বিজেপির নজর এখন পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকটির তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন। কারণ আগামী বছরের গোড়ার দিকে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখ-, পঞ্জাবসহ মোট ৫টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এর মধ্যে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনকে। কারণ এই নির্বাচনের ফলাফলকে সামনে রেখেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি মাপতে চাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। এই বৈঠকে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও উপস্থিত ছিলেন। যদিও এ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যোগীর ভার্চুয়াল উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী বছর এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে শুধু বিজেপি নয়, প্রতিটি দলের জন্যই পরীক্ষা হতে চলেছে। আর সেদিক থেকে বিজেপিতো অবশ্যই চাইবে, নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করে নিতে। তাই দলের সাংগঠনিক শক্তি-বৃদ্ধি নিয়ে বিশদ আলোচনা ছাড়াও ওই বৈঠকে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ এবং দলীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি ও কর্মকৌশল ঠিক করে দেয়া হয়।
গত মাসে হওয়া কয়েকটি রাজ্যের উপনির্বাচনে জোর ধাক্কা খেয়েছে গেরুয়া শিবির। পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কিছু আসনে বিজেপি প্রার্থীদের জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
দু’বছর পর এই প্রথম বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক বসে দিল্লিতে। দিল্লির এনডিএমসি কনভেনশন সেন্টারে এদিন সকাল ১০টায় শুরু হয় বিজেপির এই জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিরাও। তাদের সামনেই জেপি নাড্ডা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে আশ্বাস দিতে চাই যে, আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকব এবং আছি। রাজ্যে আমরা আগামীতে নতুন ইতিহাস রচনা করব। তিনি বলেন, একসময় পশ্চিমবঙ্গে মাত্র তিন শতাংশের কাছাকাছি ভোট ছিল বিজেপির। সেখানে একুশের নির্বাচনে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। পেয়েছে ৭৭টি আসন।
নির্বাচন ও উপনির্বাচনে বিপর্যয়ের পর জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতাদের কন্ঠে আত্মসমীক্ষার সুর শোনা না গেলেও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি বাংলায় বিজেপির ফলাফলের জন্য মূলত প্রশংসাই করেন।
মঙ্গলবার, ০৯ নভেম্বর ২০২১ , ২৪ কার্তিক ১৪২৮ ৩ রবিউস সানি ১৪৪৩
দীপক মুখার্জী, কলকাতা
বিজেপির নজর এখন পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকটির তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন। কারণ আগামী বছরের গোড়ার দিকে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখ-, পঞ্জাবসহ মোট ৫টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এর মধ্যে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনকে। কারণ এই নির্বাচনের ফলাফলকে সামনে রেখেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি মাপতে চাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। এই বৈঠকে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও উপস্থিত ছিলেন। যদিও এ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যোগীর ভার্চুয়াল উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী বছর এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে শুধু বিজেপি নয়, প্রতিটি দলের জন্যই পরীক্ষা হতে চলেছে। আর সেদিক থেকে বিজেপিতো অবশ্যই চাইবে, নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করে নিতে। তাই দলের সাংগঠনিক শক্তি-বৃদ্ধি নিয়ে বিশদ আলোচনা ছাড়াও ওই বৈঠকে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ এবং দলীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি ও কর্মকৌশল ঠিক করে দেয়া হয়।
গত মাসে হওয়া কয়েকটি রাজ্যের উপনির্বাচনে জোর ধাক্কা খেয়েছে গেরুয়া শিবির। পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কিছু আসনে বিজেপি প্রার্থীদের জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
দু’বছর পর এই প্রথম বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক বসে দিল্লিতে। দিল্লির এনডিএমসি কনভেনশন সেন্টারে এদিন সকাল ১০টায় শুরু হয় বিজেপির এই জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিরাও। তাদের সামনেই জেপি নাড্ডা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে আশ্বাস দিতে চাই যে, আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকব এবং আছি। রাজ্যে আমরা আগামীতে নতুন ইতিহাস রচনা করব। তিনি বলেন, একসময় পশ্চিমবঙ্গে মাত্র তিন শতাংশের কাছাকাছি ভোট ছিল বিজেপির। সেখানে একুশের নির্বাচনে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। পেয়েছে ৭৭টি আসন।
নির্বাচন ও উপনির্বাচনে বিপর্যয়ের পর জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতাদের কন্ঠে আত্মসমীক্ষার সুর শোনা না গেলেও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি বাংলায় বিজেপির ফলাফলের জন্য মূলত প্রশংসাই করেন।