টাঙ্গাইলে ৪০ বছরেও ছাত্রলীগ নেতা কল্যাণ বিহারি হত্যার বিচার হয়নি

টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগ নেতা কল্যাণ বিহারি দাস হত্যাকা-ের ৪০ বছরেও বিচার পায়নি তার পরিবার। পরিবারটি এ হত্যাকা-ের বিচারের জন্য শেখ হাসিনার দিকে চেয়ে আছে। পরিবারের লোকজন বলছেন, আর কত বছর হলে বিচার পাবেন কল্যাণ বিহারী দাস। ১৯৮১ সালের ৯ নভেম্বর তিনি খুন হন।

পরিবারের দাবি, কল্যাণ বিহারি হত্যাকা-ের পর দলীয় সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কল্যাণ বিহারির বাড়িতে এসেছিলেন। এ সময় তিনি তার মা-বাবাকে সান্ত¡না দিয়ে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে কল্যাণের হত্যাকারীদের বিচার করা হবে। কিন্তু তারপর আওয়ামী লীগ চারবার ক্ষমতায় এলেও এ হত্যাকা-ের বিচার হয়নি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. কামাল হোসেনের পক্ষে ১৯৮১ সালের ৯ নভেম্বর সদর উপজেলার যুগনী হাটে তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কল্যাণ বিহারি দাস প্রচারণায় যান।

এ দিন বিকেলে ওই হাটে নির্বাচনী মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার সময় বিএনপি’র সমর্থকরা হামলা করেন। হামলাকারীদের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন কল্যাণ বিহারি। এ ঘটনায় টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করা হয়। মামলায় তৎকালীন বিএনপি সরকারের ধর্মমন্ত্রী আবদুর রহমানের পরিবারের লোক এবং কয়েকজন আত্মীয়স্বজনকে আসামি করা হয়।

মঙ্গলবার, ০৯ নভেম্বর ২০২১ , ২৪ কার্তিক ১৪২৮ ৩ রবিউস সানি ১৪৪৩

টাঙ্গাইলে ৪০ বছরেও ছাত্রলীগ নেতা কল্যাণ বিহারি হত্যার বিচার হয়নি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগ নেতা কল্যাণ বিহারি দাস হত্যাকা-ের ৪০ বছরেও বিচার পায়নি তার পরিবার। পরিবারটি এ হত্যাকা-ের বিচারের জন্য শেখ হাসিনার দিকে চেয়ে আছে। পরিবারের লোকজন বলছেন, আর কত বছর হলে বিচার পাবেন কল্যাণ বিহারী দাস। ১৯৮১ সালের ৯ নভেম্বর তিনি খুন হন।

পরিবারের দাবি, কল্যাণ বিহারি হত্যাকা-ের পর দলীয় সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কল্যাণ বিহারির বাড়িতে এসেছিলেন। এ সময় তিনি তার মা-বাবাকে সান্ত¡না দিয়ে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে কল্যাণের হত্যাকারীদের বিচার করা হবে। কিন্তু তারপর আওয়ামী লীগ চারবার ক্ষমতায় এলেও এ হত্যাকা-ের বিচার হয়নি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. কামাল হোসেনের পক্ষে ১৯৮১ সালের ৯ নভেম্বর সদর উপজেলার যুগনী হাটে তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কল্যাণ বিহারি দাস প্রচারণায় যান।

এ দিন বিকেলে ওই হাটে নির্বাচনী মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার সময় বিএনপি’র সমর্থকরা হামলা করেন। হামলাকারীদের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন কল্যাণ বিহারি। এ ঘটনায় টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করা হয়। মামলায় তৎকালীন বিএনপি সরকারের ধর্মমন্ত্রী আবদুর রহমানের পরিবারের লোক এবং কয়েকজন আত্মীয়স্বজনকে আসামি করা হয়।