কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, অন্যায় করলে বিচার হবেই আইনমন্ত্রী

অন্যায় করলে তার বিচার হবেই, সে যেই হোক। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার এ রায়ের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের দেয়া রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এটি খুব প্রয়োজন ছিল। বাট আই অ্যাম নট হ্যাপি। কারণ তিনি বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। উনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন, আমি একজন আইনজীবী হিসেবে সারাজীবন বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত, আমার জন্য এটি সুখকর হতে পারে না। যে কোন সাংবিধানিক পদ বা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে কেউ থাকলে তার কর্মকা-ের হিসাবও দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় এই রায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। আমাদের ট্রান্সপারেন্সি ও অ্যাকাউন্টিবিলিটি সব সময় মেইনটেইন করা উচিত।

আইনমন্ত্রী বলেন, অন্যায় করলে শাস্তি হবে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আমরা দেখেছি, এ দেশে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হলেও কোন মামলা হয়নি। এ সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য দুর্নীতির মামলার বিচার হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন অপরাধ আর কোন বিচারপতি অতীতে করেননি। সেজন্য এমন বিচার করার প্রয়োজনও হয়নি। অন্যায় হলে নিশ্চয়ই বিচার হতো। পৃথিবীতে এমন বিচারের অনেক নজির রয়েছে। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে দেখুন, সেখানে প্রধান বিচারপতিকে বিলোটিং করা হয়েছে। সেটা এখানে বড় কথা নয় এবং সেটাকে উদাহরণ হিসাবেও আনা উচিত নয়।

প্রসঙ্গত, গতকাল সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ১১ বছরের কারাদ- দিয়েছে আদালত। এরমধ্যে মানি লন্ডারিংয়ে সাত এবং অর্থ আত্মসাৎ মামলায় চার বছরের কারাদ- দেয়া হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করে।

বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১ , ২৫ কার্তিক ১৪২৮ ৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, অন্যায় করলে বিচার হবেই আইনমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

অন্যায় করলে তার বিচার হবেই, সে যেই হোক। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার এ রায়ের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের দেয়া রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এটি খুব প্রয়োজন ছিল। বাট আই অ্যাম নট হ্যাপি। কারণ তিনি বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। উনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন, আমি একজন আইনজীবী হিসেবে সারাজীবন বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত, আমার জন্য এটি সুখকর হতে পারে না। যে কোন সাংবিধানিক পদ বা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে কেউ থাকলে তার কর্মকা-ের হিসাবও দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় এই রায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। আমাদের ট্রান্সপারেন্সি ও অ্যাকাউন্টিবিলিটি সব সময় মেইনটেইন করা উচিত।

আইনমন্ত্রী বলেন, অন্যায় করলে শাস্তি হবে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আমরা দেখেছি, এ দেশে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হলেও কোন মামলা হয়নি। এ সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য দুর্নীতির মামলার বিচার হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন অপরাধ আর কোন বিচারপতি অতীতে করেননি। সেজন্য এমন বিচার করার প্রয়োজনও হয়নি। অন্যায় হলে নিশ্চয়ই বিচার হতো। পৃথিবীতে এমন বিচারের অনেক নজির রয়েছে। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে দেখুন, সেখানে প্রধান বিচারপতিকে বিলোটিং করা হয়েছে। সেটা এখানে বড় কথা নয় এবং সেটাকে উদাহরণ হিসাবেও আনা উচিত নয়।

প্রসঙ্গত, গতকাল সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ১১ বছরের কারাদ- দিয়েছে আদালত। এরমধ্যে মানি লন্ডারিংয়ে সাত এবং অর্থ আত্মসাৎ মামলায় চার বছরের কারাদ- দেয়া হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করে।