আগামী শিক্ষাবর্ষে ২০০ প্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রমে পাইলটিং পরিকল্পনা

এখনও প্রস্তুত হয়নি শিক্ষাক্রমের কনটেন্ট

২০২২ শিক্ষাবর্ষের বাকি প্রায় দেড় মাস। তবে এখন পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমের ‘কনটেন্ট’ বা বিষয়বস্তুই তৈরি করতে পারেনি শিক্ষা প্রশাসন। তবে ওই শিক্ষাবর্ষেই ২০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রমের ‘পাইলটিং’ বা পরীক্ষামূলক বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত রয়েছে। পাইলটিং হবে ‘প্রথম ও ৬ষ্ঠ’ শ্রেণীতে। নতুন শিক্ষাক্রমের কনটেন্ট তৈরির জন্য ধারাবাহিকভাবে চলছে কর্মশালা।

শিক্ষা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠ্যদান শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছিল শিক্ষা প্রশাসন। এ লক্ষ্যে গতবছর করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও প্রস্তুতি নিয়েছিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। কিন্তু শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতার কারণে মূল কাজ অর্থাৎ বিষয়বস্তু তৈরি পিছিয়ে যায়। এবারও একই কারণে সময়ক্ষেপন হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত ১৩ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ২০২২ শিক্ষাবর্ষ থেকেই নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু হবে। আগামী বছর থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ১০০টি করে মোট ২০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন এ শিক্ষাক্রমের ‘পাইলটিং’ (পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন) শুরু হবে। এর মধ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসাও থাকবে।

২০১২ সালে সর্বশেষ জাতীয় শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আনা হয়। এর আগে ১৯৯৫ ও ১৯৭৬ সালে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়। সরকার ২০১০ সালে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি’ প্রণয়ন করলেও এর অনেক কিছুই বাস্তবায়নের বাকি রয়েছে।

নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের সর্বশেষ প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘কাজ আমাদের ভালোই আগাচ্ছে। আমরা যে কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট শুরু করেছি, এটা হয়তো নভেম্বরের শেষ সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। পাইলটিংয়ের কাজও আমাদের প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।’

নতুন শিক্ষাক্রমের বই কবে নাগাদ ছাপাতে পারবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলোতো অল্প বই, বইগুলো হয়তো ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রিন্টিং (ছাপা) করতে পারব। এই সময়ের মধ্যে আমরা ছাপাতে পারব। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণীর জন্য আলাদা টেন্ডার হবে, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর জন্যও আলাদা টেন্ডার হবে। এগুলো অল্প টাকার বই, এই টাকার বই আমি নিজে অনুমোদন করে ছাপিয়ে ফেলব।’

নির্ধারিত সময়ে নতুন শিক্ষাক্রমের বই ছাপা সম্ভব হবে কী না জানতে চাইলে প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমরা টাইট শিডিউলে আছি, তবে একই সঙ্গে... পর্যায়ক্রমে কাজ করে যাচ্ছি, বিভিন্ন কর্মশালা চলছে, যারা বইয়ের মেকআপ, গেটআপ করবেন তারা কাজ করছেন। প্রতিটি বিষয়ের লেখক এনসিটিবিতে এসে নিয়মিত কাজ করছেন। পুরোদমেই চলছে শিক্ষাক্রম তৈরির কাজ।’

এনসিটিবির দেয়া খসড়া ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’ অনুযায়ী ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ১৩টি বিষয়ের শিক্ষাক্রম প্রণয়ন হচ্ছে। এসব বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকের ইলাস্ট্রেশন, প্রাফিক্স ডিজাইন, বুক ডিজাইন নির্ধারণের জন্য আজ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। অথচ এই কর্মশালায় এনসিটিবির নিজস্ব ডিজাইনার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বাদ নিয়ে বেসরকারি পর্যায়ের লোক দিয়ে ওইসব কাজ করার অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ওই ১৩টি বিষয়ের মধ্যে যেসব বিষয় থাকছে সেগুলোর মধ্যে বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, শিল্প ও সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম, খ্রিস্ট ধর্ম, ইসলাম শিক্ষা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, গণিত, ইংরেজি, বাংলা, এসেসমেন্ট (মূল্যায়ন), জেন্ডার, ইনক্লুশন ও ইলাস্ট্রেটর গ্রুপ।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে ১০টি অভিন্ন বই পড়ানো হবে। এগুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, ধর্ম শিক্ষা, ভালো থাকা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি।

নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান।

নতুন শিক্ষাক্রম তৈরির প্রস্তুতির বিষয়ে ড. মশিউজ্জামান গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘কাজ চলছে, আমরা আশা করছি এই মাসের মধ্যে শেষ করতে পারব। কিছু কাজ আমাদের আগে করা ছিল। এখন পর্যন্ত যে প্রস্তুতি তাতে এই মাসের শেষ নাগাদ খসড়া তৈরি করতে পারব। এরপর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চূড়ান্ত করতে পারব।’

২০২৩ সাল থেকে ধাপে ধাপে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। আর ২০২৫ সালে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাক্রমের পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে। এতে শিক্ষাক্রম অনুযায়ী নবম শ্রেণী থেকে গ্রুপের বিভাজন আর থাকবে না। শিখন সময় কতটা হবে, তা নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে। ২০২৪ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণী এবং ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণীতে এ শিক্ষাক্রম শুরু হবে।

নতুন শিক্ষাক্রমে দশম শ্রেণীর কারিকুলাম অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষা হবে। আগে নবম-দশম মিলে পাবলিক পরীক্ষা হতো। আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে দুটি পরীক্ষা নিয়ে সেই দুই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল দেয়া হবে।

