দায় নেবে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে নবগঠিত বোর্ড

ইভ্যালিতে আটকে থাকা গ্রাহকের টাকা ফেরতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোন দায় নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান। তিনি জানান, ইভ্যালির টাকা কীভাবে ফেরত আসবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্টের গঠন করে দেয়া বোর্ড। এখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোন হস্তক্ষেপ করবে না।

ই-কমার্স সংক্রান্ত সরকারের উচ্চপর্যায়ের কমিটির সভা শেষে গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন কমিটির সমন্বয়ক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান।

তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ইভ্যালিতে গ্রাহকের আটকে থাকা টাকা ফেরতের কোন পদক্ষেপ আছে কি না।

এ বিষয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘ইভ্যালির বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে তাদের জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছে। সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক স্যারের নেতৃত্বে যে কমিটি ইভ্যালির বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। এখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোন সিদ্ধান্ত নেবে না, যেহেতু মহামান্য হাইকোর্ট একটা কমিটি করে দিয়েছে।’

অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলাগুলোর পাশাপাশি আরও ১১টি মানি লন্ডারিং মামলা করা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান।

তিনি আরও বলেন, ‘খুব সহজেই এগুলোর তদন্ত শেষ হবে। সব মিলিয়ে ১৫টি মামলা আছে। টাকা ফেরতের সিদ্ধান্তটি এসেছে মূলত গত ২৫ তারিখ চার মন্ত্রীর বৈঠক থেকে। কেবিনেটের গঠিত কমিটি চলতি মাসে দ্বিতীয় বৈঠকেই কিন্তু সিআইডি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে তথ্যগুলো নিয়েছি। মূলত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য কাজ করছে তারা (সিআইডি)। কারণ এখানে লিগ্যাল পার্ট আছে।’

সফিকুজ্জামান বলেন, ‘কারণ টাকাটা তো একটি কোর্টের মধ্যে আছে, সেগুলো বের করতে একটু সময় লাগবে। ৫১২ কোটি টাকার মধ্যে ২১৪ কোটি টাকা ৩০ জুনের পর ঢুকেছে। আর আগের টাকা মিলে ৫১২ কোটি টাকা আটকে আছে। আমি নাম বলতে চাই না। একটি কোম্পানির বড় ধরনের টাকা ওখানে আটকে আছে। সেখানে লিগ্যাল ইস্যু আছে। মানুষের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। এই টাকাটা টোটালি আমাদের পেমেন্ট গেটওয়েতে আছে। সেটা কিন্তু আমাদের লিগ্যাল ইস্যুটার ক্লিয়ারেন্স পাওয়া গেলে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে বলব। এটা কিন্তু সিআইডির আওতার মধ্যেও না। যে টাকাগুলো সিআইডির কেসের বাইরে সেগুলো সিআইডির ফ্রিজ করা টাকার মধ্যেও না। এই টাকাগুলোই আমরা ফেরত দিতে পারব। লেজিসলেটিভ উইং থেকে তারা কী ক্লিয়ারেন্স দেয় সেটি আমি বলতে পারব না।’

কী পদ্ধতিতে গ্রাহক টাকা ফেরত পাবে, জানতে চাইলে এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘যে সিস্টেমে গ্রাহক টাকাটা দিয়েছে, এই পেমেন্ট পদ্ধতিটা অনলাইনের মাধ্যমেই হয়। তাই তাকে অনলাইনেই ফেরত দেয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইনস্ট্রাকশন যাবে। যারা থার্ড পার্টি, যেখানে টাকা জমা আছে সেখান থেকে যারা পেমেন্ট করেছে তাদের কাছে অটোমেটিক পাঠিয়ে দিতে পারবে। এখানে লিগ্যাল ইস্যু আছে। তাই আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য অপেক্ষা করছি।

বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১ , ২৫ কার্তিক ১৪২৮ ৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

ইভ্যালির গ্রাহকদের টাকা ফেরত

দায় নেবে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে নবগঠিত বোর্ড

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ইভ্যালিতে আটকে থাকা গ্রাহকের টাকা ফেরতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোন দায় নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান। তিনি জানান, ইভ্যালির টাকা কীভাবে ফেরত আসবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্টের গঠন করে দেয়া বোর্ড। এখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোন হস্তক্ষেপ করবে না।

ই-কমার্স সংক্রান্ত সরকারের উচ্চপর্যায়ের কমিটির সভা শেষে গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন কমিটির সমন্বয়ক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান।

তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ইভ্যালিতে গ্রাহকের আটকে থাকা টাকা ফেরতের কোন পদক্ষেপ আছে কি না।

এ বিষয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘ইভ্যালির বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে তাদের জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছে। সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক স্যারের নেতৃত্বে যে কমিটি ইভ্যালির বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। এখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোন সিদ্ধান্ত নেবে না, যেহেতু মহামান্য হাইকোর্ট একটা কমিটি করে দিয়েছে।’

অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলাগুলোর পাশাপাশি আরও ১১টি মানি লন্ডারিং মামলা করা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান।

তিনি আরও বলেন, ‘খুব সহজেই এগুলোর তদন্ত শেষ হবে। সব মিলিয়ে ১৫টি মামলা আছে। টাকা ফেরতের সিদ্ধান্তটি এসেছে মূলত গত ২৫ তারিখ চার মন্ত্রীর বৈঠক থেকে। কেবিনেটের গঠিত কমিটি চলতি মাসে দ্বিতীয় বৈঠকেই কিন্তু সিআইডি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে তথ্যগুলো নিয়েছি। মূলত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য কাজ করছে তারা (সিআইডি)। কারণ এখানে লিগ্যাল পার্ট আছে।’

সফিকুজ্জামান বলেন, ‘কারণ টাকাটা তো একটি কোর্টের মধ্যে আছে, সেগুলো বের করতে একটু সময় লাগবে। ৫১২ কোটি টাকার মধ্যে ২১৪ কোটি টাকা ৩০ জুনের পর ঢুকেছে। আর আগের টাকা মিলে ৫১২ কোটি টাকা আটকে আছে। আমি নাম বলতে চাই না। একটি কোম্পানির বড় ধরনের টাকা ওখানে আটকে আছে। সেখানে লিগ্যাল ইস্যু আছে। মানুষের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। এই টাকাটা টোটালি আমাদের পেমেন্ট গেটওয়েতে আছে। সেটা কিন্তু আমাদের লিগ্যাল ইস্যুটার ক্লিয়ারেন্স পাওয়া গেলে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে বলব। এটা কিন্তু সিআইডির আওতার মধ্যেও না। যে টাকাগুলো সিআইডির কেসের বাইরে সেগুলো সিআইডির ফ্রিজ করা টাকার মধ্যেও না। এই টাকাগুলোই আমরা ফেরত দিতে পারব। লেজিসলেটিভ উইং থেকে তারা কী ক্লিয়ারেন্স দেয় সেটি আমি বলতে পারব না।’

কী পদ্ধতিতে গ্রাহক টাকা ফেরত পাবে, জানতে চাইলে এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘যে সিস্টেমে গ্রাহক টাকাটা দিয়েছে, এই পেমেন্ট পদ্ধতিটা অনলাইনের মাধ্যমেই হয়। তাই তাকে অনলাইনেই ফেরত দেয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইনস্ট্রাকশন যাবে। যারা থার্ড পার্টি, যেখানে টাকা জমা আছে সেখান থেকে যারা পেমেন্ট করেছে তাদের কাছে অটোমেটিক পাঠিয়ে দিতে পারবে। এখানে লিগ্যাল ইস্যু আছে। তাই আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য অপেক্ষা করছি।