ভারতের পদ্ম পুরস্কার পেলেন চার বাংলাদেশি

ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পেলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার প্রয়াত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। আর চতুর্থ সর্বোচ্চ সম্মাননা পদ্মশ্রী পেয়েছেন প্রখ্যাত প্রতœতত্ত্ববিদ, লেখক ও বাংলাদেশে জাদুঘর আন্দোলনের পথিকৃৎ ড. এনামুল হক, সঙ্গীতজ্ঞ সনজীদা খাতুন ও লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীককে।

গত সোমবার দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রয়াত মোয়াজ্জেম আলীর পক্ষে পদ্মভূষণ পুরস্কার গ্রহণ করেন তার স্ত্রী তূহফা জামান আলী এবং সশরীরে উপস্থিত থেকে পদ্মশ্রী গ্রহণ করেন ড. এনামুল হক ও লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক । তাদের হাতে সম্মানজনক এ পুরস্কার তুলে দিয়েছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ। সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীকে পদ্মভূষণ ও ড. এনামুল হককে পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল গত বছর। ভারতের ৭১তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি তাদের সম্মানিত করার ঘোষণা দেয় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এতদিন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেনি ভারত সরকার। সম্প্রতি দেশটিতে মহামারী পরিস্থিতির উন্নতির কারণে একসঙ্গে দু’বছরের বিজয়ীদের হাতেই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, ভারতে কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করে যাওয়া কোন বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে দিল্লি এর আগে কখনও এত বড় বেসামরিক সম্মানে সম্মানিত করেনি। বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন দিল্লিতে বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানও।

অনুষ্ঠানের পর ভারতের রাষ্ট্রপতির অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীকে নিয়ে একটি পোস্টে লেখা হয়- বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসের সদস্য এবং একজন ক্যারিয়ার ডিপ্লোম্যাট সৈয়দ আলী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা এবং স্থলপথে কানেকটিভিটির সূচনায় যুক্ত ছিলেন।’

গত এক যুগ ধরে দু’দেশের সম্পর্ক যে সোনালি অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে, তা সুবিদিত। ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এই সময়ে দিল্লিতে রাষ্ট্রদূতের পদে ছিলেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তার অবদান, এই পদ্মভূষণ যে তারই স্বীকৃতি- দিল্লি তা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছে।

২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন পেশাদার এই কূটনীতিক। দায়িত্ব ছেড়ে দেশে ফেরার কয়েক দিনের মাথায় মারা যান তিনি।

বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১ , ২৫ কার্তিক ১৪২৮ ৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

ভারতের পদ্ম পুরস্কার পেলেন চার বাংলাদেশি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পেলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার প্রয়াত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। আর চতুর্থ সর্বোচ্চ সম্মাননা পদ্মশ্রী পেয়েছেন প্রখ্যাত প্রতœতত্ত্ববিদ, লেখক ও বাংলাদেশে জাদুঘর আন্দোলনের পথিকৃৎ ড. এনামুল হক, সঙ্গীতজ্ঞ সনজীদা খাতুন ও লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীককে।

গত সোমবার দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রয়াত মোয়াজ্জেম আলীর পক্ষে পদ্মভূষণ পুরস্কার গ্রহণ করেন তার স্ত্রী তূহফা জামান আলী এবং সশরীরে উপস্থিত থেকে পদ্মশ্রী গ্রহণ করেন ড. এনামুল হক ও লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক । তাদের হাতে সম্মানজনক এ পুরস্কার তুলে দিয়েছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ। সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীকে পদ্মভূষণ ও ড. এনামুল হককে পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল গত বছর। ভারতের ৭১তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি তাদের সম্মানিত করার ঘোষণা দেয় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এতদিন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেনি ভারত সরকার। সম্প্রতি দেশটিতে মহামারী পরিস্থিতির উন্নতির কারণে একসঙ্গে দু’বছরের বিজয়ীদের হাতেই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, ভারতে কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করে যাওয়া কোন বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে দিল্লি এর আগে কখনও এত বড় বেসামরিক সম্মানে সম্মানিত করেনি। বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন দিল্লিতে বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানও।

অনুষ্ঠানের পর ভারতের রাষ্ট্রপতির অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীকে নিয়ে একটি পোস্টে লেখা হয়- বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসের সদস্য এবং একজন ক্যারিয়ার ডিপ্লোম্যাট সৈয়দ আলী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা এবং স্থলপথে কানেকটিভিটির সূচনায় যুক্ত ছিলেন।’

গত এক যুগ ধরে দু’দেশের সম্পর্ক যে সোনালি অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে, তা সুবিদিত। ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এই সময়ে দিল্লিতে রাষ্ট্রদূতের পদে ছিলেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তার অবদান, এই পদ্মভূষণ যে তারই স্বীকৃতি- দিল্লি তা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছে।

২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন পেশাদার এই কূটনীতিক। দায়িত্ব ছেড়ে দেশে ফেরার কয়েক দিনের মাথায় মারা যান তিনি।