জ্বালানি তেল ও বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ৮ ছাত্র সংগঠনের অবরোধ

জ্বালানি তেলের দাম এবং বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আটটি বাম সংগঠন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তারা শাহবাগমোড়ে অবস্থান নেন। শাহবাগমোড়ে অবস্থান নেয়ার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন এলাকায় জড়ো হন বাম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগমোড়ে আসেন। এতে অংশ নেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট(মার্ক্সবাদ), গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী।

শাহবাগে অবস্থানকালে ছাত্র ফেডারেশনের(গণসংহতি আন্দোলন) সভাপতি মিতু সরকার বলেন, ‘আজ যে অস্বাভাবিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম ও বাস ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে তা সাধারণ মানুষের জন্য খুবই মর্মান্তিক। অথচ প্রতিনিয়তই এই সরকার জনগণকে উন্নয়নের বুলি গেলাচ্ছে। উন্নয়ন হচ্ছে দুর্নীতিবাজ ও দেশের সম্পদ লুটেরাদের। এই তথাকথিত উন্নয়ন সাধারণ জনগণের কোন কাজে লাগছে না।

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, দেশে আজ তেলের রাজনীতি চলছে। এই তেল দিয়ে সাধারণ জনগণ ছাড়া সবাই লাভবান হচ্ছে। এই তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব দেশের সকল কিছুর ওপর পড়ছে। এটি কোন সাধারণ বিষয় নয়, ভাড়া বৃদ্ধির চক্রান্ত সারা দেশের মানুষকে ভুক্তভোগী করছে। এই জ্বালানি তেল এবং বাস ভাড়া বৃদ্ধি চক্রান্তের বিরুদ্ধে কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-জনতা সবাইকে এক জায়গায় দাঁড়াতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকার এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসবে আমাদের আন্দোলন চলবে।

ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি অনিক রায় বলেন, জনগণের ওপর দিয়ে ছড়ি ঘুরিয়ে এই সরকার টিকে আছে। জ্বালানি তেলসহ সব কিছুর ওপর দাম বাড়িয়ে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এর সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে বাস ভাড়াও। এভাবে আর চলতে পারে না। আসুন একসঙ্গে এই অবৈধ সরকারের অবৈধ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করি, এই লড়াইয়ে আমরাই বিজয়ী হব।

গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, আজ যেই অস্বাভাবিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ও বাস ভাড়া বৃদ্ধি তা সাধারণ মানুষের জন্য খুবই মর্মান্তিক। জ্বালানি তেলের দাম কমানো ও বাস ভাড়া কমানোর দাবিতে আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি। সারাদেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। দাম না কমলে আমরা লাগাতার কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি শুভাশীষ চাকমা, ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি (গণসংহতি) মিতু সরকার, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ইকবাল কবীর প্রমুখ। অবরোধের কারণে শাহবাগ থেকে পল্টন, সায়েন্সল্যাব, বাংলা মোটর ও টিএসসি অভিমুখী সড়কে যান চলাচল প্রায় ৪০ মিনিট বন্ধ ছিল। পরে পুলিশের অনুরোধে ১২.৪০-এর দিকে অবস্থান কর্মসূচি শেষ করলে তা সচল হয়।

বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১ , ২৫ কার্তিক ১৪২৮ ৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

জ্বালানি তেল ও বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ৮ ছাত্র সংগঠনের অবরোধ

ঢাবি প্রতিনিধি

image

জ্বালানি তেল ও বাস ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ -সংবাদ

জ্বালানি তেলের দাম এবং বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আটটি বাম সংগঠন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তারা শাহবাগমোড়ে অবস্থান নেন। শাহবাগমোড়ে অবস্থান নেয়ার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন এলাকায় জড়ো হন বাম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগমোড়ে আসেন। এতে অংশ নেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট(মার্ক্সবাদ), গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী।

শাহবাগে অবস্থানকালে ছাত্র ফেডারেশনের(গণসংহতি আন্দোলন) সভাপতি মিতু সরকার বলেন, ‘আজ যে অস্বাভাবিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম ও বাস ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে তা সাধারণ মানুষের জন্য খুবই মর্মান্তিক। অথচ প্রতিনিয়তই এই সরকার জনগণকে উন্নয়নের বুলি গেলাচ্ছে। উন্নয়ন হচ্ছে দুর্নীতিবাজ ও দেশের সম্পদ লুটেরাদের। এই তথাকথিত উন্নয়ন সাধারণ জনগণের কোন কাজে লাগছে না।

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, দেশে আজ তেলের রাজনীতি চলছে। এই তেল দিয়ে সাধারণ জনগণ ছাড়া সবাই লাভবান হচ্ছে। এই তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব দেশের সকল কিছুর ওপর পড়ছে। এটি কোন সাধারণ বিষয় নয়, ভাড়া বৃদ্ধির চক্রান্ত সারা দেশের মানুষকে ভুক্তভোগী করছে। এই জ্বালানি তেল এবং বাস ভাড়া বৃদ্ধি চক্রান্তের বিরুদ্ধে কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-জনতা সবাইকে এক জায়গায় দাঁড়াতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকার এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসবে আমাদের আন্দোলন চলবে।

ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি অনিক রায় বলেন, জনগণের ওপর দিয়ে ছড়ি ঘুরিয়ে এই সরকার টিকে আছে। জ্বালানি তেলসহ সব কিছুর ওপর দাম বাড়িয়ে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এর সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে বাস ভাড়াও। এভাবে আর চলতে পারে না। আসুন একসঙ্গে এই অবৈধ সরকারের অবৈধ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করি, এই লড়াইয়ে আমরাই বিজয়ী হব।

গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, আজ যেই অস্বাভাবিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ও বাস ভাড়া বৃদ্ধি তা সাধারণ মানুষের জন্য খুবই মর্মান্তিক। জ্বালানি তেলের দাম কমানো ও বাস ভাড়া কমানোর দাবিতে আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি। সারাদেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। দাম না কমলে আমরা লাগাতার কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি শুভাশীষ চাকমা, ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি (গণসংহতি) মিতু সরকার, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ইকবাল কবীর প্রমুখ। অবরোধের কারণে শাহবাগ থেকে পল্টন, সায়েন্সল্যাব, বাংলা মোটর ও টিএসসি অভিমুখী সড়কে যান চলাচল প্রায় ৪০ মিনিট বন্ধ ছিল। পরে পুলিশের অনুরোধে ১২.৪০-এর দিকে অবস্থান কর্মসূচি শেষ করলে তা সচল হয়।