দিনাজপুর মেয়রের অনিয়ম তদন্তে স্থানীয় সরকার বিভাগ

দিনাজপুর পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরগণ কর্তৃক আনিত বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ সরেজমিন তদন্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে তদন্তের ব্যাপারে এখনই কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আর অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলেও সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান মেয়র।

দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অনিয়মের জন্য রাজস্ব ও আর্থিক ক্ষতি হওয়ার অভিযোগ করেন তারই পরিষদের ১০ জন কাউন্সিলর।

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার (গোপনীয়) উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শরিফুল ইসলাম।

মেয়রের বিরুদ্ধে দিনাজপুর পৌরসভার ১নং প্যানেল মেয়রসহ কাউন্সিলরা জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেয়র কোন রকম রেজুলেশন ছাড়াই এবং ইজারার শর্ত না মেনেই ক্ষমতা বহির্ভূতভাবে ইজারাদারদের বকেয়া টাকা কিস্তি সুবিধা দিয়েছেন। ফলে পৌরসভা প্রায় ৯৮ লাখ ৪ হাজার ৫৬৩ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই প্রক্রিয়াতে তিনি পৌর পরিষদের অনুমোদন গ্রহণ না করে নিজে লাভবান হয়েছেন। এছাড়াও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের নিবন্ধন প্রদানের জন্য আদায়কৃত এক কোটি ৬০ লাখ টাকার কোন হদিস দিতে পারছেন না মেয়র। তাছাড়া পৌরসভায় লোক নিয়েগের ক্ষেত্রে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। পৌরসভার বিভিন্ন শাখায় শূন্য পদ না থাকলেও তার নিজস্ব কিছু অদক্ষ লোকজনকে দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাস্টাররোলে নিয়োগ দিয়েছেন। হিসেবের বাইরে প্রতিটি শাখায় এইসব লোকজন কর্মরত রয়েছেন।

বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১ , ২৫ কার্তিক ১৪২৮ ৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

দিনাজপুর মেয়রের অনিয়ম তদন্তে স্থানীয় সরকার বিভাগ

চিত্ত ঘোষ, দিনাজপুর

দিনাজপুর পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরগণ কর্তৃক আনিত বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ সরেজমিন তদন্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে তদন্তের ব্যাপারে এখনই কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আর অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলেও সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান মেয়র।

দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অনিয়মের জন্য রাজস্ব ও আর্থিক ক্ষতি হওয়ার অভিযোগ করেন তারই পরিষদের ১০ জন কাউন্সিলর।

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার (গোপনীয়) উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শরিফুল ইসলাম।

মেয়রের বিরুদ্ধে দিনাজপুর পৌরসভার ১নং প্যানেল মেয়রসহ কাউন্সিলরা জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেয়র কোন রকম রেজুলেশন ছাড়াই এবং ইজারার শর্ত না মেনেই ক্ষমতা বহির্ভূতভাবে ইজারাদারদের বকেয়া টাকা কিস্তি সুবিধা দিয়েছেন। ফলে পৌরসভা প্রায় ৯৮ লাখ ৪ হাজার ৫৬৩ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই প্রক্রিয়াতে তিনি পৌর পরিষদের অনুমোদন গ্রহণ না করে নিজে লাভবান হয়েছেন। এছাড়াও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের নিবন্ধন প্রদানের জন্য আদায়কৃত এক কোটি ৬০ লাখ টাকার কোন হদিস দিতে পারছেন না মেয়র। তাছাড়া পৌরসভায় লোক নিয়েগের ক্ষেত্রে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। পৌরসভার বিভিন্ন শাখায় শূন্য পদ না থাকলেও তার নিজস্ব কিছু অদক্ষ লোকজনকে দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাস্টাররোলে নিয়োগ দিয়েছেন। হিসেবের বাইরে প্রতিটি শাখায় এইসব লোকজন কর্মরত রয়েছেন।