‘আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব’

সেমিফাইনালে উঠতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে সপ্তম টি-২০ বিশ্বকাপের মিশন শেষ করলো ভারত। সেই সাঙ্গে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন বিরাট কোহলি। জয় দিয়ে শেষ করতে পেরেছেন তিনি। সোমবার রাতে এবারের আসরে সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারত ৯ উইকেটে হারায় নামিবিয়াকে। জয়ের পর নিজের অনুভূতি তুলে ধরেন বিরাট কোহলি।

টুইটারে এক বার্তায় কোহলি লিখেছেন, ‘আমরা একসঙ্গে নিজেদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পৌঁছতে পারিনি। এ জন্য আমাদের চেয়ে বেশি কষ্ট কেউ পায়নি। আপনাদের সকলের থেকে যে সমর্থন পেয়েছি তা অতুলনীয়। এ জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। অঙ্গীকার করছি আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবো এবং নিজেদের সেরাটা দেব।’

ভারতের টি-২০ অধিনায়ক হিসেবে ৫০টি ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। জিতেছেন ৩২টি, হেরেছেন ১৬টি। দু’টি ম্যাচের কোনও ফলাফল হয়নি। তার অধীনে এটাই ছিল ভারতের প্রথম টিÑ২০ বিশ্বকাপ।

অধিনায়কত্ব ছেড়ে নির্ভার এখন কোহলি, সেটিও অকপটে স্বীকার করলেন। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে কোহলি বলেন, ‘প্রথমত খুব শান্তি পেলাম। আমি সম্মানিত। কিন্তু ব্যাপারটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে হবে। ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করার এটাই সঠিক সময়। ৬-৭ বছর ধরে অসম্ভব চাপ সামলাতে হয়েছে। যাদের সঙ্গে খেলেছি তারা দুর্দান্ত। জানি এখানে যে ফলাফল চেয়েছিলাম সেটা হয়নি। কিন্তু আমরা ভাল ক্রিকেট খেলেছি।’

সুপার টুয়েলভে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের কাছে শোচনীয় হার ভারত বিশ্বকাপের সেমিতে উঠতে পারেনি। এ ব্যাপারে কোহলি বলেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচে অন্তত দু’ওভার আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে পারিনি আমরা। আগেই বলেছিলাম, ঐ দু’টো ম্যাচে সাহসী ক্রিকেট খেলিনি। যে গ্রুপে আমরা ছিলাম সেখানে সাহসী ক্রিকেট খেলতে না পারলে মুশকিল।’

এই বিশ্বকাপ দিয়ে ভারতের টি-২০ অধিনায়কত্ব ছাড়েন কোহলি। আর এবারের বিশ্বকাপ দিয়ে ভারতের কোচের দায়িত্ব থেকে সড়ে গেলেন রবি শাস্ত্রী। সেই কোচিং প্যানেলেও অনেকে বিদায় নিচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্যে কোহলি বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে দারুণ কাজ করেছে এই কোচিং প্যানেলটি। একটা দারুণ পরিবেশ ছিল দলে। তারা খেলোয়াড়দের আগলে রেখেছিলেন, খেলোয়াড়দের পারফরমেন্সে,কোচিং প্যানেলের ভূমিকা বড্ড বেশিই ছিলো।’

মাঠে বরাবরই আগ্রাসী মুুডে থাকেন কোহলি। এটিই অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। তবে যেদিন আগ্রাসন কমে যাবে, সেদিন ক্রিকেট ছেড়ে দিবেন বলে জানান কোহলি, ‘আমার আগ্রাসন কোনও দিন কমবে না। যে দিন আগ্রাসন কমে যাবে সেদিন আমি ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দিব। আমি অধিনায়ক হওয়ার আগেও দলকে কোনও না কোনও ভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। অধিনায়ক থাকাকালীনও করেছি এবং ভবিষ্যতেও করবো।’

বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১ , ২৫ কার্তিক ১৪২৮ ৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

