মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিকদের হেনস্থা-প্রাণনাশের হুমকি ভূমিদস্যুদের

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় রজতরেখা নদী দখল নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় প্রথম আলো মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ফয়সাল হোসেন ও দৈনিক দেশের কণ্ঠ মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি মিনহাজুল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। সে সময় ওই দুই সংবাদ কর্মীকে মেরে গুম করে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দুই সাংবাদিক। গত রোববার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার শিলই ইউনিয়নের পূর্বরাখি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। শিলই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেমের ছোট ভাই ইসমাঈল ব্যাপারি, ইসমাঈলের ছেলে ইসহাক ব্যাপারি এ ঘটনা ঘটায় । এই ঘটনায় প্রথম আলোর সাংবাদিক ফয়সাল হোসেন বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগীরা জানান, ঐতিহ্যবাহী রজত রেখানদীর উৎসবমুখর সদর উপজেলার শীলই এলাকায় ভরাট করে মুখ আটকিয়ে কয়েক বছর ধরে রমরমা বালুর ব্যাবসা করে আসছেন ইসমাঈল ব্যাপারি। এতে নদীটি শুকিয়ে মরা খালে পরিনত হয়েছে। এই সুযোগে ইসমাঈল, তার ভাই চেয়ারম্যান আবুল হাসেম, তাদের চাচাত ভাই শাহাদাত ব্যাপারিসহ অনেকেই নদীটির দুইপাশে দোকান- পাট, স্থাপনা করে দখল করে নিয়েছে। নদীটির করুন অবস্থা ও দখলের চিত্র ফোনে ধারণ করছিলেন ওই ২ সাংবাদিক। সে সময় ইসমাঈল ব্যাপারির ছেলে ইসহাক ব্যাপারিকে (১৯) ঘটনা স্থলে পাঠায়? ইসমাইল । ইসহাক প্রথম আলোর মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ফয়সালকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। স্থানীয় লোকজন আসলে ইসহাক সরে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, ইসমাঈল, ছেলে ইসহাকরা চেয়ারম্যান আবুল হাসেমের প্রভাব খাটিয়ে মাদক, ভূমি দখল, অবৈধভাবে নদীর মাটি কেটে বিক্রি ত্রাসসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যক্রম করে আসছে দীর্ঘ বছর ধরে। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন না। এই বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুবক্কর সিদ্দিক জানান, এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার, ০৯ নভেম্বর ২০২১ , ২৪ কার্তিক ১৪২৮ ৩ রবিউস সানি ১৪৪৩

মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিকদের হেনস্থা-প্রাণনাশের হুমকি ভূমিদস্যুদের

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় রজতরেখা নদী দখল নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় প্রথম আলো মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ফয়সাল হোসেন ও দৈনিক দেশের কণ্ঠ মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি মিনহাজুল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। সে সময় ওই দুই সংবাদ কর্মীকে মেরে গুম করে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দুই সাংবাদিক। গত রোববার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার শিলই ইউনিয়নের পূর্বরাখি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। শিলই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেমের ছোট ভাই ইসমাঈল ব্যাপারি, ইসমাঈলের ছেলে ইসহাক ব্যাপারি এ ঘটনা ঘটায় । এই ঘটনায় প্রথম আলোর সাংবাদিক ফয়সাল হোসেন বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগীরা জানান, ঐতিহ্যবাহী রজত রেখানদীর উৎসবমুখর সদর উপজেলার শীলই এলাকায় ভরাট করে মুখ আটকিয়ে কয়েক বছর ধরে রমরমা বালুর ব্যাবসা করে আসছেন ইসমাঈল ব্যাপারি। এতে নদীটি শুকিয়ে মরা খালে পরিনত হয়েছে। এই সুযোগে ইসমাঈল, তার ভাই চেয়ারম্যান আবুল হাসেম, তাদের চাচাত ভাই শাহাদাত ব্যাপারিসহ অনেকেই নদীটির দুইপাশে দোকান- পাট, স্থাপনা করে দখল করে নিয়েছে। নদীটির করুন অবস্থা ও দখলের চিত্র ফোনে ধারণ করছিলেন ওই ২ সাংবাদিক। সে সময় ইসমাঈল ব্যাপারির ছেলে ইসহাক ব্যাপারিকে (১৯) ঘটনা স্থলে পাঠায়? ইসমাইল । ইসহাক প্রথম আলোর মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ফয়সালকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। স্থানীয় লোকজন আসলে ইসহাক সরে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, ইসমাঈল, ছেলে ইসহাকরা চেয়ারম্যান আবুল হাসেমের প্রভাব খাটিয়ে মাদক, ভূমি দখল, অবৈধভাবে নদীর মাটি কেটে বিক্রি ত্রাসসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যক্রম করে আসছে দীর্ঘ বছর ধরে। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন না। এই বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুবক্কর সিদ্দিক জানান, এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।