জীবাশ্ম জ্বালানি খাত বন্ধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সমাবেশ

জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বন্ধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে বরিশালে প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর তীরে গতকাল সকাল ১০টায় ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রান্তজন, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট(ক্লিন) ও এশিয়ান পিপলস্ মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এপিএমডিডি) যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে ক্লিন’র প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী বলেন, বাতাসে কার্বন নির্গমনের ৭২ শতাংশই আসে জ্বালানিখাত থেকে। তাই কার্বন নির্গমন কমানোর জন্য কয়লা, গ্যাস ও জ্বালানি তেলখাতে উন্নত দেশগুলোর বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ ৪০টি দেশ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু জার্মানি, জাপান, চীন, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, বেলজিয়ামের মতো বড় বিনিয়োগকারী দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করার কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এসব দেশের অবিলম্বে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে।

এপিএমডিডি’র সমন্বয়কারী লিডি ন্যাকপিল বলেন, ২০টি দেশ ও কয়েকটি ব্যাংক ২০২২ সাল নাগাদ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তারা অতিসত্বর যদি জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ না করে তাহলে পৃথিবীর উষ্ণায়নের হার ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। তাই অবিলম্বে কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করা, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জলবায়ু বিপদাপন্নদের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা করা, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন শূন্যেও কোটায় নামিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।

image

বরিশাল : জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবিতে গতকাল ইট পোড়ানোর ভাটায় জমাকৃত কয়লার স্তূপের সামনে প্রতিবাদী সমাবেশ -সংবাদ

আরও খবর
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী লন্ডন থেকে ফ্রান্স যাচ্ছেন আজ
জিয়ার আমলে গুম-খুনের তালিকা প্রকাশের দাবি
আগামী বছর ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নজর
সাংবাদিক-পুলিশ পারস্পরিক সহযোগী হয়ে মানুষের পাশে থাকব ডিএমপি কমিশনার
জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে : মির্জা ফখরুল
পূজামণ্ডপে হামলা : ৪ জন গ্রেপ্তার
যশোরে গৃহবধূ নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৬
কারখানা মালিকের নামে মামলা
ইন্সপেক্টর শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু

মঙ্গলবার, ০৯ নভেম্বর ২০২১ , ২৪ কার্তিক ১৪২৮ ৩ রবিউস সানি ১৪৪৩

জীবাশ্ম জ্বালানি খাত বন্ধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সমাবেশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

image

বরিশাল : জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবিতে গতকাল ইট পোড়ানোর ভাটায় জমাকৃত কয়লার স্তূপের সামনে প্রতিবাদী সমাবেশ -সংবাদ

জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বন্ধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে বরিশালে প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর তীরে গতকাল সকাল ১০টায় ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রান্তজন, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট(ক্লিন) ও এশিয়ান পিপলস্ মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এপিএমডিডি) যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে ক্লিন’র প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী বলেন, বাতাসে কার্বন নির্গমনের ৭২ শতাংশই আসে জ্বালানিখাত থেকে। তাই কার্বন নির্গমন কমানোর জন্য কয়লা, গ্যাস ও জ্বালানি তেলখাতে উন্নত দেশগুলোর বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ ৪০টি দেশ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু জার্মানি, জাপান, চীন, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, বেলজিয়ামের মতো বড় বিনিয়োগকারী দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করার কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এসব দেশের অবিলম্বে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে।

এপিএমডিডি’র সমন্বয়কারী লিডি ন্যাকপিল বলেন, ২০টি দেশ ও কয়েকটি ব্যাংক ২০২২ সাল নাগাদ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তারা অতিসত্বর যদি জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ না করে তাহলে পৃথিবীর উষ্ণায়নের হার ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। তাই অবিলম্বে কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করা, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জলবায়ু বিপদাপন্নদের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা করা, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন শূন্যেও কোটায় নামিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।