মঙ্গলবার, ০৯ নভেম্বর ২০২১ , ২৪ কার্তিক ১৪২৮ ৩ রবিউস সানি ১৪৪৩

আগামী শিক্ষাবর্ষে ২০০ প্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রমে পাইলটিং পরিকল্পনা

এখনও প্রস্তুত হয়নি শিক্ষাক্রমের কনটেন্ট

রাকিব উদ্দিন

২০২২ শিক্ষাবর্ষের বাকি প্রায় দেড় মাস। তবে এখন পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমের ‘কনটেন্ট’ বা বিষয়বস্তুই তৈরি করতে পারেনি শিক্ষা প্রশাসন। তবে ওই শিক্ষাবর্ষেই ২০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রমের ‘পাইলটিং’ বা পরীক্ষামূলক বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত রয়েছে। পাইলটিং হবে ‘প্রথম ও ৬ষ্ঠ’ শ্রেণীতে। নতুন শিক্ষাক্রমের কনটেন্ট তৈরির জন্য ধারাবাহিকভাবে চলছে কর্মশালা।

শিক্ষা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠ্যদান শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছিল শিক্ষা প্রশাসন। এ লক্ষ্যে গতবছর করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও প্রস্তুতি নিয়েছিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। কিন্তু শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতার কারণে মূল কাজ অর্থাৎ বিষয়বস্তু তৈরি পিছিয়ে যায়। এবারও একই কারণে সময়ক্ষেপন হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত ১৩ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ২০২২ শিক্ষাবর্ষ থেকেই নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু হবে। আগামী বছর থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ১০০টি করে মোট ২০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন এ শিক্ষাক্রমের ‘পাইলটিং’ (পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন) শুরু হবে। এর মধ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসাও থাকবে।

২০১২ সালে সর্বশেষ জাতীয় শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আনা হয়। এর আগে ১৯৯৫ ও ১৯৭৬ সালে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়। সরকার ২০১০ সালে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি’ প্রণয়ন করলেও এর অনেক কিছুই বাস্তবায়নের বাকি রয়েছে।

নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের সর্বশেষ প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘কাজ আমাদের ভালোই আগাচ্ছে। আমরা যে কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট শুরু করেছি, এটা হয়তো নভেম্বরের শেষ সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। পাইলটিংয়ের কাজও আমাদের প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।’

নতুন শিক্ষাক্রমের বই কবে নাগাদ ছাপাতে পারবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলোতো অল্প বই, বইগুলো হয়তো ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রিন্টিং (ছাপা) করতে পারব। এই সময়ের মধ্যে আমরা ছাপাতে পারব। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণীর জন্য আলাদা টেন্ডার হবে, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর জন্যও আলাদা টেন্ডার হবে। এগুলো অল্প টাকার বই, এই টাকার বই আমি নিজে অনুমোদন করে ছাপিয়ে ফেলব।’

নির্ধারিত সময়ে নতুন শিক্ষাক্রমের বই ছাপা সম্ভব হবে কী না জানতে চাইলে প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমরা টাইট শিডিউলে আছি, তবে একই সঙ্গে... পর্যায়ক্রমে কাজ করে যাচ্ছি, বিভিন্ন কর্মশালা চলছে, যারা বইয়ের মেকআপ, গেটআপ করবেন তারা কাজ করছেন। প্রতিটি বিষয়ের লেখক এনসিটিবিতে এসে নিয়মিত কাজ করছেন। পুরোদমেই চলছে শিক্ষাক্রম তৈরির কাজ।’

এনসিটিবির দেয়া খসড়া ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’ অনুযায়ী ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ১৩টি বিষয়ের শিক্ষাক্রম প্রণয়ন হচ্ছে। এসব বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকের ইলাস্ট্রেশন, প্রাফিক্স ডিজাইন, বুক ডিজাইন নির্ধারণের জন্য আজ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। অথচ এই কর্মশালায় এনসিটিবির নিজস্ব ডিজাইনার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বাদ নিয়ে বেসরকারি পর্যায়ের লোক দিয়ে ওইসব কাজ করার অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ওই ১৩টি বিষয়ের মধ্যে যেসব বিষয় থাকছে সেগুলোর মধ্যে বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, শিল্প ও সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম, খ্রিস্ট ধর্ম, ইসলাম শিক্ষা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, গণিত, ইংরেজি, বাংলা, এসেসমেন্ট (মূল্যায়ন), জেন্ডার, ইনক্লুশন ও ইলাস্ট্রেটর গ্রুপ।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে ১০টি অভিন্ন বই পড়ানো হবে। এগুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, ধর্ম শিক্ষা, ভালো থাকা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি।

নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান।

নতুন শিক্ষাক্রম তৈরির প্রস্তুতির বিষয়ে ড. মশিউজ্জামান গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘কাজ চলছে, আমরা আশা করছি এই মাসের মধ্যে শেষ করতে পারব। কিছু কাজ আমাদের আগে করা ছিল। এখন পর্যন্ত যে প্রস্তুতি তাতে এই মাসের শেষ নাগাদ খসড়া তৈরি করতে পারব। এরপর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চূড়ান্ত করতে পারব।’

২০২৩ সাল থেকে ধাপে ধাপে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। আর ২০২৫ সালে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাক্রমের পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে। এতে শিক্ষাক্রম অনুযায়ী নবম শ্রেণী থেকে গ্রুপের বিভাজন আর থাকবে না। শিখন সময় কতটা হবে, তা নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে। ২০২৪ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণী এবং ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণীতে এ শিক্ষাক্রম শুরু হবে।

নতুন শিক্ষাক্রমে দশম শ্রেণীর কারিকুলাম অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষা হবে। আগে নবম-দশম মিলে পাবলিক পরীক্ষা হতো। আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে দুটি পরীক্ষা নিয়ে সেই দুই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল দেয়া হবে।