করোনাভাইরাসের ওষুধ দেশের বাজারে

করোনাভাইরাসের মুখে খাওয়ার ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ বাংলাদেশে অনুমোদনের পর বাজারেও চলে এসেছে। এই ক্যাপসুলটি যুক্তরাজ্যে গত সপ্তাহে অনুমোদন পেয়েছে।

দেশে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং এসকেএফ ওষুধটি এরমধ্যে বাজারজাতকরণ শুরু করেছে বলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত সোমবার বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং গতকাল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস ওষুধ তৈরি ও বাজারজাতের অনুমোদন পেয়েছে।

এসকেএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুখে খাওয়ার এই ওষুধ গতকাল বিকেল থেকেই দেশের বিভিন্ন ওষুধের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একজন প্রাপ্তবয়স্ককে সকালে চারটি ও রাতে চারটি ক্যাপসুল সেবন করতে হবে। এভাবে ৫ দিনে ৪০টি ক্যাপসুল সেবন করতে হবে। প্রতি ক্যাপসুলের দাম ধরা হয়েছে ৫০ টাকা। এছাড়া অনুমোদনের তালিকায় আছে আরও সাতটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।

করোনার চিকিৎসায় কোন সুনির্দিষ্ট ওষুধ ছিল না। যুক্তরাজ্যে অনুমোদনের পর বলা হচ্ছে ওষুধটি মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারে বলে গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে।

‘উন্নয়নশীল দেশ’ হিসেবে কিছু ওষুধের ক্ষেত্রে ‘মেধাস্বত্ব ছাড়ের’ সুযোগ থাকায় বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো দ্রুত এই ওষুধ আনতে পারছে বলে জানান মাহবুবুর রহমান।

এই প্রথম মুখে খাওয়ার কোন অ্যান্টিভাইরাল আমাদের দেশে এলো। মলনুপিরাভির এরইমধ্যে যুক্তরাজ্যে অনুমোদন পেয়েছে। আমরা মনে করি, এই ওষুধ করোনাভাইরাস মহামারী দূর করতে ভূমিকা পালন করবে বলে জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কোম্পানি মার্ক শার্প অ্যান্ড ডোম (এমএসডি) ও রিজেবাক বায়োথেরাপিউটিক যৌথভাবে তৈরি করেছে লাগেভ্রিও (মলনুপিরাভির) নামে মুখে খাওয়ার এই ওষুধ।

এর আগে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে তাদের তৈরি ওষুধ মলনুপিরাভির মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারছে বলে জানানো হয়েছে।

ওষুধটির ওপর পরীক্ষা হয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ১৭টি দেশে।

গত বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসের উপসর্গের চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার প্রথম ওষুধটি যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) অনুমোদন দিয়েছে।

ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি ও যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ওষুধটি অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।

বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১ , ২৫ কার্তিক ১৪২৮ ৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

মলনুপিরাভির

করোনাভাইরাসের ওষুধ দেশের বাজারে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

করোনাভাইরাসের মুখে খাওয়ার ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ বাংলাদেশে অনুমোদনের পর বাজারেও চলে এসেছে। এই ক্যাপসুলটি যুক্তরাজ্যে গত সপ্তাহে অনুমোদন পেয়েছে।

দেশে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং এসকেএফ ওষুধটি এরমধ্যে বাজারজাতকরণ শুরু করেছে বলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত সোমবার বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং গতকাল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস ওষুধ তৈরি ও বাজারজাতের অনুমোদন পেয়েছে।

এসকেএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুখে খাওয়ার এই ওষুধ গতকাল বিকেল থেকেই দেশের বিভিন্ন ওষুধের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একজন প্রাপ্তবয়স্ককে সকালে চারটি ও রাতে চারটি ক্যাপসুল সেবন করতে হবে। এভাবে ৫ দিনে ৪০টি ক্যাপসুল সেবন করতে হবে। প্রতি ক্যাপসুলের দাম ধরা হয়েছে ৫০ টাকা। এছাড়া অনুমোদনের তালিকায় আছে আরও সাতটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।

করোনার চিকিৎসায় কোন সুনির্দিষ্ট ওষুধ ছিল না। যুক্তরাজ্যে অনুমোদনের পর বলা হচ্ছে ওষুধটি মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারে বলে গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে।

‘উন্নয়নশীল দেশ’ হিসেবে কিছু ওষুধের ক্ষেত্রে ‘মেধাস্বত্ব ছাড়ের’ সুযোগ থাকায় বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো দ্রুত এই ওষুধ আনতে পারছে বলে জানান মাহবুবুর রহমান।

এই প্রথম মুখে খাওয়ার কোন অ্যান্টিভাইরাল আমাদের দেশে এলো। মলনুপিরাভির এরইমধ্যে যুক্তরাজ্যে অনুমোদন পেয়েছে। আমরা মনে করি, এই ওষুধ করোনাভাইরাস মহামারী দূর করতে ভূমিকা পালন করবে বলে জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কোম্পানি মার্ক শার্প অ্যান্ড ডোম (এমএসডি) ও রিজেবাক বায়োথেরাপিউটিক যৌথভাবে তৈরি করেছে লাগেভ্রিও (মলনুপিরাভির) নামে মুখে খাওয়ার এই ওষুধ।

এর আগে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে তাদের তৈরি ওষুধ মলনুপিরাভির মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারছে বলে জানানো হয়েছে।

ওষুধটির ওপর পরীক্ষা হয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ১৭টি দেশে।

গত বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসের উপসর্গের চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার প্রথম ওষুধটি যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) অনুমোদন দিয়েছে।

ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি ও যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ওষুধটি অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।