৮ বছর পর প্রধান আসামি জামায়াত নেতা ফারুখ গ্রেপ্তার

রংপুরের মিঠাপুকুরে ঢাকাগামী যাত্রী বাসে পেট্রোল বোমা মেরে শিশুসহ ৭ জনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার পলাতক আসামি জামায়াত নেতা ফারুখ হোসেনকে দীর্ঘ ৮ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ গত সোমবার রাতে ফারুখকে মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ এলাকায় একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। মিঠাপুকুর থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, মিঠাপুকুরে ২০১৪ সালে চলন্ত বাসে আগুন ধরিয়ে ৭ নিরপরাধ মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ মামলার অন্যতম প্রধান আসামি জামায়াত নেতা ফারুখ হোসেন ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে পলাতক ছিল। তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হবার পর আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং মালামাল ক্রোকের আদেশ দেন। তারপরেও তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। গত সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ফারুখকে মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ এলাকায় একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি মিঠাপুকুর উপজেলার জয়রামপুর আনোয়ার গ্রামে বাবার নাম মৃত আবদুস সাত্তার।

পুলিশ জানায়, জামায়াত নেতা ফারুখ হোসেনের বিরুদ্ধে নাশকতা, ধংসাত্মক কর্মকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণের অভিযোগসহ ৮টি মামলা রয়েছে। পুলিশ জানায়, সে জামায়াতের দুর্ধর্ষ ক্যাডার।

গত মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ কঠোর নিরাপত্তায় জামায়াত নেতা ফারুখ হোসেনকে রংপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিঠাপুকুর আমলী আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কোর্ট সিএসআই আবদুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামির পক্ষে কোন জামিনের আবেদন করা হয়নি কিংবা কোন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়নি। বিজ্ঞ আদালত সরাসরি আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন

বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১ , ২৫ কার্তিক ১৪২৮ ৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

বাসে পেট্রোলবোমা মেরে ৫ জনকে হত্যা

৮ বছর পর প্রধান আসামি জামায়াত নেতা ফারুখ গ্রেপ্তার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

রংপুরের মিঠাপুকুরে ঢাকাগামী যাত্রী বাসে পেট্রোল বোমা মেরে শিশুসহ ৭ জনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার পলাতক আসামি জামায়াত নেতা ফারুখ হোসেনকে দীর্ঘ ৮ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ গত সোমবার রাতে ফারুখকে মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ এলাকায় একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। মিঠাপুকুর থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, মিঠাপুকুরে ২০১৪ সালে চলন্ত বাসে আগুন ধরিয়ে ৭ নিরপরাধ মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ মামলার অন্যতম প্রধান আসামি জামায়াত নেতা ফারুখ হোসেন ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে পলাতক ছিল। তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হবার পর আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং মালামাল ক্রোকের আদেশ দেন। তারপরেও তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। গত সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ফারুখকে মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ এলাকায় একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি মিঠাপুকুর উপজেলার জয়রামপুর আনোয়ার গ্রামে বাবার নাম মৃত আবদুস সাত্তার।

পুলিশ জানায়, জামায়াত নেতা ফারুখ হোসেনের বিরুদ্ধে নাশকতা, ধংসাত্মক কর্মকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণের অভিযোগসহ ৮টি মামলা রয়েছে। পুলিশ জানায়, সে জামায়াতের দুর্ধর্ষ ক্যাডার।

গত মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ কঠোর নিরাপত্তায় জামায়াত নেতা ফারুখ হোসেনকে রংপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিঠাপুকুর আমলী আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কোর্ট সিএসআই আবদুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামির পক্ষে কোন জামিনের আবেদন করা হয়নি কিংবা কোন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়নি। বিজ্ঞ আদালত সরাসরি আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন