টি-২০ বিশ্বকাপে বাজে পারফরমেন্সের পরও ঘরের মাঠে আসন্ন দ্বিপাক্ষিক সিরিজে পাকিস্তানকে কঠিন চ্যালেঞ্জর মুখে পড়তে হবে মনে করছেন বাংলাদেশ দলের তরুণ ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়। তিন ম্যাচের টি-২০ এবং দুই টেস্ট খেলতে চলতি মাসে বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলমান টিÑ২০ বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অপরাজিত দল পাকিস্তান। এমনকি ১৪ নভেম্বর টিÑ২০ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়েও পাকিস্তানকে হট ফেভারিট হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে তারা যতই ভালো অবস্থায় থাকুক না কেন, হৃদয়ের মতে, পাকিস্তানকে প্রাধান্য বিস্তার করার সুযোগ দিবে না বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের দুর্দান্ত রেকর্ড থেকে আত্মবিশ্বাসী হয়ে এমন উক্তি করেছেন হৃদয়।

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সিরিজ অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং হবে। আমরা ঘরের মাঠে একটি ভাল দল। এখানে কেউ আমাদের এত সহজে হারাতে পারবে না। তারপরও আমরা কঠিন সময় পার করছি। আমরা যদি আমাদের সেরাটা দিতে পারি, আমরা ভালভাবে ঘুড়ে দাঁড়াবো।’ বাংলাদেশের অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন হৃদয়। জাতীয় ক্রিকেট লীগে ব্যস্ত তিনি। বিশ্বকাপে বাজে পারফরমেন্সের পর বিসিবি তরুণদের দলে সুযোগ দেয়ার কথা ভাবছে। মাঠে ও মাঠের বাইরে খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ভয়ডরহীন মানসিকতা প্রত্যাশা করছে বোর্ড। গণমাধ্যমের সাথে প্রথম সাক্ষাতে, অন্য ছয়জন তরুণের সাথে হৃদয়ও জানান, কোন দিক থেকেই সাহসী হতে পিছপা হবেন না তারা। তবে প্রথমত, জাতীয় দলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়াটা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে চান তিনি। হৃদয় বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এটিকে আমাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ হিসাবে দেখছি। আমার যে সুযোগ রয়েছে, তা ভালোভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো।’

২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপ জয়ের পর হৃদয় বলেছিলেন, তারা খুব ভাল জানেন কিভাবে বিশ্ব মঞ্চে সেরা হতে হবে, কারণ তাদের সেই অভিজ্ঞতা আছে। তিনি বলেন, ‘সিনিয়র দলের হয়ে বিশ্বকাপের সেই অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা আমি দেখাতে চাই।’ সুযোগ পেলে সিনিয়র দলের সাথে লাল-সবুজ জার্সিতে বিশ্বকাপ জয়ের কথা জানান হৃদয়। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ আমরা ক্রিকেট খেলবো, ততক্ষণ এটা (অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ জেতা) আমাদের আত্মবিশ্বাস দিবে। আমরা কাজ করেছি, কিভাবে বিশ্বকাপ জিততে হয়। আমরা সুযোগ পেলে সিনিয়র দলের সাথে বিশ্বকাপ জিততে আত্মবিশ্বাসী।’

অন্যান্য তরুণ খেলোয়াড়দের পাশাপাশি তামিম ইকবালের সঙ্গেও অনুশীলনে নিয়মিত কথা বলছেন হৃদয়। ওয়ানডে অধিনায়কের পরামর্শও শুনছেন তারা। তিনি বলেন, ‘কিভাবে আরও ভালো করতে হবে, পরবর্তী ধাপে কি করতে হবে, এ ব্যাপারে তামিম ভাই সবসময় আমাদের অনুপ্রাণিত করেন। যেহেতু তিনি (তামিম) পিএসএল খেলেছেন, তাই তিনি ভালো করেই জানেন শাহিন শাহ আফ্রিদি তার প্রথম ওভারেই ইর্য়কার দিয়েছে। এটি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, কারণ আমাদের খুব শীঘ্রই আফ্রিদির মোকাবিলা করতে হবে। তিনি যে একজন চ্যাম্পিয়ন বোলার সেটি এই টিÑ২০ বিশ্বকাপে দেখিয়েছেন আফ্রিদি।’