উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করলো লোকসানে নিমজ্জিত আজিজ পাইপ

কার্যকরী মূলধন সংকট, আর্থিক সংকট, কাঁচা মালের সমস্যা, ব্যাংক ঋণের জটিলতাসহ নানাবিধ সমস্যায় পড়ে উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আজিজ পাইপ। গতকাল থেকে উৎপাদন বন্ধের এই ঘোষণা দিয়েছে লোকসানে নিমজ্জিত কোম্পানিটি। সমস্যার সমাধান এবং পরিস্থিতি অনুকূলে না আসা পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ থাকবে।

এ বিষয়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) আজিজ পাইপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কার্যকরী মূলধনের ঘাটতি, ব্যাংকলোন নিয়ে জটিলতা, আর্থিক সংকট, কাঁচামালের সমস্যা এবং মজুদের ঘাটতির কারণে পরিচালনা পর্ষদ কারখানার উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করেছে। সমস্যার সমাধান এবং পরিস্থিতি অনুকূলে না আসা পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ থাকবে।

এর আগে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি সাময়িকভাবে উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দেয় এই কোম্পানিটি। সেসময় আজিজ পাইপসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের কারণে পিভিসি সরবরাহকারী সঠিক সময়ে রেজিন সরবরাহ দিচ্ছে না এবং মজুত শেষ হয়ে গেছে। স্থানীয় বাজারে কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। ফলে কোম্পানি পণ্য উৎপাদনে সমস্যায় পড়ছে।

অবশ্য এই উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করার নয় মাসের মাথায় গত ১ অক্টোবর থেকে কোম্পানিটি আবার উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দেয়। কোম্পানিটি থেকে এই ঘোষণা আসার আগেই শেয়ারবাজারে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বাড়ে।

লোকসানের মধ্যে থাকার পরও দফায় দফায় দাম বেড়ে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দাম ১৬৫ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। অবশ্য এই অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পর আবার দরপতন হয়। তারপরও এখন কোম্পানিটির শেয়ার ১০০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।

শেয়ারের এমন দাম হলেও ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া আজিজ পাইপস লোকসানে নিমজ্জিত হওয়ায় ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ২০২০ সালে বিনিয়োগকারীদের মাত্র ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকেও (২০২১ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) লোকসানের খাতায় নাম লিখিয়েছে কোম্পানিটি। এই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৩৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ৭ পয়সা। এ হিসাবে সময়ের সঙ্গে কোম্পানিটির লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে।

লোকসানের পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চলতি বছরের সালের সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১৬ টাকা ৪১ পয়সা, যা গত জুন শেষে ছিল ১৫ টাকা ৯ পয়সা।

মঙ্গলবার, ০৯ নভেম্বর ২০২১ , ২৪ কার্তিক ১৪২৮ ৩ রবিউস সানি ১৪৪৩

উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করলো লোকসানে নিমজ্জিত আজিজ পাইপ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

কার্যকরী মূলধন সংকট, আর্থিক সংকট, কাঁচা মালের সমস্যা, ব্যাংক ঋণের জটিলতাসহ নানাবিধ সমস্যায় পড়ে উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আজিজ পাইপ। গতকাল থেকে উৎপাদন বন্ধের এই ঘোষণা দিয়েছে লোকসানে নিমজ্জিত কোম্পানিটি। সমস্যার সমাধান এবং পরিস্থিতি অনুকূলে না আসা পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ থাকবে।

এ বিষয়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) আজিজ পাইপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কার্যকরী মূলধনের ঘাটতি, ব্যাংকলোন নিয়ে জটিলতা, আর্থিক সংকট, কাঁচামালের সমস্যা এবং মজুদের ঘাটতির কারণে পরিচালনা পর্ষদ কারখানার উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করেছে। সমস্যার সমাধান এবং পরিস্থিতি অনুকূলে না আসা পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ থাকবে।

এর আগে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি সাময়িকভাবে উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দেয় এই কোম্পানিটি। সেসময় আজিজ পাইপসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের কারণে পিভিসি সরবরাহকারী সঠিক সময়ে রেজিন সরবরাহ দিচ্ছে না এবং মজুত শেষ হয়ে গেছে। স্থানীয় বাজারে কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। ফলে কোম্পানি পণ্য উৎপাদনে সমস্যায় পড়ছে।

অবশ্য এই উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করার নয় মাসের মাথায় গত ১ অক্টোবর থেকে কোম্পানিটি আবার উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দেয়। কোম্পানিটি থেকে এই ঘোষণা আসার আগেই শেয়ারবাজারে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বাড়ে।

লোকসানের মধ্যে থাকার পরও দফায় দফায় দাম বেড়ে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দাম ১৬৫ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। অবশ্য এই অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পর আবার দরপতন হয়। তারপরও এখন কোম্পানিটির শেয়ার ১০০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।

শেয়ারের এমন দাম হলেও ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া আজিজ পাইপস লোকসানে নিমজ্জিত হওয়ায় ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ২০২০ সালে বিনিয়োগকারীদের মাত্র ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকেও (২০২১ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) লোকসানের খাতায় নাম লিখিয়েছে কোম্পানিটি। এই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৩৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ৭ পয়সা। এ হিসাবে সময়ের সঙ্গে কোম্পানিটির লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে।

লোকসানের পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চলতি বছরের সালের সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১৬ টাকা ৪১ পয়সা, যা গত জুন শেষে ছিল ১৫ টাকা ৯ পয়সা।