‘আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব’

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

সেমিফাইনালে উঠতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে সপ্তম টি-২০ বিশ্বকাপের মিশন শেষ করলো ভারত। সেই সাঙ্গে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন বিরাট কোহলি। জয় দিয়ে শেষ করতে পেরেছেন তিনি। সোমবার রাতে এবারের আসরে সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারত ৯ উইকেটে হারায় নামিবিয়াকে। জয়ের পর নিজের অনুভূতি তুলে ধরেন বিরাট কোহলি।

টুইটারে এক বার্তায় কোহলি লিখেছেন, ‘আমরা একসঙ্গে নিজেদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পৌঁছতে পারিনি। এ জন্য আমাদের চেয়ে বেশি কষ্ট কেউ পায়নি। আপনাদের সকলের থেকে যে সমর্থন পেয়েছি তা অতুলনীয়। এ জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। অঙ্গীকার করছি আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবো এবং নিজেদের সেরাটা দেব।’

ভারতের টি-২০ অধিনায়ক হিসেবে ৫০টি ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। জিতেছেন ৩২টি, হেরেছেন ১৬টি। দু’টি ম্যাচের কোনও ফলাফল হয়নি। তার অধীনে এটাই ছিল ভারতের প্রথম টিÑ২০ বিশ্বকাপ।

অধিনায়কত্ব ছেড়ে নির্ভার এখন কোহলি, সেটিও অকপটে স্বীকার করলেন। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে কোহলি বলেন, ‘প্রথমত খুব শান্তি পেলাম। আমি সম্মানিত। কিন্তু ব্যাপারটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে হবে। ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করার এটাই সঠিক সময়। ৬-৭ বছর ধরে অসম্ভব চাপ সামলাতে হয়েছে। যাদের সঙ্গে খেলেছি তারা দুর্দান্ত। জানি এখানে যে ফলাফল চেয়েছিলাম সেটা হয়নি। কিন্তু আমরা ভাল ক্রিকেট খেলেছি।’

সুপার টুয়েলভে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের কাছে শোচনীয় হার ভারত বিশ্বকাপের সেমিতে উঠতে পারেনি। এ ব্যাপারে কোহলি বলেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচে অন্তত দু’ওভার আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে পারিনি আমরা। আগেই বলেছিলাম, ঐ দু’টো ম্যাচে সাহসী ক্রিকেট খেলিনি। যে গ্রুপে আমরা ছিলাম সেখানে সাহসী ক্রিকেট খেলতে না পারলে মুশকিল।’

এই বিশ্বকাপ দিয়ে ভারতের টি-২০ অধিনায়কত্ব ছাড়েন কোহলি। আর এবারের বিশ্বকাপ দিয়ে ভারতের কোচের দায়িত্ব থেকে সড়ে গেলেন রবি শাস্ত্রী। সেই কোচিং প্যানেলেও অনেকে বিদায় নিচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্যে কোহলি বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে দারুণ কাজ করেছে এই কোচিং প্যানেলটি। একটা দারুণ পরিবেশ ছিল দলে। তারা খেলোয়াড়দের আগলে রেখেছিলেন, খেলোয়াড়দের পারফরমেন্সে,কোচিং প্যানেলের ভূমিকা বড্ড বেশিই ছিলো।’

মাঠে বরাবরই আগ্রাসী মুুডে থাকেন কোহলি। এটিই অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। তবে যেদিন আগ্রাসন কমে যাবে, সেদিন ক্রিকেট ছেড়ে দিবেন বলে জানান কোহলি, ‘আমার আগ্রাসন কোনও দিন কমবে না। যে দিন আগ্রাসন কমে যাবে সেদিন আমি ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দিব। আমি অধিনায়ক হওয়ার আগেও দলকে কোনও না কোনও ভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। অধিনায়ক থাকাকালীনও করেছি এবং ভবিষ্যতেও করবো।’