চাঁপাইনবাবগঞ্জে রডের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি উন্নয়ন ব্যাহত

অস্বাভাবিক হারে রডের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় চলমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন ঠিকাদাররা। বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত এক মাস ধরে বাজারে মূল্য বৃদ্ধির ফলে কোম্পানি ভেদে রড বিক্রি হচ্ছে প্রতি টন ৭৯ থেকে ৮০ হাজার, ৮০ থেকে ৮২ হাজার টাকা ও ৭৭ থেকে ৭৮ হাজার টাকায়। এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, রড ও ইটের মূল্যবৃদ্ধি শুধু আবাসন খাতকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, এর সঙ্গে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত হতে পারে। মান ও কোম্পানি ভেদে রডের দাম কেজিতে বেড়েছে ১২ থেকে ১৫ টাকা। লুনা ট্রেডার্স’র স্বত্বাধিকারী রাইহানুল ইসলাম লুনা বলেন, চলতি সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ক্রমান্বয়ে রডের দাম বেড়ে চলেছে। আনোয়ার গ্রুপের রড ৮০ টাকা, একেএস কোম্পানির ৮২ টাকা, নোনতাহা কোম্পানি ৭৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বাড়ায় বিক্রি কম গেছে। এ সময় রডের চাহিদা কিছুটা বেশি থাকে, যে কারণে দাম কিছুটা বাড়ে। জেলায় নানামুখী নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ঠিকদার প্রতিষ্ঠানগুলো। জহরুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম নামে দুই ঠিকাদার বলেন, উন্নয়ন কাজে টেন্ডার সিডিউলে যে দাম ধরা হয়েছিল, তার থেকে বেশ কিছু শতাংশ বেড়ে গেছে। সে অনুযায়ী কাজ করলে স্থানীয় ঠিকাদাররা ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। রডের দাম বাড়ায় বেঁধে দেয়া অর্থের মধ্যে কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। সবাই দাম কমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে, সে কারণে কাজ শেষ করতে দেরি হতে পারে। এদিকে, আনোয়ার গ্রুপের রাজশাহী জোনের এরিয়া ম্যানেজার সাখওয়াত মজুমদার মানিক জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বাড়ার পাশাপাশি ডলারের দামও বেড়েছে। স্ক্রাপের ঘাটতি রয়েছে, আগের চেয়ে তুলনামূলক বেড়ে গেছে। আগে ছিল সাড়ে ৩৭ ডলার, বর্তমানে সাড়ে ৫শ’ থেকে ৬শ’ ডলারে স্ক্রাপের দাম এবং আগামীতে আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব কারণে রডের দাম বেড়েছে।

বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১ , ২৫ কার্তিক ১৪২৮ ৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জে রডের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি উন্নয়ন ব্যাহত

জেলা বার্তা পরিবেশক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

অস্বাভাবিক হারে রডের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় চলমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন ঠিকাদাররা। বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত এক মাস ধরে বাজারে মূল্য বৃদ্ধির ফলে কোম্পানি ভেদে রড বিক্রি হচ্ছে প্রতি টন ৭৯ থেকে ৮০ হাজার, ৮০ থেকে ৮২ হাজার টাকা ও ৭৭ থেকে ৭৮ হাজার টাকায়। এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, রড ও ইটের মূল্যবৃদ্ধি শুধু আবাসন খাতকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, এর সঙ্গে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত হতে পারে। মান ও কোম্পানি ভেদে রডের দাম কেজিতে বেড়েছে ১২ থেকে ১৫ টাকা। লুনা ট্রেডার্স’র স্বত্বাধিকারী রাইহানুল ইসলাম লুনা বলেন, চলতি সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ক্রমান্বয়ে রডের দাম বেড়ে চলেছে। আনোয়ার গ্রুপের রড ৮০ টাকা, একেএস কোম্পানির ৮২ টাকা, নোনতাহা কোম্পানি ৭৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বাড়ায় বিক্রি কম গেছে। এ সময় রডের চাহিদা কিছুটা বেশি থাকে, যে কারণে দাম কিছুটা বাড়ে। জেলায় নানামুখী নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ঠিকদার প্রতিষ্ঠানগুলো। জহরুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম নামে দুই ঠিকাদার বলেন, উন্নয়ন কাজে টেন্ডার সিডিউলে যে দাম ধরা হয়েছিল, তার থেকে বেশ কিছু শতাংশ বেড়ে গেছে। সে অনুযায়ী কাজ করলে স্থানীয় ঠিকাদাররা ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। রডের দাম বাড়ায় বেঁধে দেয়া অর্থের মধ্যে কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। সবাই দাম কমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে, সে কারণে কাজ শেষ করতে দেরি হতে পারে। এদিকে, আনোয়ার গ্রুপের রাজশাহী জোনের এরিয়া ম্যানেজার সাখওয়াত মজুমদার মানিক জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বাড়ার পাশাপাশি ডলারের দামও বেড়েছে। স্ক্রাপের ঘাটতি রয়েছে, আগের চেয়ে তুলনামূলক বেড়ে গেছে। আগে ছিল সাড়ে ৩৭ ডলার, বর্তমানে সাড়ে ৫শ’ থেকে ৬শ’ ডলারে স্ক্রাপের দাম এবং আগামীতে আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব কারণে রডের দাম বেড়েছে।