি যদি এইভাবে চিন্তা করো তবে এটি তোমার নিজের জন্যই ভাল হবে। কিন্তু তুমি যদি মনে করেন, কেন আমাকে অভিষেকের জন্য বিবেচনা করছে না তারা, তবে তুমি বিরক্ত হবে। তার পরামর্শ আমাকে কিছুটা স্বস্তি দেয়। তাই যখন আমি হতাশা বোধ করি, আমি তার পরামর্শ মনে করি।’

বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া খালেদ মাহমুদ সুজনের অধীনে ইয়াসিরসহ আরও ছয়জন খেলোয়াড় এখন অনুশীলন করছেন। ইয়াসির বলেন, ‘সুজন ভাই বলেছেন, এটা আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ এবং এটি আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আমরা জানতাম, টি-২০ ক্রিকেটে উন্নতি করতে আমাদের কিছু ছোট-ছোট বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। সুজন ভাই এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।’

চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে সবচেয়ে খারাপ পারফরমেন্স করেছে বাংলাদেশ। বাছাই পর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে হার এবং সুপার টুয়েলভ-এ পাঁচটি ম্যাচেই পরাজয় বরণ করে টাইগাররা। তবে ইয়াসির বিশ্বাস করেন, কোন টেকনিক্যাল সমস্যা ছিলো না,মানসিকভাবে খারাপ অবস্থায় ছিল টাইগাররা। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, আমাদের খারাপ পারফরমেন্সের পেছনে টেকনিক্যাল কোন সমস্যা ছিলো না। আমরা মানসিকভাবে ফিট ছিলাম না। আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এতে বিষয়গুলো সহজ হবে। ছক্কা মারার ক্ষেত্রে সাহসিকতা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি যথেষ্ট সাহসী না হন, তবে আপনি ছক্কা মারতে পারবেন না। আমি মনে করি, আমাদের সাহসী হওয়া দরকার।’