নাইজারে স্কুলে অগ্নিকাণ্ডে ২৬ শিশু নিহত

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের একটি স্কুলে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। খড়ের তৈরি শ্রেণীকক্ষে লাগা আগুনে স্কুলটির ২৬ শিশু শিক্ষার্থী মারা গেছে। তাদের বয়স পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে। দেশটির দক্ষিণে মারাদি অঞ্চলের একটি স্কুলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

নাইজারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভবনে সব শিক্ষার্থীর স্থান সংকুলান না হওয়ায় কাঠ ও খড়ের তৈরি অস্থায়ী শ্রেণীকক্ষে ক্লাস করে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী।

স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্কুলের শ্রেণীকক্ষগুলো খড়ের তৈরি ছিল বলে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। পুড়ে ছাই হয়েছে তিনটি শ্রেণীকক্ষ। সে সময় পুরোদমে ক্লাস চলছিল। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি। আগুনে দগ্ধ ও আহত হয়েছে আরও অনেক শিশু।

ঘটনাস্থল থেকে আগুনে পোড়া অনেক মরদেহ সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ ও আহত শিশুদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য বিভিন্ন যানবাহনে উঠানো হচ্ছিল। অগ্নিদগ্ধদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। স্কুলটিতে শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। নাইজারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভবনে সব শিক্ষার্থীর স্থান সংকুলান না হওয়ায় কাঠ ও খড়ের তৈরি অস্থায়ী শ্রেণীকক্ষে ক্লাস করে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী।

চলতি বছরের শুরুতে দেশটির রাজধানী নিয়ামের একটি স্কুলে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ২০ শিশুর। সবাই নার্সারির শিক্ষার্থী ছিল। স্কুলের বহির্গমন পথ বন্ধ থাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় স্কুল থেকে বের হতে পারেনি তারা। ওই ঘটনায় খড়ের ২৮টি শ্রেণীকক্ষ পুড়ে ছাই। ঘটনাটি নিয়ে সারা দেশে ক্ষোভ দানা বেঁধেছিল সে সময়।

বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১ , ২৫ কার্তিক ১৪২৮ ৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

নাইজারে স্কুলে অগ্নিকাণ্ডে ২৬ শিশু নিহত

image

দেশটির দক্ষিণে মারাদি অঞ্চলের একটি স্কুলে পাঠদান চলাকালীন খড়ের তৈরি শ্রেণী কক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে -এপি

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের একটি স্কুলে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। খড়ের তৈরি শ্রেণীকক্ষে লাগা আগুনে স্কুলটির ২৬ শিশু শিক্ষার্থী মারা গেছে। তাদের বয়স পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে। দেশটির দক্ষিণে মারাদি অঞ্চলের একটি স্কুলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

নাইজারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভবনে সব শিক্ষার্থীর স্থান সংকুলান না হওয়ায় কাঠ ও খড়ের তৈরি অস্থায়ী শ্রেণীকক্ষে ক্লাস করে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী।

স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্কুলের শ্রেণীকক্ষগুলো খড়ের তৈরি ছিল বলে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। পুড়ে ছাই হয়েছে তিনটি শ্রেণীকক্ষ। সে সময় পুরোদমে ক্লাস চলছিল। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি। আগুনে দগ্ধ ও আহত হয়েছে আরও অনেক শিশু।

ঘটনাস্থল থেকে আগুনে পোড়া অনেক মরদেহ সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ ও আহত শিশুদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য বিভিন্ন যানবাহনে উঠানো হচ্ছিল। অগ্নিদগ্ধদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। স্কুলটিতে শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। নাইজারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভবনে সব শিক্ষার্থীর স্থান সংকুলান না হওয়ায় কাঠ ও খড়ের তৈরি অস্থায়ী শ্রেণীকক্ষে ক্লাস করে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী।

চলতি বছরের শুরুতে দেশটির রাজধানী নিয়ামের একটি স্কুলে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ২০ শিশুর। সবাই নার্সারির শিক্ষার্থী ছিল। স্কুলের বহির্গমন পথ বন্ধ থাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় স্কুল থেকে বের হতে পারেনি তারা। ওই ঘটনায় খড়ের ২৮টি শ্রেণীকক্ষ পুড়ে ছাই। ঘটনাটি নিয়ে সারা দেশে ক্ষোভ দানা বেঁধেছিল সে সময়।