৩০ বছরেও বিদ্যালয় গড়ে উঠেনি লালমোহনের দ্বীপচর শাহজালালে

ভোলার লালমোহনের দুর্গম চর শাহজালালে ৩০ বছরেও গড়ে ওঠেনি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে শিক্ষা বঞ্চিত ওই চরের অর্ধশতাধিক শিশু। যে বয়সে শিশুদের বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা সেই বয়সে তারা নৌকা নিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছে। লালমোহন উপজেলা সদরেরর মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন তেঁতুলিয়া নদীর তীরঘেঁষা চর শাহজালাল ৩০ বছর আগে জেগে উঠে। ওই চরে শতাধিক পরিবারের বসবাস। যাদের পেশা কৃষক, জেলে বা দিনমজুর। ওইসব পরিবারের শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। সেখানে নেই কোন কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়। একটি মাত্র মক্তব থাকলেও সেখানে শিশুরা ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করছে। কিন্তু পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে না। এতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না। এতে তারা স্কুলে না গিয়ে নৌকা মাছ শিকারের যাচ্ছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন একটু দ্বীপচর চর শাহজালাল। এ চরটি মানুষ নাগরিক সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন চরের মানুষ। ৩০ বছর ধরে চরে বিদ্যালয় না থাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি। বেশিরভাগ মানুষ অক্ষরজ্ঞানশূন্য। এছাড়াও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। চরে একটি বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানিয়ে এলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।চরের শিশু মুরাদ, আপন ও জুনায়েদ জানায়, আমাদের পড়ালেখা করার ইচ্ছা আছে। স্কুল নেই। আমাদের এখানে স্কুল থাকলে আমরা পড়ালেখার সুযোগ পেতাম। অভিভাবক শাহে আলম, পিয়ারা বেগম ও কামরুল শেখ বলেন, চরের ৩০ বছর ধরে বসবাস করছি, এখানে কোন বিদ্যালয় নেই। তাই আমাদের শিশুরা শিক্ষা নিতে পারছে না। তারা জানায়, পার্শ¦বর্তী কচুয়াখালীর চরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও সেখানে নদী পাড়ি দিয়ে শিশুদের স্কুলে যাওয়া সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান মিলন বলেন, বিদ্যালয়বিহীন যেসব গ্রাম রয়েছে সেখানে বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। আমরা খুব দ্রুত চর শাহজালাল পরিদর্শন করে সেখানে বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।

মঙ্গলবার, ০৯ নভেম্বর ২০২১ , ২৪ কার্তিক ১৪২৮ ৩ রবিউস সানি ১৪৪৩

৩০ বছরেও বিদ্যালয় গড়ে উঠেনি লালমোহনের দ্বীপচর শাহজালালে

প্রতিনিধি, লালমোহন (ভোলা)

image

লালমোহন (ভোলা) : চরে স্কুল নেসই। শিক্ষা বঞ্চিত হয়ে অবহেলায় বেড়ে উঠছে দেশের ভবিষ্যৎ -সংবাদ

ভোলার লালমোহনের দুর্গম চর শাহজালালে ৩০ বছরেও গড়ে ওঠেনি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে শিক্ষা বঞ্চিত ওই চরের অর্ধশতাধিক শিশু। যে বয়সে শিশুদের বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা সেই বয়সে তারা নৌকা নিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছে। লালমোহন উপজেলা সদরেরর মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন তেঁতুলিয়া নদীর তীরঘেঁষা চর শাহজালাল ৩০ বছর আগে জেগে উঠে। ওই চরে শতাধিক পরিবারের বসবাস। যাদের পেশা কৃষক, জেলে বা দিনমজুর। ওইসব পরিবারের শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। সেখানে নেই কোন কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়। একটি মাত্র মক্তব থাকলেও সেখানে শিশুরা ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করছে। কিন্তু পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে না। এতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না। এতে তারা স্কুলে না গিয়ে নৌকা মাছ শিকারের যাচ্ছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন একটু দ্বীপচর চর শাহজালাল। এ চরটি মানুষ নাগরিক সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন চরের মানুষ। ৩০ বছর ধরে চরে বিদ্যালয় না থাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি। বেশিরভাগ মানুষ অক্ষরজ্ঞানশূন্য। এছাড়াও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। চরে একটি বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানিয়ে এলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।চরের শিশু মুরাদ, আপন ও জুনায়েদ জানায়, আমাদের পড়ালেখা করার ইচ্ছা আছে। স্কুল নেই। আমাদের এখানে স্কুল থাকলে আমরা পড়ালেখার সুযোগ পেতাম। অভিভাবক শাহে আলম, পিয়ারা বেগম ও কামরুল শেখ বলেন, চরের ৩০ বছর ধরে বসবাস করছি, এখানে কোন বিদ্যালয় নেই। তাই আমাদের শিশুরা শিক্ষা নিতে পারছে না। তারা জানায়, পার্শ¦বর্তী কচুয়াখালীর চরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও সেখানে নদী পাড়ি দিয়ে শিশুদের স্কুলে যাওয়া সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান মিলন বলেন, বিদ্যালয়বিহীন যেসব গ্রাম রয়েছে সেখানে বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। আমরা খুব দ্রুত চর শাহজালাল পরিদর্শন করে সেখানে বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।