বদলগাছীতে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে নির্মাণসামগ্রী রেখেছেন ঠিকাদার

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর আধিবাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের খেলার মাঠ ও বারান্দা দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রেখেছে ঠিকাদার। বিষয়টি জানতে চাইলে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

জানা যায়, বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর আধিবাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও স্কুলের বারান্দায় প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস ধরে স্কুলের ভবন তৈরির নির্মাণ সামগ্রী ফেলে দখল করে রাখা হয়েছে। এতে স্কুলের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘœ ঘটছে। একই সঙ্গে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশ ও ক্লাস রুমে চলাচল করতে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকার তরুণরা খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের নতুন অবকাঠামো তৈরির জন্য ঠিকাদার ইট, পাথর, রড, খোয়া, বালি, কাঠ ও বাঁশসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে এসে বিদ্যালয়ের পুরো মাঠ, বারান্দা ও কিছু ক্লাস রুম দখল করে রেখেছে। এরপর করোনাকালীন দীর্ঘ ছুটির পর গত মাসে স্কুল খুলে দেয়া হলেও এখনো পর্যন্ত নির্মাণ সামগ্রীগুলো সরানো হয়নি স্কুল মাঠ থেকে। মাঠজুড়ে এসব নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক-শিক্ষকাদের চলাচলের হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা জানায়, ‘করোনার মধ্যে বাড়ি থেকে বের হতে পারিনি। এখন স্কুল চালু হওয়ায় আমরা খুব খুশি। কিন্তু মাঠজুড়ে ঠিকাদারের নির্মাণ সামগ্রীর জিনিসপত্র রাখায় আমাদের সারাক্ষণ শ্রেণীকক্ষেই আটকে থাকতে হয়।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদের সঙ্গে কথা বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা খেলাধুলা করবে কি করবে না সেটা আমরা বুঝবো। বিদ্যালয়ের সভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমি নিজেও দেখেছি। গত মাসের ২২ তারিখে কাজ শুরুর কথা ছিল কিন্তু ঠিকাদার কাজ শুরু করেনি।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাজস্ব থেকে অর্থ না পাওয়ায় ঠিকাদার কাজ করতে পারেনি। ঠিকাদার নির্মাণ সামগ্রী রেখে স্কুলের খেলার মাঠ দখল করে রেখেছে কেন বলে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি ঠিকাদারকে আজই চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাবো। তিনি আরও বলেন, ঠিকাদার অন্য জায়গা ভাড়া নিয়ে নির্মাণ সামগ্রী রাখবে। বিদ্যালয়ের সমস্যা কেন সৃষ্টি করবে।

এ ব্যপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ. টি. এম. জিল্লুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ঠিকাদারকে কয়েক দিন আগেও মালামাল সরিয়ে নিতে বলেছি। আমি আবারও তাদের সঙ্গে কথা বলব, যেন তারা দ্রুত সব কিছু সরিয়ে নেয়।

বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১ , ২৫ কার্তিক ১৪২৮ ৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

বদলগাছীতে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে নির্মাণসামগ্রী রেখেছেন ঠিকাদার

প্রতিনিধি, বদলগাছী (নওগাঁ)

image

বদলখাছী (নওগাঁ) : খেলার মাঠে এভাবে নির্মাণসামগ্রী রাখায় বন্ধ রয়েছে খেলাধুলা

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর আধিবাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের খেলার মাঠ ও বারান্দা দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রেখেছে ঠিকাদার। বিষয়টি জানতে চাইলে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

জানা যায়, বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর আধিবাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও স্কুলের বারান্দায় প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস ধরে স্কুলের ভবন তৈরির নির্মাণ সামগ্রী ফেলে দখল করে রাখা হয়েছে। এতে স্কুলের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘœ ঘটছে। একই সঙ্গে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশ ও ক্লাস রুমে চলাচল করতে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকার তরুণরা খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের নতুন অবকাঠামো তৈরির জন্য ঠিকাদার ইট, পাথর, রড, খোয়া, বালি, কাঠ ও বাঁশসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে এসে বিদ্যালয়ের পুরো মাঠ, বারান্দা ও কিছু ক্লাস রুম দখল করে রেখেছে। এরপর করোনাকালীন দীর্ঘ ছুটির পর গত মাসে স্কুল খুলে দেয়া হলেও এখনো পর্যন্ত নির্মাণ সামগ্রীগুলো সরানো হয়নি স্কুল মাঠ থেকে। মাঠজুড়ে এসব নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক-শিক্ষকাদের চলাচলের হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা জানায়, ‘করোনার মধ্যে বাড়ি থেকে বের হতে পারিনি। এখন স্কুল চালু হওয়ায় আমরা খুব খুশি। কিন্তু মাঠজুড়ে ঠিকাদারের নির্মাণ সামগ্রীর জিনিসপত্র রাখায় আমাদের সারাক্ষণ শ্রেণীকক্ষেই আটকে থাকতে হয়।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদের সঙ্গে কথা বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা খেলাধুলা করবে কি করবে না সেটা আমরা বুঝবো। বিদ্যালয়ের সভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমি নিজেও দেখেছি। গত মাসের ২২ তারিখে কাজ শুরুর কথা ছিল কিন্তু ঠিকাদার কাজ শুরু করেনি।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাজস্ব থেকে অর্থ না পাওয়ায় ঠিকাদার কাজ করতে পারেনি। ঠিকাদার নির্মাণ সামগ্রী রেখে স্কুলের খেলার মাঠ দখল করে রেখেছে কেন বলে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি ঠিকাদারকে আজই চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাবো। তিনি আরও বলেন, ঠিকাদার অন্য জায়গা ভাড়া নিয়ে নির্মাণ সামগ্রী রাখবে। বিদ্যালয়ের সমস্যা কেন সৃষ্টি করবে।

এ ব্যপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ. টি. এম. জিল্লুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ঠিকাদারকে কয়েক দিন আগেও মালামাল সরিয়ে নিতে বলেছি। আমি আবারও তাদের সঙ্গে কথা বলব, যেন তারা দ্রুত সব কিছু সরিয়ে নেয়।