স্বতন্ত্র পরিচয়ে ভোটের মাঠে বিএনপি-জামায়াত

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপি সরাসরি অংশ না নিলেও যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় দলটির একাধিক নেতা চেয়ারম্যান পদে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যেখানে ক্ষমতাসীনদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে সেসব ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে বেশি সক্রিয় বিএনপি। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে জামায়াতের এক নেতাও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের অর্ন্তদ্বন্দ্বের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে জয়ী হতে মাঠে নেমেছেন তারা। তবে স্থানীয় রাজনীতি হাতের মুঠোয় রাখতে তাদের মাঠে নামানো হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১নং জহুরপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ৮ জন প্রাার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে সদ্য বিলুপ্ত ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব ও বিএনপি নেতা কাজী মনিরুজ্জামান রয়েছেন। ২নং বন্দবিলা ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে রয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান তপন ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ভুট্টো। গত ইউপি নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ছিলেন তিনি। ৩নং রায়পুর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যার মধ্যে উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান জহুরুল হকের নাম রয়েছে। ৮নং বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে রয়েছেন জামায়াত নেতা সাবেক চেয়ারম্যান প্রভাষক মশিয়ার রহমান ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান। ৯নং জামদিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে সদ্য বিলুপ্ত ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসেনের নাম রয়েছে। গত ইউপি নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ছিলেন তিনি।ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান আসলাম। ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম রেজাও এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া ইউপি সদস্য পদে প্রায় সব ইউনিয়নে উল্লেখসংখ্যক বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শামছুর রহমান বলেন, বিএনপি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। এটা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত। কেউ যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়, তাহলে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

এদিকে সব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৭টি ও জাকের পার্টি ৬ ইউপিতে তাদের প্রার্থী দিয়েছেন। অন্যদিকে বন্দবিলা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খান ও জামদিয়া ইউনিয়নে মোস্তাফিজুর রহমান লালমিয়া ওয়ার্কাস পার্টি থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এ উপজেলায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ নভেম্বর। এছাড়া মনোনয়নপত্র বাছাই ৪ নভেম্বর শেষ হয়েছে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ১১ নভেম্বর।

মঙ্গলবার, ০৯ নভেম্বর ২০২১ , ২৪ কার্তিক ১৪২৮ ৩ রবিউস সানি ১৪৪৩

স্বতন্ত্র পরিচয়ে ভোটের মাঠে বিএনপি-জামায়াত

প্রতিনিধি,বাঘারপাড়া (যশোর)

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপি সরাসরি অংশ না নিলেও যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় দলটির একাধিক নেতা চেয়ারম্যান পদে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যেখানে ক্ষমতাসীনদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে সেসব ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে বেশি সক্রিয় বিএনপি। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে জামায়াতের এক নেতাও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের অর্ন্তদ্বন্দ্বের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে জয়ী হতে মাঠে নেমেছেন তারা। তবে স্থানীয় রাজনীতি হাতের মুঠোয় রাখতে তাদের মাঠে নামানো হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১নং জহুরপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ৮ জন প্রাার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে সদ্য বিলুপ্ত ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব ও বিএনপি নেতা কাজী মনিরুজ্জামান রয়েছেন। ২নং বন্দবিলা ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে রয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান তপন ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ভুট্টো। গত ইউপি নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ছিলেন তিনি। ৩নং রায়পুর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যার মধ্যে উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান জহুরুল হকের নাম রয়েছে। ৮নং বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে রয়েছেন জামায়াত নেতা সাবেক চেয়ারম্যান প্রভাষক মশিয়ার রহমান ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান। ৯নং জামদিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে সদ্য বিলুপ্ত ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসেনের নাম রয়েছে। গত ইউপি নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ছিলেন তিনি।ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান আসলাম। ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম রেজাও এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া ইউপি সদস্য পদে প্রায় সব ইউনিয়নে উল্লেখসংখ্যক বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শামছুর রহমান বলেন, বিএনপি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। এটা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত। কেউ যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়, তাহলে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

এদিকে সব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৭টি ও জাকের পার্টি ৬ ইউপিতে তাদের প্রার্থী দিয়েছেন। অন্যদিকে বন্দবিলা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খান ও জামদিয়া ইউনিয়নে মোস্তাফিজুর রহমান লালমিয়া ওয়ার্কাস পার্টি থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এ উপজেলায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ নভেম্বর। এছাড়া মনোনয়নপত্র বাছাই ৪ নভেম্বর শেষ হয়েছে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ১১ নভেম্বর।