ঈশ্বরগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলে মাটি লুটের মহোৎসব! ঝুঁকিতে বাঁধ

ময়মসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিপুর ইউনিয়নের চররামমোহন মৌজার পল্টন নামকস্থান থেকে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।

এলাকবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চররামমোহন মৌজার পল্টন ১২৫৬,১২৬৬,১২৬৭,১২৭০,১২৭১,১২৭২ দাগের পূরু জমিই সরকারি খাস ক্ষতিয়ানভুক্ত ভূমি। এসব জমি থেকে প্রায় এক মাস ধরে ড্রেজার বসিয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট গর্ত করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় তহসিল অফিসে বিষয়টি জানালেও তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন।

এলাকাবাসী জানান, যেভাবে বালু উত্তোলন করে বেড়ি বাঁধের পাশের্^ গর্ত করা হচ্ছে এতে বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে বেড়ি বাঁধটি ভেঙ্গে যেতে পারে। বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে ওই এলাকার চররামমোহন, উজানচর, লাঠিয়ামারি বাজারটি বহ্মপুত্র নদের গর্ভে বিলীন হতে পারে। ১৯৮৮ সালের বন্যায় ওই এলাকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সরকারিভাবে চররামমোহন এলাকায় বেরিবাঁধটি নির্মিত হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত অর্থনৈতিক জুন হিসেবে সাড়ে ৩শ’ একর জমির ওপর চররামমোহন অর্থনৈতিক জুন অনুমোদিত হয়েছে। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কাম্য নয় বলে এলাকার সচেতনমহলের দাবি।

যারা সরকারি জমি থেকে বালু উত্তোলন করছে তাদের দাবি তাদের দখলিয় জমি ভূমি সমতল করতে এক কাঠা জমির বালু ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। এদের মধ্যে ভাটিচর নওপাড়া গ্রামের মোশারফ,আব্দুল মতিন,মুফতি মিয়া, নূর মাহমুদ, লিটন, সোহেল মিয়া, রফিকুল ইসলাম। আর যারা ওই জমির বালু ক্রয় করেছেন তারা হলেন চরভেলামারি নান্দাইলের রাসেল ফকির, ভাটিচরনওপাড়ার আবু সাইদ, আব্দুস ছালাম, হুমায়োন, সাহাব উদ্দিন, নাসির উদ্দিন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুদাব্বিরুল ইসলাম জানান, বালু উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধ করার ব্যাপারে প্রথমে প্রশাসনকে অবহিত করেছেন। কিন্তু তা বন্ধ হয়নি।

স্থানীয় তহশিলদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও জায়গাটি ঈশ^রগঞ্জ না নান্দাইলের এ নিয়ে জটিলতার কথা জানান। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি অনামিকা নজরুলকে একাধিক বার ফোনে দিলেও পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার, ০৯ নভেম্বর ২০২১ , ২৪ কার্তিক ১৪২৮ ৩ রবিউস সানি ১৪৪৩

ঈশ্বরগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলে মাটি লুটের মহোৎসব! ঝুঁকিতে বাঁধ

প্রতিনিধি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)

image

ময়মসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিপুর ইউনিয়নের চররামমোহন মৌজার পল্টন নামকস্থান থেকে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।

এলাকবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চররামমোহন মৌজার পল্টন ১২৫৬,১২৬৬,১২৬৭,১২৭০,১২৭১,১২৭২ দাগের পূরু জমিই সরকারি খাস ক্ষতিয়ানভুক্ত ভূমি। এসব জমি থেকে প্রায় এক মাস ধরে ড্রেজার বসিয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট গর্ত করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় তহসিল অফিসে বিষয়টি জানালেও তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন।

এলাকাবাসী জানান, যেভাবে বালু উত্তোলন করে বেড়ি বাঁধের পাশের্^ গর্ত করা হচ্ছে এতে বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে বেড়ি বাঁধটি ভেঙ্গে যেতে পারে। বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে ওই এলাকার চররামমোহন, উজানচর, লাঠিয়ামারি বাজারটি বহ্মপুত্র নদের গর্ভে বিলীন হতে পারে। ১৯৮৮ সালের বন্যায় ওই এলাকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সরকারিভাবে চররামমোহন এলাকায় বেরিবাঁধটি নির্মিত হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত অর্থনৈতিক জুন হিসেবে সাড়ে ৩শ’ একর জমির ওপর চররামমোহন অর্থনৈতিক জুন অনুমোদিত হয়েছে। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কাম্য নয় বলে এলাকার সচেতনমহলের দাবি।

যারা সরকারি জমি থেকে বালু উত্তোলন করছে তাদের দাবি তাদের দখলিয় জমি ভূমি সমতল করতে এক কাঠা জমির বালু ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। এদের মধ্যে ভাটিচর নওপাড়া গ্রামের মোশারফ,আব্দুল মতিন,মুফতি মিয়া, নূর মাহমুদ, লিটন, সোহেল মিয়া, রফিকুল ইসলাম। আর যারা ওই জমির বালু ক্রয় করেছেন তারা হলেন চরভেলামারি নান্দাইলের রাসেল ফকির, ভাটিচরনওপাড়ার আবু সাইদ, আব্দুস ছালাম, হুমায়োন, সাহাব উদ্দিন, নাসির উদ্দিন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুদাব্বিরুল ইসলাম জানান, বালু উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধ করার ব্যাপারে প্রথমে প্রশাসনকে অবহিত করেছেন। কিন্তু তা বন্ধ হয়নি।

স্থানীয় তহশিলদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও জায়গাটি ঈশ^রগঞ্জ না নান্দাইলের এ নিয়ে জটিলতার কথা জানান। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি অনামিকা নজরুলকে একাধিক বার ফোনে দিলেও পাওয়া যায়নি।